পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৯৪-[৪৮] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা তোমাদের মধ্যে তোমাদের চরিত্র বণ্টন করেছেন, যেভাবে তোমাদের রিজিক বণ্টন করেছেন। আল্লাহ তা’আলা ঐ ব্যক্তিকে দুনিয়া দান করেন, যাকে প্রিয়জন মনে করেন এবং ঐ ব্যক্তিকেও দান করেন, যাকে প্রিয়জন মনে করেন না। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা যাকে ভালোবেসেছেন, তাকে ছাড়া অন্য কাউকে দীন দান করেন না। অতএব যাকে আল্লাহ তা’আলা দীন দান করেন, তাকে তিনি ভালোবেসেছেন। যার হাতে আমার প্রাণ, সে সত্তার কসম, বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম হতে পারে না, যতক্ষণ না তার অন্তর ও মুখ (রসনা) মুসলিম হবে এবং কোন ব্যক্তি ঐ সময় পর্যন্ত মু’মিন হতে পারে না, যতক্ষণ না তার প্রতিবেশী তার অনিষ্টতা থেকে নিরাপদ হবে।[1]
وَعَنِ ابْنِ
مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَسَمَ بَيْنَكُمْ أَخْلَاقَكُمْ كَمَا قَسَمَ بَيْنَكُمْ أَرْزَاقَكُمْ إِن الله يُعْطِي الدُّنْيَا مَنْ يُحِبُّ وَمَنْ لَا يُحِبُّ وَلَا يُعْطِي الدِّينَ إِلَّا مَنْ أَحَبَّ فَمَنْ أَعْطَاهُ اللَّهُ الدِّينَ فَقَدْ أَحَبَّهُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يُسْلِمُ عَبْدٌ حَتَّى يُسْلِمَ قَلْبُهُ وَلِسَانُهُ وَلَا يُؤْمِنُ حَتَّى يَأْمَنَ جَارُهُ بَوَائِقَهُ»
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে ‘‘আস্ সববাহ ইবনু মুহাম্মাদ’’ নামে একজন য‘ঈফ রাবী আছে। তাহক্বীক মুসনাদে ৩৬৭২।
ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীসে মানুষের তাকদীরে যা নির্ধারিত সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘আমি তাদের জীবন উপকরণকে তাদের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছি।’’ (সূরাহ্ আয্ যুখরুফ ৪৩ : ৩২)
আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন দুনিয়াবী রিজিক দান করেন যাকে তিনি ভালোবাসেন, যেমন- নবীগণ, ওলী আউলিয়াগণ; যেমন- সুলায়মান (আ.) এবং ‘উসমান (রাঃ)-এর দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা যেতে পারে। আর যাকে তিনি ভালো না বাসেন তাকেও তিনি দুনিয়া দান করেন, যেমন- ফির‘আওন, হামান। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ বলেছেনঃ ‘‘তোমার প্রতিপালকের দান থেকে আমি এদেরকে আর ওদেরকে সকলকেই সাহায্য করে থাকি, তোমার প্রতিপালকের দান তো বন্ধ হওয়ার নয়’’- (সূরাহ্ ইসরা ১৭ : ২০)। তবে আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন যাকে ভালোবাসেন না তাকে কখনো দীনের জ্ঞানের দেন না। আর যাকে আল্লাহ রববুল ‘আলামীন দীন দিয়েছেন তাকে ভালোবেসেছেন। দীনের বিষয়গুলো নিঃসন্দেহে দুনিয়ার চেয়ে উত্তম। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)