পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৯০-[২৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শারীতবাতে শয়তান হতে নিষেধ করেছেন। (বর্ণনাকারী) ইবনু ’ঈসা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, (তার অর্থ হলো,) কোন প্রাণীকে এমনভাবে যাবাহ করা যে, তার শুধু চামড়া কাটা হয়, কিন্তু তার রগ বা শিরা না কেটে এমনিই ফেলে রাখা হয়, অবশেষে এ অবস্থায় তা মরে যায়। (আবূ দাঊদ)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ شَرِيطَةِ الشَّيْطَانِ. زَادَ ابْنُ عِيسَى: هِيَ الذَّبِيحَةُ يُقْطَعُ مِنْهَا الْجِلْدُ وَلَا تُفْرَى الْأَوْدَاجُ ثُمَّ تُتْرَكُ حَتَّى تَمُوتَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ হলো এর সনদে ‘‘আমর ইবনু ‘আবদুল্লাহ’’ নামে একজন বর্ণনাকারী আছেন। যিনি হাদীস বর্ণনায় য‘ঈফ। ইমাম যাহাবী তাকে য‘ঈফ বলেছেন। দেখুন- য‘ঈফ আবূ দাঊদ ৪৯১।
ব্যাখ্যাঃ হাদীসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (شَرِيطَةِ الشَّيْطَانِ) থেকে নিষেধ করেছেন। নিহায়াহ্ গ্রন্থাকার (شَرِيطَةِ الشَّيْطَانِ) সম্পর্কে চমৎকার আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, (شَرِيطَةِ الشَّيْطَانِ) হলো, এমন পদ্ধতিতে যাবাহকৃত পশু যার রগ কাটা হয় না এবং ভালোভাবে যাবাহও করা হয় না। আর জাহিলী যুগের লোকেরা পশুর গলার কিছু অংশ কাটত এবং সেই প্রাণী না মারা যাওয়া পর্যন্ত এভাবেই রেখে দিত।
মিরক্বাতুল মাফাতীহ গ্রন্থকার বলেনঃ জাহিলী যুগের লোকেরা চতুষ্পদ জন্তুর গলার কিছু অংশ কাটত এবং তারা এটাকেই যাবাহ মনে করত।
এ ধরনের কাজকে (شَرِيطَةِ الشَّيْطَانِ) বলে শয়তানের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে এজন্য যে, এ ধরনের খারাপ কাজে শয়তানই তাদেরকে উৎসাহিত করেছিল।
(الْأَوْدَاجُ) হলো গলার রগসমূহ যেগুলো যাবাহ করার সময় কাটা হয়। অতএব, বিষয়টি হলো জাহিলী যুগের লোকেরা পশুর চামড়া কাটতো। কিন্তু রগ কাটতো না এ অবস্থায় সেই পশুর সব রক্ত বের হয়ে যেত। আর এ পদ্ধতিকেই তারা পশু যাবাহ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট মনে করত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮২৩)