পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫৭-[৩০] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ অন্য কাউকে চিঠি লেখে, তখন তাতে যেন (লেখা শেষে) মাটি লাগিয়ে দেয়। কেননা এটা উদ্দেশ্য পূরণে অধিকতর সফলকারী। [তিরমিযী; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ হাদীসটি মুনকার][1]
وَعَنْ جَابِرٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذا كتب أحدكُم كتابا فليتر بِهِ فَإِنَّهُ أَنْجَحُ لِلْحَاجَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيث مُنكر
হাদীসটির য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে ‘‘হামযা নাসিবী’’ নামের বর্ণনাকারী য‘ঈফ। আলবানী (রহিমাহুল্লাহ) তাকে মাতরূক ও হাদীস জাল করার অভিযোগ অভিযুক্ত করে করেছেন। দেখুন- য‘ঈফাহ্ ১৭৩৮, হিদায়াতুর্ রুওয়াত ৪/৩১৮ পৃঃ।
ব্যাখ্যাঃ মাজমা' গ্রন্থে বলা হয়েছে, উদ্দেশ্য সাধনে আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসা রাখার জন্য চিঠিকে মাটিতে ফেলা হয়। অথবা মাটি লাগানো হয়।
ইমাম মুযহির (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ লেখক যেন অধিক নমনীয়তার সাথে সম্বোধন করে। আর মাটিময় করার অর্থ হলো সম্বোধনে অধিক নমনীয়তা প্রদর্শন করা।
কেউ কেউ বলেনঃ মাটি লাগানোর উদ্দেশ্য হলো লিখনী মুছে যাওয়া থেকে রক্ষার জন্য। ভেজা কালিকে শুকিয়ে নেয়া। নিঃসন্দেহে লিখনী স্বঅবস্থায় বিদ্যমান থাকা প্রয়োজন পূরণে অব্যর্থ ব্যবস্থা। আর সেটা মিটে যাওয়া উদ্দেশ্য সাধনের প্রতিবন্ধক স্বরূপ। তিরমিযীর ভাষ্যকার বলেনঃ মাটিযুক্ত করার নির্ভরযোগ্য অর্থ হলো সেটাকে শুকিয়ে নেয়া।
(فَإِنَّهٗ أَنْجَحُ لِلْحَاجَةِ) অর্থাৎ এটা উদ্দেশ্য পূরণে সর্বাধিক নিকটতম ও সহজ উপায়।
(তুহফাতুল আহওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৭১৩)
তবে যেহেতু হাদীসটি য‘ঈফ তথা মুনকার, সেহেতু এর উপর ‘আমল করা বৈধ নয়। [সম্পাদক]