পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৮০২-[২০] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন কিছু কথা শিক্ষা করে, যাতে পুরুষদের বা লোকেদের অন্তরকে আকৃষ্ট এবং সম্মোহিত করা যায়, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার নফল ও ফরয (’ইবাদাত) কোনটাই কবুল করবেন না। (আবূ দাঊদ)[1]
                      وَعَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَعَلَّمَ صَرْفَ  الْكَلَامِ لِيَسْبِيَ بِهِ قُلُوبَ الرِّجَالِ أَوِ النَّاسِ لَمْ يَقْبَلِ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلَا عدلا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
                    
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে আছে ‘‘যহ্হাক ইবনু শুরাহবীল’’ নামের একজন বর্ণনাকারী। ইনি একজন মিসরী। ইবনু ইউনুস তাকে মিসরীয়দের ইতিহাস নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। ইমাম বুখারী ও ইবনু আবী হাকিম (রহিমাহুল্লাহ)-ও তার আলোচনা করেছেন কিন্তু তারা কোন সাহাবী থেকে তার হাদীস বর্ণনার কথা উল্লেখ করেননি। তার বর্ণনা কেবলামাত্র তাবি‘ঈদের থেকে আর অত্র হাদীসটি তিনি আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন, এ কারণেই হাদীসটি মুনকত্বি‘ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে গেছে। দেখুন- ‘আওনুল মা‘বূদ ১৩/২৩৮ পৃঃ, হাঃ ৫০০৬।
ব্যাখ্যাঃ صرفا তাওবাহ্ অথবা নফল ‘ইবাদাত। عدلا মুক্তিপণ অথবা ফরয ‘ইবাদাত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৯৯৮)