পরিচ্ছেদঃ ১৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৫২-[২৬] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের কোন মুসলিম ভাইয়ের কাছে ওযর-আপত্তি করে এবং সে মুসলিম যদি তাকে অপারগ বা ওযরযোগ্য মনে না করে অথবা যদি তাকে ক্ষমা না করে, তবে যালীম তহসীলদারের মতো পাপী হবে। [বায়হাক্বী’র ’’শু’আবুল ঈমান’’;[1] আর ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ مَكَّاسٌ অর্থ- ওশর আদায়কারী বা তহসীলদার]
وَعَنْ
جَابِرٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ اعْتَذَرَ إِلَى أَخِيهِ فَلَمْ يَعْذِرْهُ أَوْ لَمْ يَقْبَلْ عُذْرَهُ كَانَ عَلَيْهِ مثلُ خَطِيئَة صَاحب المكس» . رَوَاهُمَا الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ» وَقَالَ: الْمَكَّاسُ: الْعَشَّارُ
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে ‘‘ইবনু জুরায়জ’’ নামে একজন মুদাল্লিস রাবী আছে যে, ‘‘আন’’ দ্বারা হাদীস বর্ণনা করেছে। বিস্তারিত দেখুন- য‘ঈফাহ্ ১৯০৭।
ব্যাখ্যাঃ (كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ خَطِيئَةِ صَاحِبِ الْمَكْسٍ) বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন ব্যক্তি যদি ওযর ও অক্ষমতা বা ক্ষমা প্রার্থনা করার পর যে ব্যক্তি তার ওযর গ্রহণ করল না বা তাকে ক্ষমা করল না, সে ব্যক্তি অত্যাচারী তহসীলদারের ন্যায় অপরাধী, এটা একটা মারাত্মক অপরাধ। অন্য একটি হাদীসে আবূ হুরায়রা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
عِفُّوا عَنْ نِسَاءِ النَّاسِ تَعِفَّ نِسَاؤُكُمْ، وَبِرُّوا آبَاءَكُمْ يَبِرُّكُمْ أَبْنَاؤُكُمْ، وَمَنْ أَتَاهُ أَخُوهُ مُتَنَصِّلًا فَلْيَقْبَلْ ذٰلِكَ مُحِقًّا كَانَ أَوْ مُبْطِلًا، فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ لَمْ يَرِدْ عَلَى الْحَوْضِ
‘তোমরা মানুষের মহিলাদের সতীত্ব বজায় রাখ, তবে তোমাদের মহিলাদেরও সতীত্ব বজায় রাখবে। তোমরা তোমাদের বাপ-দাদাদের সাথে সদাচরণ কর, তবে তোমাদের সন্তানরাও তোমাদের সাথে সদাচরণ করবে। আর তোমাদের কারো কাছে যদি কোন ভাই কোন ওযর অক্ষমতা নিয়ে আসে আর যদি সে সত্য বলে বা মিথ্যা বলে তবুও সে যেন তার ওযর গ্রহণ করে। আর যদি সে সেটা না করে তবে সে যেন আমার হাওযের নিকট না যায়। ইমাম হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এর সানাদ সহীহ। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
অত্র হাদীসটি প্রমাণ করে ওযর-আপত্তি গ্রহণ না করলে সে যুলুমকারী তথা অত্যাচারির মতো। এর কারণ হলো, বিদ্‘আতকারী যেমন বিদ্‘আত করে নিজের প্রতি অত্যাচারের করার কারণে হাওযের কাছে আসতে পারবে না, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে তাড়িয়ে দিবেন, ঠিক তেমনি মানুষের ওযর অক্ষমতা অগ্রহণকারী বা প্রত্যাখ্যানকারী ব্যক্তিরও অবস্থা হবে। [সম্পাদক]