পরিচ্ছেদঃ ৫৩. সাগরের পানি দ্বারা ওযু করা
৭৫১. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু্ আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুদলিজ গোত্রের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা এই সাগর পাড়ের অধিবাসী। আমরা ছোট নৌকার মাধ্যমে শিকার করার চেষ্টা করি। ফলে (কখনো কখনো) একরাত, দু’রাত, তিনরাত ও চাররাত পর্যন্ত (উপকূল ছেড়ে) আমাদের সাগরের বুকে অনেক দূরে যেতে হয়। তাই আমরা খাওয়ার জন্য মিষ্টি পানি সাথে নিয়ে যাই। সুতরাং যদি আমরা এ পানি দিয়ে ওযু করি, তবে আমাদের জীবন নাশের আশংকা করি, আর যদি (এ পানির ব্যাপারে) আমাদের জীবনকে অগ্রাধিকার দিই এবং সাগরের পানি দিয়ে ওযু করি, তবে এ (ওযুর) ব্যাপারে আমাদের মনে খটকা অনুভব করি; ফলে আমাদের মনে আশংকা জাগে যে, হয়তোবা (এ পানি দ্বারা ওযু করার মাধ্যমে) আমাদের পবিত্রতা অর্জন হয় না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “তোমরা তা (সাগরের পানি) দ্বারা ওযু করতে থাকো। কেননা, সাগরের পানি পবিত্র এবং এর মৃত জন্তু হালাল।”[1]
بَابُ الْوُضُوءِ مِنْ مَاءِ الْبَحْرِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَحْمَدَ الْحَرَّانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ الْجُلَاحِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ الْمَخْزُومِيِّ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَتَى رِجَالٌ مِنْ بَنِي مُدْلِجٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا أَصْحَابُ هَذَا الْبَحْرِ نُعَالِجُ الصَّيْدَ عَلَى رَمَثٍ فَنَعْزُبُ فِيهِ اللَّيْلَةَ وَاللَّيْلَتَيْنِ وَالثَّلَاثَ وَالْأَرْبَعَ وَنَحْمِلُ مَعَنَا مِنْ الْعَذْبِ لِشِفَاهِنَا فَإِنْ نَحْنُ تَوَضَّأْنَا بِهِ خَشِينَا عَلَى أَنْفُسِنَا وَإِنْ نَحْنُ آثَرْنَا بِأَنْفُسِنَا وَتَوَضَّأْنَا مِنْ الْبَحْرِ وَجَدْنَا فِي أَنْفُسِنَا مِنْ ذَلِكَ فَخَشِينَا أَنْ لَا يَكُونَ طَهُورًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّئُوا مِنْهُ فَإِنَّهُ الطَّاهِرُ مَاؤُهُ الْحَلَالُ مَيْتَتُهُ
رجاله ثقات لكن محمد بن إسحاق قد عنعن وهو مدلس
তাখরীজ: হাকিম ১/১৪১; ((তিরমিযী ৬৯; ইবনু মাজাহ ৩৮৬; বুখারী, তারীখ ৩/৪৭৮ তরজমাহ নং ১৫৯৯; বুখারী সূত্রে বাইহাকী, মা’রেফাহ ১/২২৭; তাহাবী, মুশকিলুল আছার ১০/২০৭ নং ৪০৩৬; আরও দেখুন, বাইহাকী, সুনানুল কুবরা ১/৩; মা’রিফাহ ১/২২৬ নং ৪৭৫; আহমাদ আল মুসনাদ ২/৩৭৮ নং ৮৮৯৯। এর শাহিদ হাদীস রয়েছে জাবির রা: হতে আহমাদ, আল মুসনাদ ৩/৩৭৩ নং ১৫০৫৪; ইবনু মাজাহ ৩৮৮; ইবনু হিব্বান নং ১২৪৪; ইবনু খুযাইমা নং ১১২; হাকিম ১/১৪৩; দারুকুতনী ১/৩৪। আনাস ইবনু মালিক হতে আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ ১/৯৪ নং ৩২০; দারুকুতনী ১/৩৫। আলী ইবনু আবী তালিব, ইবনু আব্বাস, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর হতে বর্ণনা করেছেন, হাকিম, আল মুসতাদরাক ১/১৪২-১৪৩; দারুকুতনী ১/৩৫। আবু বাকর সিদ্দীক রা: এর বক্তব্য হিসেবে বর্ণিত হয়েছে আবু উবাইদ আল কাসিম, আত তহুর ১৮৩ নং ২২৬; ইবনুল মুনজির, আল আওসাত ১/২৪৮ আছার নং ১৫৯; ইবনু আবী শাইবা ১/১৩০।-ফাতহুল মান্নান হা/৭৭৩ এর টীকা দ্র:- অনুবাদক।))
আর হাফিজ ইবনু হাজার তাহযীব ১০/২৫৭ এ বলেন: ‘আবী হুরাইরা হতে তার (মাখযুমী’র) সমুদ্র সম্পর্কিত হাদীসকে সহীহ বলেছেন: ইবনু খুযাইমা, ইবনু হিব্বান, ইবনুল মুনযির, আল খাত্তাবী, তাহাবী, ইবনু মানদাহ, হাকিম, ইবনু হাযম, বাইহাকী, আব্দুল হাক্ব এবং অন্যরা’।’ আরও দেখুন পরবর্তী হাদীসটি। পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।