পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২০৫-[৪৭] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ খাবার খেয়ে শুকরিয়া আদায়কারী সংযমী সায়িমের (রোযাদারের) ন্যায় (সাওয়াবের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়)। (তিরমিযী)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الطَّاعِمُ الشَّاكِرُ كَالصَّائِمِ الصابر» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যাঃ (الطَّاعِمُ) ‘‘আহারকারী’’ অর্থাৎ পানাহারকারী। (الشَّاكِرُ) ‘‘কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারী’’ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নিম্নপর্যায় হলো খাবার শুরুতে ‘‘বিসমিল্লা-হ’’ বলা এবং খাবার শেষ হলে ‘‘আলহামদুলিল্লা-হ’’ বলা।
(كَالصَّائِمِ الصَّابِرِ) ‘‘ধৈর্য ধারণকারী সায়িমের’’ সিয়ামের ধৈর্যের নিম্নপর্যায় হলো রোযা ভঙ্গকারী সকল কর্ম হতে বিরত থাকা। এতে এ কথার ইঙ্গিত রয়েছে যে, ধৈর্যধারণকারী দরিদ্র ব্যক্তি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ধনী ব্যক্তির চাইতে উত্তম। কেননা যাকে তুলনা করা হয় তার চেয়ে যার সাথে তুলনা করা হয় তার মর্যাদা বেশী। অত্র হাদীসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারীকে ধৈর্যধারণকারীর সাথে তুলনা করা হয়েছে। অতএব ধৈর্যধারণকারীর মর্যাদা বেশী। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)