৩৪৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৪১. লি'আন করানোর সময় নসীহত করা

৩৪৭৭. আমর ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... সাঈদ ইবন যুবায়র (রহঃ) বলেন, ইবন যুবায়র (রাঃ)-এর শাসনামলে এক ব্যক্তি আমার কাছে লি”আনকারীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলোঃ লি’আনের পরে ঐ দুইজনের মধ্যে কি পৃথক করে দেয়া হবে? ইবন যুবায়র (রাঃ) বলেনঃ আমি কি উত্তর দেব কিছুই বলতে পারলাম না। এরপর আমি উঠে ইবন উমর (রাঃ)-এর ঘরে গেলাম এবং আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আবু আবদুর রহমান! লি’আন করার পর কি স্বামী-স্ত্রী উভয়কে পৃথক করে দেয়া হবে? ইবন উমর (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি বললেনঃ সর্বপ্রথম এ কথাটি জিজ্ঞাসা করেছেন অমুকের পুত্র অমুক। ইবন উমর (রাঃ) তার নাম উল্লেখ করেন নি। আর সে বলেছিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমাদের কোন ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর সাথে অশ্লীল কাজ করতে দেখে, যদি সে বলে, তবে তো তা বড় মুসীবতের কথা। আর যদি না বলে, তবে এমন মন্দ কাজের উপর চুপ রইলো, তিনি তাকে কোন উত্তর দিলেন না।

এরপর সে ব্যক্তি আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ যে কথা আমি আপনার নিকট জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমি নিজেই সেই মুসীবতে পড়েছি। তারপর আল্লাহ্ তা’আলা সূরা নূরের এ আয়াত নাযিল করেনঃ (وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ) হতে (غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ) অর্থাৎ, আর যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী ... পঞ্চমবারে সে বলেঃ তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার উপর নেমে আসবে আল্লাহর গযব। (সূরা নূরঃ ৬–৯) পর্যন্ত।

বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে প্রথমে নসীহত করেন এবং বলেন, পরীকালের শান্তি অপেক্ষা ইহকালের শাস্তি অতি সহজ। সেই ব্যক্তি তাঁর নসীহত শ্ৰবণ করে বলতে লাগলোঃ আল্লাহ্ তা’আলার কসম! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন, আমি মিথ্যা বলছি না। এরপর তিনি স্ত্রীলোকটিকে নসীহত করলেন এবং তাকে স্মরণ কবিয়ে দিলেন। সেই স্ত্রীলোকটিও বলতে লাগলোঃ আল্লাহ্ তা’আলার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন, এ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী। পুরুষ লোকটি সাক্ষ্য প্রদান আরম্ভ করলো। সে আল্লাহর নাম নিয়ে চারবার সাক্ষ্য প্ৰদান করলো, পঞ্চমবারে সে বললোঃ যদি সে মিথ্যা কথা বলে থাকে, তবে তার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। তারপর স্ত্রীলোকটিও আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দিল, নিশ্চয় সে মিথ্যাবাদী। পঞ্চমবারে সে বললোঃ যদি পুরুষ লোকটি সত্যবাদী হয়, তবে তার নিজের উপর আল্লাহর গযব পড়বে। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে পৃথক করে দেন।

بَاب عِظَةِ الْإِمَامِ الرَّجُلَ وَالْمَرْأَةَ عِنْدَ اللِّعَانِ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ يَقُولُ سُئِلْتُ عَنْ الْمُتَلَاعِنَيْنِ فِي إِمَارَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا فَمَا دَرَيْتُ مَا أَقُولُ فَقُمْتُ مِنْ مَقَامِي إِلَى مَنْزِلِ ابْنِ عُمَرَ فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُتَلَاعِنَيْنِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا قَالَ نَعَمْ سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّ أَوَّلَ مَنْ سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فُلَانُ بْنُ فُلَانٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ وَلَمْ يَقُلْ عَمْرٌو أَرَأَيْتَ الرَّجُلَ مِنَّا يَرَى عَلَى امْرَأَتِهِ فَاحِشَةً إِنْ تَكَلَّمَ فَأَمْرٌ عَظِيمٌ وَقَالَ عَمْرٌو أَتَى أَمْرًا عَظِيمًا وَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى مِثْلِ ذَلِكَ فَلَمْ يُجِبْهُ فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَتَاهُ فَقَالَ إِنَّ الْأَمْرَ الَّذِي سَأَلْتُكَ ابْتُلِيتُ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَؤُلَاءِ الْآيَاتِ فِي سُورَةِ النُّورِ وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ حَتَّى بَلَغَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ فَبَدَأَ بِالرَّجُلِ فَوَعَظَهُ وَذَكَّرَهُ وَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الْآخِرَةِ فَقَالَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا كَذَبْتُ ثُمَّ ثَنَّى بِالْمَرْأَةِ فَوَعَظَهَا وَذَكَّرَهَا فَقَالَتْ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنَّهُ لَكَاذِبٌ فَبَدَأَ بِالرَّجُلِ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنْ الصَّادِقِينَ وَالْخَامِسَةُ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنْ الْكَاذِبِينَ ثُمَّ ثَنَّى بِالْمَرْأَةِ فَشَهِدَتْ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنْ الْكَاذِبِينَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ فَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا

اخبرنا عمرو بن علي ومحمد بن المثنى قالا حدثنا يحيى بن سعيد قال حدثنا عبد الملك بن ابي سليمان قال سمعت سعيد بن جبير يقول سىلت عن المتلاعنين في امارة ابن الزبير ايفرق بينهما فما دريت ما اقول فقمت من مقامي الى منزل ابن عمر فقلت يا ابا عبد الرحمن المتلاعنين ايفرق بينهما قال نعم سبحان الله ان اول من سال عن ذلك فلان بن فلان فقال يا رسول الله ارايت ولم يقل عمرو ارايت الرجل منا يرى على امراته فاحشة ان تكلم فامر عظيم وقال عمرو اتى امرا عظيما وان سكت سكت على مثل ذلك فلم يجبه فلما كان بعد ذلك اتاه فقال ان الامر الذي سالتك ابتليت به فانزل الله عز وجل هولاء الايات في سورة النور والذين يرمون ازواجهم حتى بلغ والخامسة ان غضب الله عليها ان كان من الصادقين فبدا بالرجل فوعظه وذكره واخبره ان عذاب الدنيا اهون من عذاب الاخرة فقال والذي بعثك بالحق ما كذبت ثم ثنى بالمراة فوعظها وذكرها فقالت والذي بعثك بالحق انه لكاذب فبدا بالرجل فشهد اربع شهادات بالله انه لمن الصادقين والخامسة ان لعنة الله عليه ان كان من الكاذبين ثم ثنى بالمراة فشهدت اربع شهادات بالله انه لمن الكاذبين والخامسة ان غضب الله عليها ان كان من الصادقين ففرق بينهما


'Abdul-Malik bin Abi Sulaiman said:
"I heard Sa'eed bin Jubair say: 'I was asked about the two who engage in Li'an during the governorship of Ibn Az-Zubair - should they be separated? I did not know what to say, so I got up and went to the house of Ibn 'Umar and said: "O Abu 'Abdur-Rahman, should the two who engage in Li'an be separated?" He said: "Yes, Subhan Allah! The first one who asked about that was so-and-so the son of so-and-so who said: 'O Messenger of Allah, what do you think if a man among us sees his wife committing immoral actions, and if he speaks of it, he will be speaking of a grave matter, but if he keeps quiet, he will be keeping quiet about a grave matter?' He did not answer him, then after that, he came to him and said: 'I was tried with the matter that I asked you about, so Allah, the Mighty and Sublime, revealed these Verses in Surat An-Nur.: 'And for those who accuse their wives' until he reached: 'And the fifth (testimony) should be that the Wrath of Allah be upon her if he (her husband) speaks the truth.' So he started with the man, exhorting him, reminding him, and telling him that the punishment in this world was less severe than the punishment in the Hereafter. He said: 'By the One Who sent you with the truth, I am not lying.' Then he turned to the woman and exhorted her and reminded her. She said: 'By the One Who sent you with the truth, he is lying.' So he started with the man, and he bore witness four times by Allah that he was telling the truth, and the fifth time (he invoked) the curse of Allah upon himself if he was lying. Then he turned to the woman and she bore witness four times by Allah that he was lying, and the fifth time (she invoked) the wrath of Allah upon herself if he was telling the truth. Then he separated them."'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৭/ তালাক (كتاب الطلاق)