পরিচ্ছেদঃ ৫০. নামাযের মধ্যে ভুলত্রুটি হওয়া ও তার বিধান এবং এই বিষয় সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক হাদীস। নামাযরত অবস্থায় নামাযীর সামনে দিয়ে কোন কিছু অতিক্রম করলে তাতে নামায নষ্ট হয় না
১৩৪৯(১). মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে মিরদাস (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে অপরাহ্নের দুই ওয়াক্ত নামাযের এক নামায অর্থাৎ যুহর অথবা আসরের নামায পড়ান। (রাবী) বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের দুই রাআত নামায পড়ান, অতঃপর সালাম ফিরান, অতঃপর মসজিদের সামনে অবস্থিত একটি কাষ্ঠখণ্ডের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তার উপরে তার এক হাত অপর হাতের উপর রাখেন। তার মুখমণ্ডলে অসন্তোষের ছাপ লক্ষ করা গেল। অতঃপর লোকজন (মসজিদ থেকে) দ্রুত গতিতে একথা বলতে বলতে বের হয়ে যাচ্ছিল, নামায হ্রাসপ্রাপ্ত হয়েছে, নামায হ্রাসপ্রাপ্ত হয়েছে।
উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আবু বাকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারা দু’জন তার সাথে কথা বলতে সমীহ করলেন। অতঃপর এক ব্যক্তি দাঁড়ালেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার নাম রেখেছিলেন যুল-ইয়াদাইন। তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি নামাযে ভুল করেছেন, নাকি নামায হ্রাসপ্রাপ্ত হয়েছে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ আমি ভুলও করিনি এবং নামায হ্রাসপ্রাপ্তও হয়নি। তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! বরং আপনি ভুলে গিয়েছেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত লোকজনের দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করেনঃ যুল-ইয়াদাইন কি সত্য বলেছে? তারা ইঙ্গিত করলেন, হাঁ। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের স্থানে ফিরে গেলেন এবং অবশিষ্ট দুই রাকআত নামায পড়ালেন, তারপর সালাম ফিরালেন, তারপর তাকবীর বলে পূর্বের অনুরূপ অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সিজদা করলেন, তারপর মাথা উঠালেন এবং তাকবীর বললেন। অধস্তন রাবী মুহাম্মাদকে জিজ্ঞেস করা হলো, তিনি কি সাহু সিজদার পর সালাম ফিরালেন? (রাবী) বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে তা স্মৃতিতে সংরক্ষণ করতে পারিনি। তবে আমাকে অবহিত করা হয়েছে যে, ইমরান ইবনে হুসাইন (রহঃ) বলেছেন, তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাম ফিরিয়েছেন।
بَابُ صِفَةِ السَّهْوِ فِي الصَّلَاةِ وَأَحْكَامِهِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ وَأَنَّهُ لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ شَيْءٌ يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مِرْدَاسٍ ، ثَنَا أَبُو دَاوُدَ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِحْدَى صَلَاتَيِ الْعَشِيِّ الظُّهْرِ أَوِ الْعَصْرِ - قَالَ : - فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَامَ إِلَى خَشَبَةٍ فِي مُقَدَّمِ الْمَسْجِدِ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَيْهَا إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ الْغَضَبُ ثُمَّ خَرَجَ سَرَعَانُ النَّاسِ وَهُمْ يَقُولُونَ : قَصُرَتِ الصَّلَاةُ قَصُرَتِ الصَّلَاةُ ، وَفِي النَّاسِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَهَابَاهُ أَنْ يُكَلِّمَاهُ ، فَقَامَ رَجُلٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُسَمِّيهِ ذَا الْيَدَيْنِ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَسِيتَ أَمْ قَصُرَتِ الصَّلَاةُ ؟ ، قَالَ : " لَمْ أَنْسَ وَلَمْ تَقْصُرِ الصَّلَاةُ " . قَالَ : بَلْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ : " أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ " . فَأَوْمَئُوا ، أَيْ نَعَمْ فَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِلَى مَقَامِهِ فَصَلَّى الرَّكْعَتَيْنِ الْبَاقِيَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ وَكَبَّرَ . فَقِيلَ لِمُحَمَّدٍ سَلَّمَ فِي السَّهْوِ ، قَالَ : لَمْ أَحْفَظْ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَكِنْ نُبِّئْتُ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ قَالَ ثُمَّ سَلَّمَ