৪২০৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪২০৭-[৪৯] আবূ আইয়ূব আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কিছু খেতেন বা পান করতেন, তখন এ দু’আ পড়তেন, ’’আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযী আত্ব’আমা ওয়াসাকা- ওয়াসাও্ ওয়াগাহূ ওয়াজা’আলা লাহূ মাখরাজা-’’ (সমস্ত প্রশংসা সে আল্লাহর জন্য যিনি খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন, অতি সহজে তা উদরস্থ করিয়েছেন এবং [মলদ্বার দিয়ে অপ্রয়োজনীয় অংশ] বের হওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।)। (আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَن أبي أيوبٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَكَلَ أَوْ شَرِبَ قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَ وَسَقَى وَسَوَّغَهُ وَجَعَلَ لَهُ مخرجا» رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابي ايوب قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اكل او شرب قال: «الحمد لله الذي اطعم وسقى وسوغه وجعل له مخرجا» رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (سَوَّغَهٗ) ‘‘তা স্যুপেয় করেছেন’’ অর্থাৎ খাদ্য ও পানিয়কে সহজেই কণ্ঠনালীতে প্রবেশ করিয়েছেন।

(وَجَعَلَ لَهٗ مَخْرَجًا) ‘‘এবং তা নির্গমনের রাস্তা বানিয়েছেন।’’ অর্থাৎ প্রস্রাব ও পায়খানার রাস্তা তৈরি করেছেন। মহান আল্লাহ তা‘আলা খাদ্যকে তার থলিতে অবস্থান করার জন্য একটা সময় নির্ধারণ করেছেন। যাতে তার উপকারী অংশ ও ক্ষতিকর অংশ পৃথক হতে পারে। অতঃপর উপকারী অংশ রক্ত গোশত ও চর্বি আকারে থেকে যায় আর ক্ষতিকর অংশ মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসে। এটা বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর বড় অনুগ্রহ। এজন্যই বান্দার অন্তর দিয়ে তার কৃতজ্ঞতা করা মুখে তা প্রকাশ করা এবং অঙ্গ দ্বারা আল্লাহর আদেশ নিষেধ অনুযায়ী কাজ করা অপরিহার্য। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৮৪৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة)