৬৭৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা, ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয় গ্রহণযোগ্য। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তাদের প্রত্যেক দলের এক অংশ বহির্গত হয় না কেন? যাতে তারা দ্বীন সম্বন্ধে জ্ঞানানুশীলন করতে পারে এবং তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে, যখন তারা তাদের নিকট ফিরে আসবে, যাতে তারা সতর্ক হয় (৯ঃ ১২২)। طَائِفَة শব্দটি এক ব্যক্তিকেও বলা যায়। কেননা আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ মু’মিনদের দুই দল দ্বন্দে লিপ্ত হলে ... (৪৯ঃ ৯) অতএব যদি দুই ব্যক্তি দ্বন্দে লিপ্ত হয় তবে তা এ আয়াতের অর্থের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ যদি কোন পাপাচারী তোমাদের কাছে কোন বার্তা আনয়ন করে তোমরা তা পরিক্ষা করে দেখবে যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোন সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত না করে ... (৪৯ঃ ৬)। নবী (সাঃ) কিরূপে তার আমীরদের পর্যায়ক্রমে একজনের পর একজনকে পাঠাতেন – যেন তাদের কেউ ভুল করলে তাকে সুন্নাতের দিকে ফিরিয়ে আনা হয়।

৬৭৬৪। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) ও যায়িদ ইবনু খালিদ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে দু’ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একটি মুকাদ্দামা দায়ের করল। তবে আবুল ইয়ামান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে এ বর্ননায় উল্লেখ করা হয় যে, তিনি [আবূ হুরায়রা (রাঃ)] বলেছেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় একজন বেদুঈন দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহ তা’আলার কিতাব অনুসারে আমার (বিচারের) ফায়সালা করে দিন। তখন তার প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি ঠিকই বলেছেন, আল্লাহর কিতাব অনুসারে তার ফায়সালা করে দিন। এবং (অনুগ্রহ করে) আমাকে বলার অনুমতি দিন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি বল। তখন সে বলল, আমার ছেলে এ লোকটির বাড়িতে মজুর ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, হাদীসে উক্ত عَسِيفاً শব্দটি শ্রমিকের অর্থে ব্যবহত হয়েছে। সে ছেলে এ লোকের স্ত্রীর সাথে যিনায় লিপ্ত হয়। কতিপয় লোক আমাকে বলল যে, আমার ছেলের উপর ’রজম’ (প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা) এর বিধান কার্যকর হবে।

তখন আমি আমার ছেলের মুক্তিপণ হিসাবে সেই মহিলাকে) একশ বকরী ও একটি দাসী দেই। এরপর আমি আলেমদের নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি। তাঁরা আমাকে বললেনঃ যে, তাঁর স্ত্রীর উপর ’রজম’ এর হুকুম অবধারিত। আর আমার ছেলের জন্য রয়েছে একশ’ বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তরের হুকুম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ করে বলছি, অবশ্যই আমি তোমাদের দু’জনের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করব। বকরী ও বাঁদী ফিরিয়ে নাও, আর তোমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তরের হুকুম কার্যকর হবে। এরপর তিনি আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যাক্তিকে সম্বোধন করে বললেনঃ হে উনায়স! তুমি এর স্ত্রীর নিকট যাও, যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে ’রজম’ করো। উনায়স সেই স্ত্রীলোকটির নিকট গেলেন, সে স্বীকার করল তখন তিনি তাকে রজম করলেন।

بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الْوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالْفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ وَقَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: {فَلَوْلاَ نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ}. وَيُسَمَّى الرَّجُلُ طَائِفَةً لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا}. فَلَوِ اقْتَتَلَ رَجُلاَنِ دَخَلَ فِي مَعْنَى الآيَةِ. وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا}. وَكَيْفَ بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَرَاءَهُ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ، فَإِنْ سَهَا أَحَدٌ مِنْهُمْ رُدَّ إِلَى السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ وَزَيْدَ بْنَ خَالِدٍ أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏
وَحَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ قَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَعْرَابِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اقْضِ لِي بِكِتَابِ اللَّهِ‏.‏ فَقَامَ خَصْمُهُ فَقَالَ صَدَقَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، اقْضِ لَهُ بِكِتَابِ اللَّهِ، وَأْذَنْ لِي‏.‏ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قُلْ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا ـ وَالْعَسِيفُ الأَجِيرُ ـ فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ، فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةٍ مِنَ الْغَنَمِ وَوَلِيدَةٍ، ثُمَّ سَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى امْرَأَتِهِ الرَّجْمَ، وَأَنَّمَا عَلَى ابْنِي جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ، أَمَّا الْوَلِيدَةُ وَالْغَنَمُ فَرُدُّوهَا، وَأَمَّا ابْنُكَ فَعَلَيْهِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ، وَأَمَّا أَنْتَ يَا أُنَيْسُ ـ لِرَجُلٍ مِنْ أَسْلَمَ ـ فَاغْدُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا، فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا ‏"‏‏.‏ فَغَدَا عَلَيْهَا أُنَيْسٌ فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا‏.‏

حدثنا زهير بن حرب، حدثنا يعقوب بن ابراهيم، حدثنا ابي، عن صالح، عن ابن شهاب، ان عبيد الله بن عبد الله، اخبره ان ابا هريرة وزيد بن خالد اخبراه ان رجلين اختصما الى النبي صلى الله عليه وسلم‏.‏ وحدثنا ابو اليمان، اخبرنا شعيب، عن الزهري، اخبرني عبيد الله بن عبد الله بن عتبة بن مسعود، ان ابا هريرة، قال بينما نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ قام رجل من الاعراب فقال يا رسول الله اقض لي بكتاب الله‏.‏ فقام خصمه فقال صدق يا رسول الله، اقض له بكتاب الله، واذن لي‏.‏ فقال له النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قل ‏"‏‏.‏ فقال ان ابني كان عسيفا على هذا ـ والعسيف الاجير ـ فزنى بامراته فاخبروني ان على ابني الرجم، فافتديت منه بماىة من الغنم ووليدة، ثم سالت اهل العلم فاخبروني ان على امراته الرجم، وانما على ابني جلد ماىة وتغريب عام‏.‏ فقال ‏"‏ والذي نفسي بيده لاقضين بينكما بكتاب الله، اما الوليدة والغنم فردوها، واما ابنك فعليه جلد ماىة وتغريب عام، واما انت يا انيس ـ لرجل من اسلم ـ فاغد على امراة هذا، فان اعترفت فارجمها ‏"‏‏.‏ فغدا عليها انيس فاعترفت فرجمها‏.‏


Narrated Abu Huraira and Zaid bin Khalid:

Two men sued each other before the Prophet.

Narrated Abu Huraira:

While we were with Allah's Messenger (ﷺ) a bedouin got up and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Settle my case according to Allah's Book (Laws)." Then his opponent got up and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! He has said the truth! Settle his case according to Allah's Book (Laws.) and allow me to speak," He said, "My son was a laborer for this man and he committed illegal sexual intercourse with his wife. The people told me that my son should be stoned to death but I ransomed him with one-hundred sheep and a slave girl. Then I asked the religious learned people and they told me that his wife should be stoned to death and my son should receive one-hundred lashes and be sentenced to one year of exile.' The Prophet (ﷺ) said, "By Him in Whose Hands my life is, I will judge between you according to Allah's Book (Laws): As for the slave girl and the sheep, they are to be returned; and as for your son, he shall receive onehundred lashes and will be exiled for one year. You, O Unais!" addressing a man from Bani Aslam, "Go tomorrow morning to the wife of this (man) and if she confesses, then stone her to death." The next morning Unais went to the wife and she confessed, and he stoned her to death.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৪/ খবরে ওয়াহিদ (كتاب أخبار الآحاد)