৪১১৪

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১১৪-[১১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খাবত্ব বাহিনীর অভিযানে শরীক ছিলাম। আবূ ’উবায়দাহ্ -কে বাহিনীর আমির নিযুক্ত করা হয়েছিল। (তথায়) আমরা এক সময় ভীষণ ক্ষুধায় পতিত হয়েছিলাম। তখন সমুদ্রের (তীরে) একটি মৃত মাছ উঠে এসেছিল। তার মতো এত বিশালাকার মাছ ইতঃপূর্বে আমরা দেখিনি। তাকে বলা হত, ’আম্বার। আমরা অর্ধ মাস পর্যন্ত তা হতে খেলাম। পরে আবূ ’উবায়দাহ্ তার হাড়সমূহ হতে একখানা হাড় নিয়ে খাড়া করলেন। আর তার নিচে দিয়ে একজন উটে আরোহিত হয়ে অনায়াসে অতিক্রম করল। অতঃপর মদীনায় এসে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (বিষয়টি) বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ তোমরা খাও, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য রিজিক হিসেবে তা পাঠিয়েছেন। আর যদি তোমাদের কাছে তার অবশিষ্ট কিছু মওজুদ থাকে, আমাদেরকেও খেতে দাও। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে তার কিছু অংশ পাঠিয়ে দিলাম। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা খেলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يَحِلُّ أَكْلُهُ وَمَا يَحْرُمُ

وَعَن جابرٍ قَالَ: غَزَوْتُ جَيْشَ الْخَبْطِ وَأُمِّرَ عَلَيْنَا أَبُو عُبَيْدَةَ فَجُعْنَا جُوعًا شَدِيدًا فَأَلْقَى الْبَحْرُ حُوتًا مَيِّتًا لَمْ نَرَ مِثْلَهُ يُقَالُ لَهُ: الْعَنْبَرُ فَأَكَلْنَا مِنْهُ نِصْفَ شَهْرٍ فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ عَظْمًا مِنْ عِظَامِهِ فَمَرَّ الرَّاكِبُ تَحْتَهُ فَلَمَّا قَدِمْنَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «كُلُوا رِزْقًا أَخْرَجَهُ اللَّهُ إِلَيْكُمْ وَأَطْعِمُونَا إِنْ كَانَ مَعَكُمْ» قَالَ: فَأَرْسَلْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ فَأَكله

وعن جابر قال: غزوت جيش الخبط وامر علينا ابو عبيدة فجعنا جوعا شديدا فالقى البحر حوتا ميتا لم نر مثله يقال له: العنبر فاكلنا منه نصف شهر فاخذ ابو عبيدة عظما من عظامه فمر الراكب تحته فلما قدمنا ذكرنا ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فقال: «كلوا رزقا اخرجه الله اليكم واطعمونا ان كان معكم» قال: فارسلنا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم منه فاكله

ব্যাখ্যাঃ এখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্ত প্রাণীর (‘আম্বার নামক মাছ) গোশত চাওয়া, এর তা দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের তা হালাল হওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন। উক্ত প্রাণী হালাল হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। অথবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত খাদ্যের মাধ্যমে বারাকাত কামনা করেছেন।

আলোচ্য হাদীস থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, সামুদ্রিক সকল মৃত প্রাণী খাওয়া বৈধ। চাই সেটা নিজে নিজে মারা যাক কিংবা শিকারীর দ্বারা মারা যাক। আর মাছ খাওয়ার বৈধতার উপর সকল ‘উলামার ঐকমত্য রয়েছে। তবে আমাদের কোন কোন ‘উলামা বলেছেন, ব্যাঙ খাওয়া হারাম, কারণ তা হত্যা করা নিষেধ, এ মর্মে হাদীস রয়েছে। আর এ মতের প্রবক্তা হলেন আবূ বকর সিদ্দীক, ‘উমার এবং ইবনু ‘আব্বাস  প্রমুখগণ। ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) ব্যাঙ সহ সকল সামুদ্রিক প্রাণী খাওয়া বৈধ বলেছেন। ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, মাছ ছাড়া সামুদ্রিক কোন প্রাণী হালাল নয়। (শারহুন নাবাবী ১৩শ খন্ড, হাঃ ১৯৩৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح)