৪৯৩৪

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার

৪৯৩৪-[২৪] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের বংশ পরিচয় শিক্ষা করো, তাহলে আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারবে। কেননা আত্মীয়তার সম্পর্ক আপনজনের মধ্যে সম্প্রীতি, ধন-সম্পদের প্রবৃদ্ধি এবং আয়ুতে দীর্ঘজীবী হওয়ার উপলক্ষ হয়। [তিরমিযী; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব।][1]

وَعَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَعَلَّمُوا مِنْ أَنْسَابِكُمْ مَا تَصِلُونَ بِهِ أَرْحَامَكُمْ فَإِنَّ صِلَةَ الرَّحِمِ مَحَبَّةٌ فِي الْأَهْلِ مَثْرَاةٌ فِي الْمَالِ مَنْسَأَةٌ فِي الْأَثَرِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب

وعن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «تعلموا من انسابكم ما تصلون به ارحامكم فان صلة الرحم محبة في الاهل مثراة في المال منساة في الاثر» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب

ব্যাখ্যাঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী ‘‘তোমরা বংশ পরিচয় শিক্ষা কর’’-এর অর্থ হলো তোমার বংশের পূর্বপুরুষ, যেমন- বাপ, দাদা, চাচা, মামা ইত্যাদি এবং তাদের শাখা-প্রশাখার নামগুলো শিক্ষা কর। এতে পরস্পরের চেনা জানার ভিত্তিতে মুহাব্বাত ও দয়ার্দ্রতা সৃষ্টি হবে এবং দু’জনের মাঝের ঝগড়ার সম্ভাবনা দূর হবে। এ হাদীস এটাও করে যে, আত্মীয়তার সম্পর্ক সকল যবীলে আরহামের (মায়ের আত্মীয়তার সম্পর্কীয়দের) সাথে সম্পৃক্ত শুধুমাত্র পিতা-মাতার সাথে সম্পৃক্ত নয়, যেমন কতিপয় ‘আলিম ও বিজ্ঞজনের ধারণা। আরো ব্যাখ্যা হলো নিম্নের হাদীস, تَعَرَّفُوا أَقَارِبَكُمْ مِنْ ذَوِي الْأَرْحَامِ

অর্থাৎ তোমরা যবীলে আরহাম বা নিকটাত্মীয়দের পরিচয় শিক্ষা কর, যাতে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হয় এবং তাদের প্রতি মুহাববাত সৃষ্টি হয় ফলে ইহসান করা সম্ভব হয়।

বংশ-পরিচয় লাভ করা এবং তাদের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক সুরক্ষার যতগুলো সুফল রয়েছে তন্মধ্যে সম্পদের প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘায়ু লাভ অন্যতম সুফল। সম্পদের প্রবৃদ্ধি হলো আয় উপার্জন বেড়ে যাওয়া এবং তাতে বারাকাত লাভ করা। আর আয়ু বৃদ্ধির অর্থ হলো অল্প জীবনেই দীর্ঘ জীবনের ‘ইবাদাতের তাওফীক লাভ করা এবং বেশী বেশী ‘ইবাদাতের সুযোগ লাভ করা। সর্বোপরি স্বাস্থ্য ও মানাসিকভাবে ‘ইবাদাতের যোগ্যতার লাভ করা এবং শির্ক ও বিদ্‘আতমুক্ত সঠিক ‘আমলের রাস্তা পাওয়া।

কেউ কেউ বলেছেন, মৃত্যু দেরিতে হওয়া বা হায়াত বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ হলো বাস্তবেই বৃদ্ধি পাওয়া, যা আল্লাহর একক ‘ইল্মের মধ্যেই রয়েছে। কেউ বলেন, এর অর্থ হলো তার বংশ ও ভালো প্রজন্মের মধ্যে তার সুনাম সুখ্যাতি চিরদিন অবশিষ্ট থাকা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)