৯৭২

পরিচ্ছেদঃ ৯. গনীমতের মাল হইতে বন্টনের পূর্বে যাহা ফিরাইয়া দেওয়া হয়

রেওয়ায়ত ১৭. মালিক (রহঃ) জ্ঞাত হইয়াছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন (রাঃ)-এর একজন গোলাম ঘোড়াসহ পলাইয়া কাফেরদের হাতে পড়িয়া গিয়াছিল। পরে উহা গনীমতের মাল হিসাবে পুনরায় মুসলিমদের হস্তগত হয়। তখন বন্টনের পূর্বেই ’আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-কে এইগুলি ফিরাইয়া দেওয়া হইয়াছিল।

ইয়াহইয়া মালিক (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন যে, কাফেরদের হাতে মুসলিমদের কোন কিছু পাওয়া গেলে বন্টনের পূর্বে উহা পূর্ব মালিকের নিকট প্রত্যর্পণ করা হইবে। বন্টন হইয়া গেলে আর উহা প্রত্যর্পণ করা হইবে না।

মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল, কোনো মুসলিমের উম্মু ওয়ালাদ যদি কাফেররা লইয়া যায়, পরে গনীমত হিসাবে যদি পুনরায় উহা মুসলিমদের হস্তগত হয়, তবে কি করা হইবে? তিনি বলিলেন, বন্টনের পূর্বে উহাকে কোনরূপে বিনিময় ব্যতিরেকে পূর্ব মালিকের নিকই ফিরাইয়া দেওয়া হইবে। আমার মতে বন্টনের পর মালিক ইচ্ছ করলে মূল দিয়া উহা কেনিয়া বাইতে পারিবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোনো মুসলিমের উম্মে ওয়ালাদ[1] দাসীকেও যদি কাফেরগণ ছিনাইয়া লইয়া যায়, পরে সে গনীমতের মাল হিসাবে হস্তগত হয়, আর বন্টন হইয়া যাওয়ার পরে যদি মালিক তাহাকে চিনিতে পারে, তবুও তাহাকে দাসী বানান যইবে না। আমি মনে করি, তখন সরকারের কর্তব্য হইবে তাহার ফিদয়া আদায় করিয়া তাহার মালিকের নিকট প্রত্যর্পণ করা। মালিক (রহঃ) বলেনঃ সরকার যদি এইরূপ না করে তবে পূর্ব মালিক তাহার ফিদয়া আদায় করিয়া তাহাকে মুক্ত করিয়া লইয়া যাইবে। বন্টনের পর যাহার ভাগে সে পড়িয়াছিল তাহার জন্য তাহাকে দাসী বানান বা তাহার সহিত যৌন মিলন জায়েয নহে। উম্মে ওয়ালাদ আযাদ দাসীর মতোই। উম্মে ওয়ালাদ যদি কাহাকেও আঘাত করিয়া যখমী করিয়া ফেলে তবে মালিকের উপর ফিদয়া আদায় করিয়া তাহাকে মুক্ত করিয়া দেওয়া মালিকের উপর জরুরী। তাহাকে মুক্ত না করিয়া ঐ অবস্থায় রাখিয়া দেওয়া এবং তাহাকে পুনরায় দাসী বানান ও তাহার সহিত যৌন সম্ভোগ কোনক্রমেই জায়েয হইবে না।

মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল, কেহ কোন মুসলিমকে মুক্ত করিয়া আনার উদ্দেশ্যে বা ব্যবসা করিতে কাফেরদের অঞ্চলে গেল আর সেখানে আযাদ ও ক্রীতদাস উভয় ধরনের মানুষ ক্রয় করিয়া নিয়া আসিল বা কাফেরগণ তাহাকে হিবা হিসাবে দান করিল। এখন এই ব্যক্তির বিষয়ে কি হুকুম হইবে? তিনি বলিলেন, আযাদ ব্যক্তিকে ক্রয় করিয়া নিয়া আসিলে তাহাকে ক্রীতদাস বানান যাইবে না। আর তাহার মূল্য তখন ঋণ হিসাবে ধরা হইবে। হিবা হিসাবে নিয়া আসিয়া থাকিলে ঐ ব্যক্তি আযাদ হিসাবেই বহাল থাকিবে আর আনয়নকারী ব্যক্তি কিছুই পাইবে না। তবে হিবার বিনিময়ে সে সেখানে কোন কিছু আদায় করিয়া থাকিলে তৎপরিমাণ টাকা দিয়া তাহাকে ক্রয় করিয়া আনিল। আর ঐ ব্যক্তি যদি কোন দাস ক্রয় করিয়া আনে, তবে পূর্ব মালিকের ইখতিয়ার থাকিবে। ইচ্ছা করিলে মূল্য আদায় করিয়া তাহাকে সে নিয়া যাইতে পারবে আর ইচ্ছা করিলে তাহাকে ঐ ব্যক্তির নিকট ছাড়িয়াও দিতে পারিবে।হিবা হিসাবে পাইয়া থাকিলে পূর্ব মালিক তাহাকে এমনিই নিয়া যাইতে পারবে। হিবার বিনিময়ে কিছু ব্যয় করিয়া থাকিলে তৎপরিমাণ টাকা আদায় করিয়া তবে পূর্ব মালিক তাহাকে নিতে পারবে।

بَاب مَا يُرَدُّ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ الْقَسْمُ مِمَّا أَصَابَ الْعَدُوُّ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدًا لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَبَقَ وَأَنَّ فَرَسًا لَهُ عَارَ فَأَصَابَهُمَا الْمُشْرِكُونَ ثُمَّ غَنِمَهُمَا الْمُسْلِمُونَ فَرُدَّا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تُصِيبَهُمَا الْمَقَاسِمُ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِيمَا يُصِيبُ الْعَدُوُّ مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ إِنَّهُ إِنْ أُدْرِكَ قَبْلَ أَنْ تَقَعَ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَهُوَ رَدٌّ عَلَى أَهْلِهِ وَأَمَّا مَا وَقَعَتْ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَلَا يُرَدُّ عَلَى أَحَدٍ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ حَازَ الْمُشْرِكُونَ غُلَامَهُ ثُمَّ غَنِمَهُ الْمُسْلِمُونَ قَالَ مَالِك صَاحِبُهُ أَوْلَى بِهِ بِغَيْرِ ثَمَنٍ وَلَا قِيمَةٍ وَلَا غُرْمٍ مَا لَمْ تُصِبْهُ الْمَقَاسِمُ فَإِنْ وَقَعَتْ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَإِنِّي أَرَى أَنْ يَكُونَ الْغُلَامُ لِسَيِّدِهِ بِالثَّمَنِ إِنْ شَاءَ قَالَ مَالِك فِي أُمِّ وَلَدِ رَجُلٍ مِنْ الْمُسْلِمِينَ حَازَهَا الْمُشْرِكُونَ ثُمَّ غَنِمَهَا الْمُسْلِمُونَ فَقُسِمَتْ فِي الْمَقَاسِمِ ثُمَّ عَرَفَهَا سَيِّدُهَا بَعْدَ الْقَسْمِ إِنَّهَا لَا تُسْتَرَقُّ وَأَرَى أَنْ يَفْتَدِيَهَا الْإِمَامُ لِسَيِّدِهَا فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ فَعَلَى سَيِّدِهَا أَنْ يَفْتَدِيَهَا وَلَا يَدَعُهَا وَلَا أَرَى لِلَّذِي صَارَتْ لَهُ أَنْ يَسْتَرِقَّهَا وَلَا يَسْتَحِلَّ فَرْجَهَا وَإِنَّمَا هِيَ بِمَنْزِلَةِ الْحُرَّةِ لِأَنَّ سَيِّدَهَا يُكَلَّفُ أَنْ يَفْتَدِيَهَا إِذَا جَرَحَتْ فَهَذَا بِمَنْزِلَةِ ذَلِكَ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُسَلِّمَ أُمَّ وَلَدِهِ تُسْتَرَقُّ وَيُسْتَحَلُّ فَرْجُهَا وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَخْرُجُ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ فِي الْمُفَادَاةِ أَوْ لِتِجَارَةٍ فَيَشْتَرِيَ الْحُرَّ أَوْ الْعَبْدَ أَوْ يُوهَبَانِ لَهُ فَقَالَ أَمَّا الْحُرُّ فَإِنَّ مَا اشْتَرَاهُ بِهِ دَيْنٌ عَلَيْهِ وَلَا يُسْتَرَقُّ وَإِنْ كَانَ وُهِبَ لَهُ فَهُوَ حُرٌّ وَلَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ أَعْطَى فِيهِ شَيْئًا مُكَافَأَةً فَهُوَ دَيْنٌ عَلَى الْحُرِّ بِمَنْزِلَةِ مَا اشْتُرِيَ بِهِ وَأَمَّا الْعَبْدُ فَإِنَّ سَيِّدَهُ الْأَوَّلَ مُخَيَّرٌ فِيهِ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَهُ وَيَدْفَعَ إِلَى الَّذِي اشْتَرَاهُ ثَمَنَهُ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يُسْلِمَهُ أَسْلَمَهُ وَإِنْ كَانَ وُهِبَ لَهُ فَسَيِّدُهُ الْأَوَّلُ أَحَقُّ بِهِ وَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ أَعْطَى فِيهِ شَيْئًا مُكَافَأَةً فَيَكُونُ مَا أَعْطَى فِيهِ غُرْمًا عَلَى سَيِّدِهِ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَفْتَدِيَهُ

حدثني يحيى عن مالك انه بلغه ان عبدا لعبد الله بن عمر ابق وان فرسا له عار فاصابهما المشركون ثم غنمهما المسلمون فردا على عبد الله بن عمر وذلك قبل ان تصيبهما المقاسم قال وسمعت مالك يقول فيما يصيب العدو من اموال المسلمين انه ان ادرك قبل ان تقع فيه المقاسم فهو رد على اهله واما ما وقعت فيه المقاسم فلا يرد على احد وسىل مالك عن رجل حاز المشركون غلامه ثم غنمه المسلمون قال مالك صاحبه اولى به بغير ثمن ولا قيمة ولا غرم ما لم تصبه المقاسم فان وقعت فيه المقاسم فاني ارى ان يكون الغلام لسيده بالثمن ان شاء قال مالك في ام ولد رجل من المسلمين حازها المشركون ثم غنمها المسلمون فقسمت في المقاسم ثم عرفها سيدها بعد القسم انها لا تسترق وارى ان يفتديها الامام لسيدها فان لم يفعل فعلى سيدها ان يفتديها ولا يدعها ولا ارى للذي صارت له ان يسترقها ولا يستحل فرجها وانما هي بمنزلة الحرة لان سيدها يكلف ان يفتديها اذا جرحت فهذا بمنزلة ذلك فليس له ان يسلم ام ولده تسترق ويستحل فرجها وسىل مالك عن الرجل يخرج الى ارض العدو في المفاداة او لتجارة فيشتري الحر او العبد او يوهبان له فقال اما الحر فان ما اشتراه به دين عليه ولا يسترق وان كان وهب له فهو حر وليس عليه شيء الا ان يكون الرجل اعطى فيه شيىا مكافاة فهو دين على الحر بمنزلة ما اشتري به واما العبد فان سيده الاول مخير فيه ان شاء ان ياخذه ويدفع الى الذي اشتراه ثمنه فذلك له وان احب ان يسلمه اسلمه وان كان وهب له فسيده الاول احق به ولا شيء عليه الا ان يكون الرجل اعطى فيه شيىا مكافاة فيكون ما اعطى فيه غرما على سيده ان احب ان يفتديه


Yahya related to me from Malik that it reached him that a slave of Abdullah ibn Umar escaped and one of his horses wandered off, and the idol worshippers seized them. Then the Muslims recaptured them, and they were returned to Abdullah ibn Umar, before the division of the spoils took place.

I heard Malik say about muslim property that had been seized by the enemy, "If it is noticed before the distribution, then it is returned to itsowner. Whatever has already been distributed is not returned to anyone."

Malik, when asked about a man whose young male slave was taken by the idol worshippers and then the Muslims re-captured him, said, "The owner is more entitled to him without having to pay his price or value or having to incur any loss before the distribution takes place. If the distribution has already taken place then I think that the slave belongs to his master for his price if the master wants him back."

Regarding an umm walad of a Muslim man who has been taken by the idol worshippers and then recaptured by the Muslims and allotted in the distribution of spoils and then recognised by her master after the distribution, Malik said, "She is not to be enslaved. I think that the Imam should pay a ransom for her for her master. If he does not do it, then her master must pay a ransom for her and not leave her. I do not think that she should be made a slave by whoever takes her and intercourse with her is not halal. She is in the position of a free woman because her master would be required to pay compensation if she injured somebody and so she is in the same position (as a wife). He must not leave the mother of his son to be enslaved nor may intercourse with her be made halal."

Malik was asked about a man who went to enemy territory to pay ransom or to trade, and he bought a free man or a slave, or they were given to him. He said, "As for the free man, the price he buys him for is a debt against the man and he is not made a slave. If the captive is given to him freely, he is free and owes nothing unless the man gave something in recompense for him. That is a debt against the free man, the same as if a ransom had been paid for him. As for a slave, his former master can choose to take him back and pay his price to the man who bought him or he can choose to leave him, as he wishes. If he was given to the man, the former master is more entitled to him, and he owes nothing for him unless the man gave something for him in recompense. Whatever he gave for him is a loss against the master if he wants him back."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
২১. জিহাদ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الجهاد)