১১১০

পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া

১১১০(১). আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুবাশশির (রহঃ) ... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন তখন তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন, অতঃপর বলতেনঃ

“ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল-আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়াইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রব্বিল আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আনতা রব্বী ওয়া আনা আবদুকা যলামতু নাফসী ওয়া ই’তারাফতু বিযামবী ফাগফিরলী যুনুবী জামীআ। ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা। লাব্বাইকা ওয়া সা’দাইকা ওয়াল খাইরু কুল্লুহু ফী ইয়াদাইকা। ওয়াশ-শাররু লাইসা ইলাইকা। আনা বিকা ওয়া ইলাইকা তাবারাকতা ওয়া তাআলাইতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা”।

অর্থঃ “আমার মুখমণ্ডল সেই সত্তার দিকে ফিরালাম যিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কোরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু বিশ্বপ্রভুর জন্য যার কোন অংশীদার নেই। আমাকে এটিরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আমি প্রথম মুসলিম। হে আল্লাহ! তুমিই মালিক, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তুমি আমার প্রতিপালক। আমি নিজের উপর যুলুম করেছি এবং আমি আমার অপরাধ স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমার সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করে দাও। তুমি ব্যতীত অপরাধ ক্ষমাকারী কেউ নেই। আমি তোমার সামনে উপস্থিত। সমস্ত কল্যাণ তোমার হাতে এবং কোন অনিষ্ট তোমার কাছে নেই। আমি তোমার সাহায্য চাই এবং তোমার নিকট ফিরে যাবো। তুমি বরকতময় এবং তুমি মর্যাদাসম্পন্ন। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার নিকট তাওবা করছি”।

তিনি যখন রুকূ করতেন তখন বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা লাকা রাকা’তু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আলামতু খাশাআ লাকা সামঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখ্‌খী ওয়া ইজামী ওয়া আসাবী”। অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রুকূ করেছি, তোমার উপর ঈমান এনেছি এবং তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। তোমার জন্য আমার কান, আমার চোখ, আমার মগজ, আমার হাড়, আমার শিরা-উপশিরা বিনয়াবনত”।

তিনি যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখন বলতেনঃ “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ মিলআস-সামাওয়াতি ওয়া মিলআল-আরদীনা ওয়ামা বাইনাহুমা ওয়া মিলআ মা শি’তা মিন শায়ইন বাদু”। অর্থঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে তিনি তা শোনেন। আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্য যাবতীয় প্রশংসা—আকাশসমূহ এবং যমীনসমূহ এবং আকাশ ও যমীনের মধ্যে খালি জায়গাসমূহ পরিমাণ এবং এরপর যা আপনি ইচ্ছা করেন সেই পরিমাণ”।

তিনি সিজদায় বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা লাকা সাজাততু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাকাহু ওয়া সাওয়ারাহু ফাআহসানা সওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সামআহু ওয়া বাসারাহু। তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিকীন” । অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্য সিজদা করেছি, আপনার উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার নিকট আত্মসমর্পণ করেছি, যিনি আমার মুখমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে উত্তম আকৃতি দান করেছেন, তাকে শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি দান করেছেন, আমার মুখমণ্ডল তাকে সিজদা করছে। আল্লাহ কতো বরকতময় উত্তম স্রষ্টা”!

তিনি নামাযের সালাম ফিরানোর পর বলতেনঃ “আল্লাহুম্মাগাফির লী মা কাদ্দামতু ওয়ামা আখ্‌খারতু ওয়ামা আসরারতু ওয়ামা আ’লানতু ওয়ামা আসরাফতু ওয়ামা আনতা আ’লামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু লা ইলাহা ইল্লা আনতা”। অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমার পূর্বাপর, গোপনে ও প্রকাশ্যে কৃত গুনাহ, আমার বাড়াবাড়ি এবং আপনি আমার যে গুনাহ সম্পর্কে আমার চেয়ে অধিক জ্ঞাত তা ক্ষমা করে দিন। আপনিই প্রথম এবং আপনিই শেষ। আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই"।

بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُبَشِّرٍ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ ، نَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ ، أَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ ، ثَنَا الْمَاجِشُونُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ ، عَنْ عَلِيٍّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ كَبَّرَ ، ثُمَّ قَالَ : " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ ، إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ، لَا شَرِيكَ لَهُ ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ ، اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ ، أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ، ظَلَمْتُ نَفْسِي ، وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي ، فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا ، إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ ، وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ ، أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ ، تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . وَإِذَا رَكَعَ ، قَالَ : " اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ ، وَبِكَ آمَنْتُ ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي " . وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ، قَالَ : " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ، مِلْءَ السَّمَوَاتِ ، وَمِلْءَ الْأَرَضِينَ وَمَا بَيْنَهُمَا ، وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ " . فَإِذَا سَجَدَ ، قَالَ : " اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ ، وَبِكَ آمَنْتُ ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ ، سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ ، فَأَحْسَنَ صُوَرَهُ ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ ، تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " . وَإِذَا سَلَّمَ مِنَ الصَّلَاةِ ، قَالَ : " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ ، وَمَا أَخَّرْتُ ، وَمَا أَسْرَرْتُ ، وَمَا أَعْلَنْتُ ، وَمَا أَسْرَفْتُ ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ ، وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ

حدثنا علي بن عبد الله بن مبشر ، ثنا احمد بن سنان ، نا يزيد بن هارون ، انا عبد العزيز بن عبد الله بن ابي سلمة الماجشون ، ثنا الماجشون بن ابي سلمة ، عن عبد الرحمن الاعرج ، عن عبيد الله بن ابي رافع ، عن علي - رضي الله عنه - قال : كان رسول الله - صلى الله عليه وسلم - اذا افتتح الصلاة كبر ، ثم قال : " وجهت وجهي للذي فطر السموات والارض حنيفا وما انا من المشركين ، ان صلاتي ونسكي ومحياي ومماتي لله رب العالمين ، لا شريك له ، وبذلك امرت وانا اول المسلمين ، اللهم انت الملك لا اله الا انت ، انت ربي وانا عبدك ، ظلمت نفسي ، واعترفت بذنبي ، فاغفر لي ذنوبي جميعا ، انه لا يغفر الذنوب الا انت ، لبيك وسعديك والخير كله في يديك ، والشر ليس اليك ، انا بك واليك ، تباركت وتعاليت ، استغفرك واتوب اليك " . واذا ركع ، قال : " اللهم لك ركعت ، وبك امنت ، ولك اسلمت ، خشع لك سمعي وبصري ومخي وعظامي وعصبي " . واذا رفع راسه من الركوع ، قال : " سمع الله لمن حمده ، ربنا ولك الحمد ، ملء السموات ، وملء الارضين وما بينهما ، وملء ما شىت من شيء بعد " . فاذا سجد ، قال : " اللهم لك سجدت ، وبك امنت ، ولك اسلمت ، سجد وجهي للذي خلقه وصوره ، فاحسن صوره ، وشق سمعه وبصره ، تبارك الله احسن الخالقين " . واذا سلم من الصلاة ، قال : " اللهم اغفر لي ما قدمت ، وما اخرت ، وما اسررت ، وما اعلنت ، وما اسرفت ، وما انت اعلم به مني ، انت المقدم ، وانت الموخر لا اله الا انت

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)