পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৬০-[৩৩] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোন মাজলিসে পৌঁছে, সে যেন সালাম করে। অতঃপর যদি বসার প্রয়োজন হয়, তবে বসে পড়বে। অতঃপর যখন প্রস্থানের উদ্দেশে দাঁড়াবে সালাম দেবে। কেননা প্রথমবারের সালাম দ্বিতীয়বারের সালামের চেয়ে উত্তম নয় (অর্থাৎ- উভয় সালামই মর্যাদার দিক দিয়ে সমান)। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا انْتَهَى أَحَدُكُمْ إِلَى مَجْلِسٍ فَلْيُسَلِّمْ فَإِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يَجْلِسَ فَلْيَجْلِسْ ثُمَّ إِذَا قَامَ فَلْيُسَلِّمْ فَلَيْسَتِ الْأُولَى بِأَحَقَّ مِنَ الْآخِرَةِ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ উপস্থিত হওয়ার সময়ে প্রথম সালাম যেন তার অনিষ্ট হতে নিরাপত্তার ঘোষণাস্বরূপ এবং বিদায়কালীন সালাম হলো অনুপস্থিত থেকে তার কোন ক্ষতি থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করা। তিনি আরো বলেন, অনুপস্থিতির নিরাপত্তার চাইতে উপস্থিতির সময় যে সালাম দেয়া হয় তা অধিক উপযুক্ত নয়। বরং পরেরটি বেশি উপযুক্ত। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীস প্রমাণ করে যে, প্রস্থানের সময় যখন কোন দলকে সালাম দিবে তখন তার সালামের জবাব দেয়া দলের ওপর ওয়াজিব।
কাযী হুসায়ন ও আবূ সা‘ঈদ মুতাওয়াল্লী (রহিমাহুমাল্লাহ) বলেনঃ প্রস্থানের সময়ে কোন মানুষের সালাম দেয়ার যে প্রথাটি চালু রয়েছে, সেটা হচ্ছে দু‘আ। এর জবাব দেয়া মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়। কারণ অভিবাদন সাক্ষাতের সময় হয়ে থাকে। প্রস্থানের সময় হয় না। তবে এ মতের বিরোধিতা করেন ইমাম শাশী। তিনি বলেন, সাক্ষাতের সময় যেমন সালাম দেয়া সুন্নাত, প্রস্থানের সময়েও সালাম দেয়া তেমনি সুন্নাত। সাক্ষাতের সময় যেমন সালামের জবাব দেয়া ওয়াজিব তেমনিভাবে প্রস্থানের সময় জবাব দেয়াও ওয়াজিব। এটাই হলো বিশুদ্ধ মত। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৭০৬)