৫১০৫

পরিচ্ছেদঃ ২০. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাগ ও অহংকার

৫১০৫-[২] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে ব্যক্তি শক্তিশালী বীর নয়, যে মানুষকে আছাড় দেয় (পরাস্ত করে); বরং সে ব্যক্তিই প্রকৃত শক্তিশালী বীর, যে রাগের সময় নিজেকে সংবরণ করতে সক্ষম। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْغَضَبِ وَالْكِبَرِ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ إِنَّمَا الشَّدِيدُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ» . مُتَّفق عَلَيْهِ

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ليس الشديد بالصرعة انما الشديد الذي يملك نفسه عند الغضب» . متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ (لَيْسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ) এখানে প্রকৃত শক্তিশালী হওয়ার ব্যাপারে যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো আধ্যাত্মিক বা মনোস্তাত্ত্বিক শক্তি। এ ধরনের শক্তি স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত। এটি চিরস্থায়ী আর শারীরিক শক্তি হলো ক্ষণস্থায়ী। উক্ত হাদীসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দৈহিক শক্তিকে আধ্যাত্মিক শক্তির দিকে স্থানান্তরিত করেছেন। এভাবেই তিনি জাগতিক বিষয়ের উপর ধর্মীয় বিষয়কে (আধ্যাত্মিক শক্তিকে) প্রাধান্য দিয়েছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)