পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৮২-[৩৬] আবুদ্ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, যে মুসলিম তার অপর মুসলিম ভাইয়ের মান-সম্মান বিনষ্ট করা থেকে অন্যকে বিরত রাখে, আল্লাহ তা’আলার ওপর তার হক এই যে, তিনি কিয়ামতের দিন তার ওপর থেকে জাহান্নামের আগুন বিদূরিত করবেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেনঃ ...وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِيْنَ ’’...আর আমাদের ওপর বিশ্বাসীদের সাহায্য করা কর্তব্য’’- (সূরাহ্ আর্ রূম ৩০ : ৪৭)। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَنْ أَبِي
الدَّرْدَاءِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَرُدُّ عَنْ عِرْضِ أَخِيهِ إِلَّا كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يَرُدَّ عَنْهُ نَارَ جَهَنَّمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . ثُمَّ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ: (وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نصر الْمُؤمنِينَ)
رَوَاهُ فِي «شرح السّنة»
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ এর সনদে আছে ‘‘লায়স ও শাহ্র ইবনু হাওশাব’’ নামে দু’জন য‘ঈফ রাবী। দেখুন- হিদায়াতুর্ রুওয়াত ৪/৪৩০ পৃঃ।
ব্যাখ্যাঃ আবূ বকর নাহশালী তিনি কুফার বাসিন্দা ছিলেন, রাবী হিসেবে সত্যবাদী, তবে কেউ কেউ তাকে মুরজিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
مَنْ رَدَّ عَنْ عِرْضِ أَخِيهِ যে তার ভাইয়ের ইয্যত রক্ষা করে, অর্থাৎ তার ভাইয়ের কোন দোষত্রুটি গোপন রাখে। অথবা তাকে কেউ অসম্মানিত করতে চাইলে তা প্রতিহত করে।
رَدَّ اللهُ عَنْ وَجْهِهِ النَّارَ আল্লাহ তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন। আল মানবী বলেনঃ এখানে চেহারা বলে শুধু চেহারাই উদ্দেশ্য নয় চেহারাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো চেহারায় ‘আযাবের তীব্রতা অনেক বেশী টের পাওয়া যায় এবং তা লাঞ্ছনা-গঞ্জনার জন্য সর্বাধিক কার্যকরী।
(তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯৩১)