পরিচ্ছেদঃ ১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯৩১-[২১] ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, সে সম্প্রদায়ের ওপর আল্লাহ তা’আলার রহমত নাযিল হবে না, যারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী। [ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) ’’শু’আবুল ঈমানে’’ বর্ণনা করেছেন।][1]
وَعَنْ عَبْدُ
اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا تَنْزِلُ الرَّحْمَةُ عَلَى قَوْمٍ فِيهِمْ قَاطِعُ الرَّحِمِ» رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَان»
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে ‘‘সুলায়মান’’ নামক একজন বর্ণনাকারী আছে, ইবনু মা‘ঈন যাকে বিশ্বস্ত নয়, বাযযার বা মিথ্যুক বলে উল্লেখ করেছেন। দেখুন- সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১৪৫৬।
ব্যাখ্যাঃ ‘আল্লামা তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যে কওম বা সম্প্রদায়ের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী থাকবে তাদের ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষণ হয় না। এ হাদীসে ঐ কত্তম বা সম্প্রদায়ের এ শান্তির কারণ হলো যারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের কাজে বাধা না দিয়ে বরং সাহায্য করবে। তিনি আরো বলেন, এখানে রহমত দ্বারা উদ্দেশ্য দুর্ভাগ্যজনক অনাবৃষ্টির ক্ষরদাহ বিদীর্ণ করে প্রাণ সঞ্চয়ী বৃষ্টিপাত না হওয়া। অর্থাৎ তাদের ওপর কল্যাণের বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যাওয়া। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)