৬৮২৪

পরিচ্ছেদঃ ৩০৯০. নবী (সাঃ) যা বলেছেন এবং আলেমদেরকে ঐক্যের প্রতি যে উৎসাহ প্রদান করেছেন। আর যেসব বিষয়ে হারামাঈন মক্কা ও মদীনার আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। মদীনায় নবী করীম (সাঃ) মুহাজির ও আনসারদের স্মৃতিচিহ্ন এবং নবী (সাঃ) এর নামাযের স্থান, মিন্বর ও কবর সম্পর্কে

৬৮২৪। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) কে পবিত্র কুরআনের তালীম দিতাম। উমর (রাঃ) যখন জীবনের সর্বশেষ হাজ্জ (হজ্জ) পালন করতে আসলেন, তখন আবদুর রহমান (রাঃ) মিনায় আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, তুমি আজ আমীরুল মুমিনীনদের নিকট থাকলে দেখতে পেতে যে, তার কাছে এক ব্যাক্তি এসে বলল, জনৈক ব্যাক্তি বলেছে, যদি আমীরুল মু’মিনীন মারা যেতেন, তাহলে আমরা অমুক ব্যাক্তির হাতে বায়’আত নিতে পারতাম। উমর (রাঃ) বললেন, আজ বিকেলে দাঁড়িয়ে আমি তাদেরকে সতর্ক করব, যারা মুসলিমদের অধিকারকে ছিনিয়ে নিতে চায়। আমি বললাম, আপনি এটি করবেন না। কেননা, এখন হাজ্জের (হজ্জ) মৌসুম। এখন সাধারণ লোকের উপস্থিতির সময়। তারা আপনার মজলিসকে ঘিরে ফেলবে।

আমার ভয় হচ্ছে যে, তারা আপনার বক্তব্য যথাযথভাবে অনুধাবন করবে না। রদবদল করে চারদিকে ছড়িয়ে দেবে। বরং এখন আপনি হিজরত ও সুন্নাতের আবাসগৃহ মদিনায় পৌছা পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করুন। এরপর একমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুহাজির ও আনসার সাহাবাদের নিকট আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তারা আপনার বক্তব্য সংরক্ষণ করবে এবং তার যথাযথ মর্যাদা প্রদান করবে। উমর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি মদিনায় পৌছলে সবচেয়ে আগে এটি করব। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমরা মদিনায় উপিস্থিত হলাম। তখন উমর (রাঃ) ভাষণ প্রসঙ্গে বললেন, আল্লাহ তাআলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সত্য বাণী দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তন্মধ্যে ’রজম’ (তথা পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা) এর আয়াতও রয়েছে।

باب مَا ذَكَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَحَضَّ عَلَى اتِّفَاقِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَمَا أَجْمَعَ عَلَيْهِ الْحَرَمَانِ مَكَّةُ وَالْمَدِينَةُ، وَمَا كَانَ بِهَا مِنْ مَشَاهِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ وَمُصَلَّى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمِنْبَرِ وَالْقَبْرِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كُنْتُ أُقْرِئُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، فَلَمَّا كَانَ آخِرَ حَجَّةٍ حَجَّهَا عُمَرُ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بِمِنًى، لَوْ شَهِدْتَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَتَاهُ رَجُلٌ قَالَ إِنَّ فُلاَنًا يَقُولُ لَوْ مَاتَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ لَبَايَعْنَا فُلاَنًا‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ لأَقُومَنَّ الْعَشِيَّةَ فَأُحَذِّرَ هَؤُلاَءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَغْصِبُوهُمْ‏.‏ قُلْتُ لاَ تَفْعَلْ فَإِنَّ الْمَوْسِمَ يَجْمَعُ رَعَاعَ النَّاسِ يَغْلِبُونَ عَلَى مَجْلِسِكَ، فَأَخَافُ أَنْ لاَ يُنْزِلُوهَا عَلَى وَجْهِهَا فَيُطِيرُ بِهَا كُلُّ مُطِيرٍ، فَأَمْهِلْ حَتَّى تَقْدَمَ الْمَدِينَةَ دَارَ الْهِجْرَةِ وَدَارَ السُّنَّةِ، فَتَخْلُصُ بِأَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ فَيَحْفَظُوا مَقَالَتَكَ، وَيُنَزِّلُوهَا عَلَى وَجْهِهَا‏.‏ فَقَالَ وَاللَّهِ لأَقُومَنَّ بِهِ فِي أَوَّلِ مَقَامٍ أَقُومُهُ بِالْمَدِينَةِ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، فَكَانَ فِيمَا أُنْزِلَ آيَةُ الرَّجْمِ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا عبد الواحد، حدثنا معمر، عن الزهري، عن عبيد الله بن عبد الله، قال حدثني ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ قال كنت اقرى عبد الرحمن بن عوف، فلما كان اخر حجة حجها عمر فقال عبد الرحمن بمنى، لو شهدت امير المومنين اتاه رجل قال ان فلانا يقول لو مات امير المومنين لبايعنا فلانا‏.‏ فقال عمر لاقومن العشية فاحذر هولاء الرهط الذين يريدون ان يغصبوهم‏.‏ قلت لا تفعل فان الموسم يجمع رعاع الناس يغلبون على مجلسك، فاخاف ان لا ينزلوها على وجهها فيطير بها كل مطير، فامهل حتى تقدم المدينة دار الهجرة ودار السنة، فتخلص باصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم من المهاجرين والانصار فيحفظوا مقالتك، وينزلوها على وجهها‏.‏ فقال والله لاقومن به في اول مقام اقومه بالمدينة‏.‏ قال ابن عباس فقدمنا المدينة فقال ان الله بعث محمدا صلى الله عليه وسلم بالحق وانزل عليه الكتاب، فكان فيما انزل اية الرجم‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:

I used to teach Qur'an to 'Abdur-Rahman bin Auf. When Umar performed his last Hajj, 'Abdur-Rahman said (to me) at Mina, "Would that you had seen Chief of the believers today! A man came to him and said, "So-and-so has said, "If Chief of the Believers died, we will give the oath of allegiance to such-and-such person,' 'Umar said, 'I will get up tonight and warn those who want to usurp the people's rights.' I said, 'Do not do so, for the season (of Hajj) gathers the riffraff mob who will form the majority of your audience, and I am afraid that they will not understand (the meaning of) your saying properly and may spread (an incorrect statement) everywhere. You should wait till we reach Medina, the place of migration and the place of the Sunna (the Prophet's Traditions). There you will meet the companions of Allah's Messenger (ﷺ) from the Muhajirin and the Ansar who will understand your statement and place it in its proper position' 'Umar said, 'By Allah, I shall do so the first time I stand (to address the people) in Medina.' When we reached Medina, 'Umar (in a Friday Khutba-sermon) said, "No doubt, Allah sent Muhammad with the Truth and revealed to him the Book (Quran), and among what was revealed, was the Verse of Ar-Rajm (stoning adulterers to death).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন (كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة)