৪২১১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪২১১-[৫৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে এক পাত্র সারীদ আনা হলো। তখন তিনি লোকেদেরকে বললেনঃ তোমরা এর পাশ থেকে খাও, মাঝখান থেকে খেয়ো না। কেননা খাদ্যের বারাকাত মাঝখানে অবতীর্ণ হয়। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এ হাদীসটি হাসান ও সহীহ। আর আবূ দাঊদ-এর বর্ণনাতে আছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ খাবার খায়, সে যেন পাত্রের উপরিভাগ হতে না খায়; বরং তার নিম্নভাগ হতে খায়। কেননা বারাকাত উপরিভাগে (মাঝখানেই) অবতীর্ণ হয়।

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّهُ أُتِيَ بِقَصْعَةٍ مِنْ ثَرِيدٍ فَقَالَ: «كُلُوا مِنْ جَوَانِبِهَا وَلَا تَأْكُلُوا مِنْ وَسَطِهَا فَإِنَّ الْبَرَكَةَ تَنْزِلُ فِي وَسَطِهَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حسن صَحِيح

وعن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم: انه اتي بقصعة من ثريد فقال: «كلوا من جوانبها ولا تاكلوا من وسطها فان البركة تنزل في وسطها» . رواه الترمذي وابن ماجه والدارمي وقال الترمذي: هذا حديث حسن صحيح

ব্যাখ্যাঃ (كُلُوا مِنْ جَوَانِبِهَا) ‘‘তোমরা তার পার্শ্ব থেকে খাও’’। অর্থাৎ প্রত্যেকেই যেন তার নিজের পার্শ্ব থেকে খায়। (وَلَا تَأْكُلُوا مِنْ وَسَطِهَا) ‘‘তোমরা তার মাঝখান থেকে খাবে না।’’ (فَإِنَّ الْبَرَكَةَ تَنْزِلُ فِىْ وَسَطِهَا) ‘‘কেননা মাঝখানে বারাকাত অবতীর্ণ হয়। মাঝখানটা বারাকাত অবতীর্ণ হওয়ার উপযুক্ত স্থান, কেননা মাঝখানে বারাকাত অবতীর্ণ হলে চতুস্পার্শ্বের লোকেরাই তা দ্বারা উপকৃত হতে পারবে। এর হিকমাত এও হাতে পারে যে, মাঝখানের অংশে সবাই সমান অংশীদার। অতঃপর তাতে কেউ যদি লোভের বশবর্তী হয়ে আক্রমণ চালায় তাহলে ঐ বারাকাত বন্ধ হয়ে যায়। কেননা লোভ অশুভ। আর লোভী ব্যক্তি বঞ্চিত হয়ে থাকে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

অত্র হাদীসের শিক্ষা : পাত্রের মাঝখান থেকে না খেয়ে তার কিনারা থেকে খাওয়া বিধিসম্মত।

শাফি‘ঈ (রহিমাহুল্লাহ) এবং অন্যরা বলেনঃ পাত্রের মাঝখান থেকে খাওয়া মাকরূহ।

ইমাম গাযালী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ রুটি খেলেও তার মাঝখান থেকে খাবে না বরং তা কিনারা থেকে খাবে। কেননা খাদ্যের মাঝখানে বারাকাত নাযিল হয়ে থাকে যেমনটি হাদীসে বলা হয়েছে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮০৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة)