৫০৩৪

পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা

৫০৩৪-[৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিমের পক্ষ এটা উচিত নয় যে, তিনদিনের বেশি সময় নিজের কোন মুসলিম ভাইয়ের ওপর রাগ হয়ে কথা বলা বন্ধ রাখবে। যখন তার সাথে সাক্ষাৎ হবে, তাকে তিনবার সালাম করবে। প্রত্যেকবারেই যদি জবাব না দেয়, তবে সে তার গুনাহ নিয়েই ফিরবে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثٍ فَمِنْ هَجَرَ فَوْقَ ثَلَاثٍ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ لَا يَرُدُّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاء بإثمه» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن عاىشة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «لا يحل لمسلم ان يهجر اخاه فوق ثلاث فمن هجر فوق ثلاث مرات كل ذلك لا يرد عليه فقد باء باثمه» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (فَقَدْ بَاء بإثمه) ‘আল্লামা ত্বীযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যাদের মধ্যে তিনদিন পর্যন্ত কথাবার্তা বন্ধ, এ সময়ের পর পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ হলে রাগান্বিত ব্যক্তিকে পরস্পর তিনবার সালাম দিলে যদি সে একবারও সালামের উত্তর না দেয় তবে সে তার পাপ নিয়ে ফিরে যাবে। এখানে তার পাপ বলতে সম্ভবত যে সালামের উত্তর দেয় না তাকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি আগে সালাম দিয়েছে সে মুসলিম তিনদিনের বেশি কথাবার্তা বর্জন রাখার পাপ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। আর যে মুসলিম সালামের উত্তর দেয়নি তার উপর পাপটা পতিত হবে। অর্থাৎ সে তিনদিনের বেশি কথাবার্তা বর্জন রাখার গুনাহ নিয়ে ফিরবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

হাদীসটির বাস্তবিক শিক্ষা : আমাদের সমাজে অনেক লোককে দেখা যায় একজন অন্যজনের সাথে কোন কারণবশতঃ বহুদিন কথা বন্ধ রাখে। একজন যদি একটু নমনীয় হয়ে অন্যজনকে সালাম দেয় তবে যাকে সালাম দিয়েছে তার দামটা সে বাড়িয়ে ফেলে। অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। যেন শুনতেই পায়নি। অথচ সে স্পষ্টভাবে হাদীসটির বিরোধিতা করল।

হাদীসটির ভাষ্য অনুযায়ী সালামের উত্তর না দেয়ার কারণে সে পাপী থেকে গেল। একদিন হয়ত এমন সময় আসে যে, সালামের উত্তর নেয়নি তার আর সালাম দেয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না তার আগেই তাকে পরকালে পাড়ি জমাতে হয়। [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)