পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৬০৮-[৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উত্তম স্বপ্ন নুবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
الْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ»
[1] সহীহ : বুখারী ৬৯৮৩, ৬৯৮৭, ৬৯৮৮, ৬৯৮৯, ৬৯৯৪; মুসলিম (২২৬৪)-৭, (২২৬৩)-৮, আবূ ইয়া‘লা ৩২৩৭, আহমাদ ৭১৮৩, ইবনু আবূ শায়বাহ্ ৩০৪৬০, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০৩৫৫, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাক্বী ৬৩৭৩, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৫১১, আবূ দাঊদ ৫০১৮, সহীহ আল জামি‘উস্ সগীর ৩৪৫৭, ইবনু মাজাহ ৩৮৯৩, তিরমিযী ২২৭১।
ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীসের রিওয়ায়াত সম্পর্কে বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। তার মাঝে অধিক নির্ভরযোগ্য মত হলো যা সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, পঁয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। অন্য একটি রিওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে, ৭০ ভাগের এক ভাগ। ইবনু ‘আবদুল বার (রহিমাহুল্লাহ)-এর নিকটে ২৬ ভাগের এক ভাগ। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ)-এর নিকট চব্বিশ ভাগের একভাগ। এ সমস্ত রিওয়ায়াতগুলো বিরল। যা কম বা অল্প করে বর্ণিত হয়েছে। আর উদ্দেশ্য হলো এই যে, নুবুওয়াতের অনেকভাগ রয়েছে তা অবশিষ্ট থাকবে তবে তার কিছু ভাগ হচ্ছে সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে সুসংবাদ।
আর ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগের ব্যাখ্যাটি এভাবে করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিপূর্ণ নুবুওয়াতের সময় ছিল তেইশ বছর এর মাঝে ছয় মাস পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা স্বপ্নের মাধ্যমে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে ওয়াহী করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্নকে নুবুওয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ বলা হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফতীহ)
কাযী আবূ বকর ইবনুল ‘আরাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ সৎ মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের অংশ। আর ফাসিকের স্বপ্নকে নবূয়াতের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
কাযী আবূ বকর ইবনুল ‘আরাবী (রহিমাহুল্লাহ) আরো বলেছেনঃ স্বপ্ন নুবুওয়াতের অংশ। এর বাস্তবতা শুধু মালাক (ফেরেশতা), অথবা নবীগণ জানেন।
মুলহিব (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ মানুষ তিন স্তরে বিভক্ত। যথা : ১. নবীগণ। তাদের স্বপ্ন সত্য। তাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়। ২. সৎ লোকগণ। তাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। ৩. সাধারণ লোকগণ তাদের ভালো-মন্দ উভয় ধরনের স্বপ্ন হয়। (ফাতহুল বারী ১২শ খন্ড, হাঃ ৬৯৮৩)