৬৬৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৩০১৯. মোহরকৃত চিঠির ব্যাপারে সাক্ষ্য, এতে যা বৈধ ও সীমিত করা হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালকের চিঠি প্রশাসকদের কাছে এবং বিচারপতির চিঠি বিচারপতির কাছে। কোন কোন লোক বলেছেন, ‘হদ’ (শরীয়তের নির্ধারিত শাস্তি) ব্যতীত অন্যান্য ব্যাপারে রাষ্ট্র পরিচালককে চিঠি দেওয়া বৈধ। এরপর তিনি বলেছেন, হত্যা যদি ভুলবশত হয় তাহলে রাষ্ট্র পরিচালকের চিঠি বৈধ। কেননা, তাঁর মতে এটি মাল সংক্রান্ত বিষয়। অথচ এটি মাল সংক্রান্ত বিষয় বলে ঐ সময় প্রতীয়মান হবে, যখন হত্যা প্রমানিত হবে। ভুলবশত হত্যা ও ইচ্ছাকৃত হত্যা একই। উমর (রাঃ) তাঁর কর্মকর্তার নিকট জারুদের উথ্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি লিখেছিলেন। উমর ইবন আবদুল আজিজ (রঃ) ভেঙ্গে যাওয়া দাঁতের ব্যাপারে চিঠি লিখেছিলেন। ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, লেখা ও মোহর যদি চিনতে পারেন, তাহলে বিচারপতির কাছে অন্য বিচারপতির চিঠি লেখা বৈধ। শাবী, বিচারপতির পক্ষ থেকে মোহরকৃত চিঠি বৈধ মনে করতেন। ইবন উমর (রাঃ) থেকেও অনুরুপ বর্নিত। মুয়াবিয়া ইবন আবদুল কারীম সাকাফী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আনাস, বিলাল ইবন আবু বুরদা, আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা, আসলামী, আমের ইবন আবীদা ও আব্বাদ ইবন মানসুরকে প্রত্যক্ষ করেছি, তাঁরা সকলেই সাক্ষীদের অনুপস্থিতিতে বিচারপতিদের চিঠি বৈধ মনে করতেন। চিঠিতে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতো সে যদি একে মিথ্যা বা জাল বলে দাবি করত, তাহলে তাকে বলা হতো যাও, এ অভিযোগ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষন কর। সর্বপ্রথম যারা বিচারপতির চিঠির ব্যাপারে প্রমান দাবি করেছেন তারা হলেন, ইবন আবু লায়লা এবং সাওয়ার ইবন আবদুল্লাহ্। আবু নু’আয়ম (রঃ) আমাদের বলেছেন, ‍উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুহরেয আমাদের কাছে বর্ননা করেছেন যে, “আমি বসরার বিচারপতি মূসা ইবন আনাসের কাছ থেকে চিঠি নিয়ে আসলাম। সেখানে আমি তাঁর নিকট এ মর্মে প্রমান পেশ করলাম যে, অমুকের নিকট আমার এতো এতো পাওনা আছে, আর সে কুফায় অবস্থানরত। এ চিঠি নিয়ে আমি কাসেম ইবন আবদুর রহমানের কাছে আসলাম, তিনি তা কার্যকর করলেন। হাসান ও আবু কেলাবা অসিয়্যতনামায় কি লেখা আছে তা না জেনে তার সাক্ষী হওয়াকে মাকরুহ মনে করতেন। কেননা, সে জানেনা, হয়তো এতে কারো প্রতি অবিচার করা হয়েছে। রাসূলূল্লাহ (সাঃ) খায়বারবাসীদের প্রতি চিঠি লিখেছিলেন যে, হয় তোমরা তোমাদের সাথীর ‘দিয়ত’ (রক্তপণ) আদায় কর, না হয় যুদ্ধের ঘোষনা গ্রহন কর। পর্দার অন্তরাল থেকে মহিলাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেওয়া সম্পর্কে ইমাম ‍যুহরী বলেন, যদি তুমি তাকে চিনতে পার তাহলে তার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে, তা না হলে সাক্ষ্য দেবে না।

৬৬৭৬। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রোম সম্রাটের কাছে চিঠি লিখতে চাইলেন, তখন লোকেরা বলল, মহরকৃত চিঠি না হলে তারা তা পাঠ করে না। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি রুপার আংটি তৈরি করলেন। [আনাস (রাঃ) বলেন] আমি এখনও যেন এর ঔজ্জল্য প্রত্যক্ষ করছি। তাতে مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ অংকিত ছিল।

باب الشَّهَادَةِ عَلَى الْخَطِّ الْمَخْتُومِ وَمَا يَجُوزُ مِنْ ذَلِكَ، وَمَا يَضِيقُ عَلَيْهِمْ، وَكِتَابِ الْحَاكِمِ إِلَى عَامِلِهِ، وَالْقَاضِي إِلَى الْقَاضِي. وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ كِتَابُ الْحَاكِمِ جَائِزٌ إِلاَّ فِي الْحُدُودِ. ثُمَّ قَالَ إِنْ كَانَ الْقَتْلُ خَطَأً فَهْوَ جَائِزٌ، لأَنَّ هَذَا مَالٌ بِزَعْمِهِ وَإِنَّمَا صَارَ مَالاً بَعْدَ أَنْ ثَبَتَ الْقَتْلُ، فَالْخَطَأُ وَالْعَمْدُ وَاحِدٌ. وَقَدْ كَتَبَ عُمَرُ إِلَى عَامِلِهِ فِي الْجَارُودِ. وَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي سِنٍّ كُسِرَتْ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ كِتَابُ الْقَاضِي إِلَى الْقَاضِي جَائِزٌ، إِذَا عَرَفَ الْكِتَابَ وَالْخَاتَمَ. وَكَانَ الشَّعْبِيُّ يُجِيزُ الْكِتَابَ الْمَخْتُومَ بِمَا فِيهِ مِنَ الْقَاضِي. وَيُرْوَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ نَحْوُهُ. وَقَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ الثَّقَفِيُّ شَهِدْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ يَعْلَى قَاضِيَ الْبَصْرَةِ وَإِيَاسَ بْنَ مُعَاوِيَةَ وَالْحَسَنَ وَثُمَامَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ وَبِلاَلَ بْنَ أَبِي بُرْدَةَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُرَيْدَةَ الأَسْلَمِيَّ وَعَامِرَ بْنَ عَبِيدَةَ وَعَبَّادَ بْنَ مَنْصُورٍ يُجِيزُونَ كُتُبَ الْقُضَاةِ بِغَيْرِ مَحْضَرٍ مِنَ الشُّهُودِ، فَإِنْ قَالَ الَّذِي جِيءَ عَلَيْهِ بِالْكِتَابِ إِنَّهُ زُورٌ. قِيلَ لَهُ اذْهَبْ فَالْتَمِسِ الْمَخْرَجَ مِنْ ذَلِكَ. وَأَوَّلُ مَنْ سَأَلَ عَلَى كِتَابِ الْقَاضِي الْبَيِّنَةَ ابْنُ أَبِي لَيْلَى وَسَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. وَقَالَ لَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُحْرِزٍ جِئْتُ بِكِتَابٍ مِنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ قَاضِي الْبَصْرَةِ، وَأَقَمْتُ عِنْدَهُ الْبَيِّنَةَ أَنَّ لِي عِنْدَ فُلاَنٍ كَذَا وَكَذَا، وَهْوَ بِالْكُوفَةِ، وَجِئْتُ بِهِ الْقَاسِمَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأَجَازَهُ. وَكَرِهَ الْحَسَنُ وَأَبُو قِلاَبَةَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَى وَصِيَّةٍ حَتَّى يَعْلَمَ مَا فِيهَا، لأَنَّهُ لاَ يَدْرِي لَعَلَّ فِيهَا جَوْرًا. وَقَدْ كَتَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ خَيْبَرَ: «إِمَّا أَنْ تَدُوا صَاحِبَكُمْ، وَإِمَّا أَنْ تُؤْذِنُوا بِحَرْبٍ». وَقَالَ الزُّهْرِيُّ فِي شَهَادَةٍ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ وَرَاءِ السِّتْرِ إِنْ عَرَفْتَهَا فَاشْهَدْ، وَإِلاَّ فَلاَ تَشْهَدْ

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَكْتُبَ إِلَى الرُّومِ قَالُوا إِنَّهُمْ لاَ يَقْرَءُونَ كِتَابًا إِلاَّ مَخْتُومًا‏.‏ فَاتَّخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِهِ، وَنَقْشُهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ‏.‏

حدثني محمد بن بشار، حدثنا غندر، حدثنا شعبة، قال سمعت قتادة، عن انس بن مالك، قال لما اراد النبي صلى الله عليه وسلم ان يكتب الى الروم قالوا انهم لا يقرءون كتابا الا مختوما‏.‏ فاتخذ النبي صلى الله عليه وسلم خاتما من فضة، كاني انظر الى وبيصه، ونقشه محمد رسول الله‏.‏


Narrated Anas bin Malik:

When the Prophet (ﷺ) intended to write to the Byzantines, the people said, "They do not read a letter unless it is sealed (stamped)." Therefore the Prophet (ﷺ) took a silver ring----as if I am looking at its glitter now----and its engraving was: 'Muhammad, Apostle of Allah'.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮২/ আহকাম (كتاب الأحكام)