১১৬২

পরিচ্ছেদঃ ৩০. নামাযে উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া ওয়াজিব এবং এ সম্পর্কে হাদীসসমূহের বিভিন্নতা

১১৬২(৩৫). আবু বাকর আল-আযরাক ইউসুফ ইবনে ইয়াকূব ইবনে ইসহাক ইবনে বাহলুল (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন ব্যক্তি নামায পড়লো, কিন্তু তাতে ’উম্মুল কুরআন’ (সূরা আল-ফাতিহা) পড়লো না তার নামায ত্রুটিপূর্ণ, অসম্পূর্ণ । অধস্তন রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আবু হুরায়রা! আমি তো কখনও ইমামের সাথে নামায পড়ি। রাবী বলেন, তিনি আমার বাহু চেপে ধরে বললেন, তুমি তা মনে মনে পড়ো। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি আমার ও আমার বান্দার মাঝে নামায দুই ভাগে ভাগ করেছি। তার অর্ধেক বান্দার জন্য। আমার বান্দা যখন নামায শুরু করে তখন বলে, বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম। আমার বান্দা আমাকে স্মরণ করলো। অতঃপর সে বলে, আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন (সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য)। তখন আমি বলি, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। অতঃপর সে বলে, আর-রাহমানির রাহীম (তিনি দয়াময় পরম দয়ালু)। তখন আমি বলি, আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে। অতঃপর সে বলে, মালিকি ইয়াওমিদ্দীন-(তিনি কর্মফল দিবসের মালিক)। তখন আমি বলি, আমার বান্দা আমার মর্যাদা ও মহিমা বর্ণনা করেছে। অতঃপর সে বলে, ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্‌তাঈন (আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি)। এই আয়াত আমার ও আমার বান্দার মাঝে অর্ধেক অর্ধেক এবং সূরার শেষাংশ আমার বান্দার । আমার বান্দা যা চাবে তা-ই পাবে।

ইবনে সামআন (রহঃ) হলেন আবদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ ইবনে সামআন। তিনি প্রত্যাখ্যাত রাবী। এই হাদীস একদল নির্ভরযোগ্য রাবী আল-আলা ইবনে আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। মালেক ইবনে আনাস, ইবনে জুরাইজ, রাওহ ইবনুল কাসেম, ইবনে উয়াইনা, ইবনে আজলান, আল-হাসান ইবনুল হুর, আবু উওয়ায়েস (রহঃ) প্রমুখ তাদের অন্তর্ভুক্ত। তাদের কতক এ হাদীসের সনদসূত্র সম্পর্কে মতভেদ করেছেন, কিন্তু মূল পাঠে মতৈক্য প্রকাশ করেছেন। তাদের কেউই নিজের বর্ণিত হাদীসে ’বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম’ উল্লেখ করেননি। ইবনে সামআন কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিপরীতে তাদের মতৈক্য যথার্থতার দিক থেকে অগ্রগণ্য।

بَابُ وُجُوبِ قِرَاءَةِ ( بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) فِي الصَّلَاةِ ، وَالْجَهْرِ بِهَا ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْأَزْرَقُ يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ بُهْلُولٍ ، حَدَّثَنِي جَدِّي ، ثَنَا أَبِي ، ثَنَا ابْنُ سَمْعَانَ ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، قَالَ : " مَنْ صَلَّى صَلَاةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ : غَيْرُ تَمَامٍ " . قَالَ : فَقُلْتُ : يَا أَبَا هُرَيْرَةَ ، إِنِّي رُبَّمَا كُنْتُ مَعَ الْإِمَامِ ، قَالَ : فَغَمَزَ ذِرَاعِي ، ثُمَّ قَالَ : اقْرَأْ بِهَا فِي نَفْسِكِ ؛ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ : إِنِّي قَسَمْتُ الصَّلَاةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ ، فَنِصْفُهَا لَهُ ، يَقُولُ عَبْدِي إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ : ( بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) فَيَذْكُرُنِي عَبْدِي ، ثُمَّ يَقُولُ : ( الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ) ، فَأَقُولُ : حَمِدَنِي عَبْدِي ، ثُمَّ يَقُولُ : ( الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) فَأَقُولُ : أَثْنَى عَلَيَّ عَبْدِي ، ثُمَّ يَقُولُ : ( مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ) ، فَأَقُولُ : مَجَّدَنِي عَبْدِي ، ثُمَّ يَقُولُ : ( إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ) فَهَذِهِ الْآيَةُ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ ، وَآخِرُ السُّورَةِ لِعَبْدِي ، وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ " . ابْنُ سَمْعَانَ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادِ بْنِ سَمْعَانَ ، مَتْرُوكُ الْحَدِيثِ . وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ جَمَاعَةٌ مِنَ الثِّقَاتِ ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، مِنْهُمْ : مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ ، وَابْنُ جُرَيْجٍ ، وَرَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ ، وَابْنُ عُيَيْنَةَ ، وَابْنُ عَجْلَانَ ، وَالْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ ، وَأَبُو أُوَيْسٍ ، وَغَيْرُهُمْ ، عَلَى اخْتِلَافٍ مِنْهُمْ فِي الْإِسْنَادِ ، وَاتِّفَاقٍ مِنْهُمْ عَلَى الْمَتْنِ ، فَلَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْهُمْ فِي حَدِيثِهِ : ( بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) وَاتِّفَاقُهُمْ عَلَى خِلَافِ مَا رَوَاهُ ابْنُ سَمْعَانَ أَوْلَى بِالصَّوَابِ

حدثنا ابو بكر الازرق يوسف بن يعقوب بن اسحاق بن بهلول ، حدثني جدي ، ثنا ابي ، ثنا ابن سمعان ، عن العلاء بن عبد الرحمن ، عن ابيه ، عن ابي هريرة ، عن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - ، قال : " من صلى صلاة لم يقرا فيها بام القران فهي خداج : غير تمام " . قال : فقلت : يا ابا هريرة ، اني ربما كنت مع الامام ، قال : فغمز ذراعي ، ثم قال : اقرا بها في نفسك ؛ فاني سمعت رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يقول : " قال الله عز وجل : اني قسمت الصلاة بيني وبين عبدي نصفين ، فنصفها له ، يقول عبدي اذا افتتح الصلاة : ( بسم الله الرحمن الرحيم ) فيذكرني عبدي ، ثم يقول : ( الحمد لله رب العالمين ) ، فاقول : حمدني عبدي ، ثم يقول : ( الرحمن الرحيم ) فاقول : اثنى علي عبدي ، ثم يقول : ( مالك يوم الدين ) ، فاقول : مجدني عبدي ، ثم يقول : ( اياك نعبد واياك نستعين ) فهذه الاية بيني وبين عبدي نصفين ، واخر السورة لعبدي ، ولعبدي ما سال " . ابن سمعان هو عبد الله بن زياد بن سمعان ، متروك الحديث . وروى هذا الحديث جماعة من الثقات ، عن العلاء بن عبد الرحمن ، منهم : مالك بن انس ، وابن جريج ، وروح بن القاسم ، وابن عيينة ، وابن عجلان ، والحسن بن الحر ، وابو اويس ، وغيرهم ، على اختلاف منهم في الاسناد ، واتفاق منهم على المتن ، فلم يذكر احد منهم في حديثه : ( بسم الله الرحمن الرحيم ) واتفاقهم على خلاف ما رواه ابن سمعان اولى بالصواب

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)