১১৭২

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৩৯. নবী (ﷺ) মুশরিক ও মুনাফিকদের নিকট থেকে যে দুঃখকষ্ট পেয়েছেন।

১১৭২. ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদারত অবস্থায় ছিলেন। অন্য সূত্রে আহমাদ ইবনু উসমান (রহ.) .... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বাইতুল্লাহর পাশে সালাত আদায় করছিলেন এবং সেখানে আবু জাহাল ও তার সাথীরা বসা ছিল। এমন সময় তাদের একজন অন্যজনকে বলে উঠল ’তোমাদের মধ্যে কে অমুক গোত্রের উটনীর নাড়ির্ভুড়ি এনে মুহাম্মদ যখন সিজদা করেন তখন তার পিঠের উপর চাপিয়ে দিতে পারে? তখন গোত্রের বড় পাষণ্ড (’উকবাহ) তাড়াতাড়ি গিয়ে তা নিয়ে এল এবং তার প্রতি লক্ষ্য রাখল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সাজদায় গেলেন, তখন সে তার পিঠের উপর দু’. কাঁধের মাঝখানে তা রেখে দিল। ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি (এ দৃশ্য) দেখছিলাম কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না। হায়! আমার যদি বাধা দেয়ার শক্তি থাকত। তিনি বলেন, তারা হাসতে লাগল এবং একে অন্যের উপর লুটোপুটি খেতে লাগল। আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন সাজদায় থাকলেন, মাথা উঠালেন না।

অবশেষে ফাতিমাহ (রাঃ) এসে সেটি তাঁর পিঠের উপর হতে ফেলে দিলেন। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা উঠিয়ে বললেনঃ হে আল্লাহ! আপনি কুরায়শকে ধ্বংস করুন। এরূপ তিনবার বললেন। তিনি যখন তাদের বদ, দুআ করেন তখন তা তাদের অন্তরে ভয় জাগিয়ে তুলল। বর্ণনাকারী বলেন, তারা জানত যে, এ শহরে দুআ কবূল হয়। অতঃপর তিনি নাম ধরে বললেনঃ হে আল্লাহ! আবু জাহালকে ধ্বংস করুন এবং ’উতবা ইবনু রবী’আহ, শায়বা ইবনু রবী’আহ, ওয়ালীদ ইবনু ’উতবাহ, উমাইয়াহ খালাফ ও ’উকবাহ ইবনু আবী মুআইতকে ধ্বংস করুন। রাবী বলেন, তিনি সপ্তম ব্যক্তির নামও বলেছিলেন কিন্তু তিনি স্মরণ রাখতে পারেননি। ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেনঃ সেই সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদের নাম উচ্চারণ করেছিলেন, তাদের আমি বদরের কুপের মধ্যে নিহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি।

ما لقي النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ من أذى المشركين والمنافقين

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي عِنْدَ الْبَيْتِ، وَأَبُو جَهْلٍ وَأَصْحَابٌ لَهُ جُلُوسٌ؛ إِذْ قَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: أَيُّكُمْ يَجِىءُ بِسَلَى جَزُورِ بَنِي فُلاَنٍ فَيَضَعُهُ عَلَى ظَهْرِ مُحَمَّدٍ إِذَا سَجَدَ فَانْبَعَثَ أَشْقَى الْقَوْمِ، فَجَاءَ بِهِ، فَنَظَرَ حَتَّى سَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَهُ عَلَى ظَهْرِهِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ وَأَنَا أَنْظُرُ لاَ أُغَيِّرُ شَيْئًا، لَوْ كَانَ لِي مَنَعَةٌ قَالَ: فَجَعَلُوا يَضْحَكُونَ وَيُحِيلُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ، وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاجِدٌ لاَ يَرْفَعُ رأْسَهُ حَتَّى جَاءَتهُ فَاطِمَةُ، فَطَرَحَتْ عَنْ ظَهْرِهِ، فَرَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ: اللهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَشَقَّ عَلَيْهِمْ إِذْ دَعَا عَلَيْهِمْ قَالَ: وَكَانُوا يُرَوْنَ أَنَّ الدَّعْوَةَ فِي ذَلِكَ الْبَلَدِ مُسْتَجَابَةٌ ثُمَّ سَمَّى: اللهُمَّ عَلَيْكَ بِأَبِي جَهْلٍ، وَعَلَيْكَ بِعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، وَأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ، وَعُقْبَةَ بْنَ أَبِي مُعَيْطٍ وَعَدَّ السَّابِعَ فَلَمْ يَحْفَظْهُ قَالَ: فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ رَأَيْتُ الَّذِين عَدَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَرْعَى فِي الْقَلِيبِ، قَلِيبِ بَدْرٍ

حديث عبد الله بن مسعود، ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يصلي عند البيت، وابو جهل واصحاب له جلوس؛ اذ قال بعضهم لبعض: ايكم يجىء بسلى جزور بني فلان فيضعه على ظهر محمد اذا سجد فانبعث اشقى القوم، فجاء به، فنظر حتى سجد النبي صلى الله عليه وسلم وضعه على ظهره بين كتفيه وانا انظر لا اغير شيىا، لو كان لي منعة قال: فجعلوا يضحكون ويحيل بعضهم على بعض، ورسول الله صلى الله عليه وسلم ساجد لا يرفع راسه حتى جاءته فاطمة، فطرحت عن ظهره، فرفع راسه ثم قال: اللهم عليك بقريش ثلاث مرات فشق عليهم اذ دعا عليهم قال: وكانوا يرون ان الدعوة في ذلك البلد مستجابة ثم سمى: اللهم عليك بابي جهل، وعليك بعتبة بن ربيعة، وشيبة بن ربيعة، والوليد بن عتبة، وامية بن خلف، وعقبة بن ابي معيط وعد السابع فلم يحفظه قال: فوالذي نفسي بيده لقد رايت الذين عد رسول الله صلى الله عليه وسلم صرعى في القليب، قليب بدر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)