৫৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১৪. মুসিবতের ধৈর্যধারণ সম্পর্কে বিবিধ বর্ণনা

রেওয়ায়ত ৪৩. কাসিম ইবনে মুহাম্মদ (রহঃ) বলেনঃ আমার এক স্ত্রীর ইন্তিকাল হয়। মুহাম্মদ ইবন কা’ব কুরাজী (রহঃ) আমাকে তাহার (মৃত্যু) উপলক্ষে সান্তনা দিতে আসিলেন। তিনি বলিলেনঃ বনি ইসরাঈলের এক ব্যক্তি ছিলেন আলিম, ইবাদতগুযার, মুজতাহিদ, শরীয়তের মাসায়েলে পারদর্শী। তাহার এক স্ত্রী ছিল, তাহাদের উভয়ের মধ্যে গভীর ভালবাসা ছিল। (ঘটনাক্রমে) সেই স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ইহাতে তিনি খুব মর্মাহত ও ব্যথিত হইলেন। এমন কি তিনি নিজেকে একটি গৃহে অন্তরীণ করিয়া ফেলিলেন এবং লোকের সংশ্ৰব বর্জন করিলেন। অতঃপর কেহ তাহার কাছে যাইত না। জনৈক মহিলা এই বৃত্তান্ত শুনিয়া তাহার নিকট উপস্থিত হইলেন।

তিনি বলিলেনঃ তাহার কাছে আমার একটি আবশ্যক রহিয়াছে, যে বিষয়ে আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিব। তাহার সহিত সামনাসামনি না হইলে আমার আবশ্যক পূর্ণ হইবে না। (তাহার গৃহদ্বার ত্যাগ করিয়া) সব লোক চলিয়া গেল, কিন্তু উক্ত মহিলা তাহার দ্বারে রহিয়াই গেলেন এবং বলিলেনঃ তাহার নিকট আমার প্রয়োজন রহিয়াছে। একজন লোক সেই ব্যক্তির নিকট বলিলঃ এইখানে একজন মহিলা আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছুক। তিনি বলিতেছেনঃ আমি তাহার সাক্ষাতপ্রার্থী মাত্র। সকল লোক চলিয়া গিয়াছে কিন্তু তিনি দরজা ছাড়েন না। তিনি বলিলেনঃ তোমরা তাহাকে আসিতে অনুমতি দাও। (অনুমতি পাইয়া সেই মহিলা) প্রবেশ করিলেন এবং বলিলেন, আমি আপনার নিকট একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিতে আসিয়াছি। তিনি বলিলেনঃ সেই বিষয়টি কি? (উক্ত মহিলা) বলিলেনঃ আমার প্রতিবেশিনীর নিকট হইতে আমি একটি গহনা ধার নিলাম।

অতঃপর আমি উহা পরিধান করিতাম এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উহা লোককে ধারস্বরূপ দিতাম। অতঃপর তাহারা উহার (ফেরত দেওয়ার) জন্য আমার নিকট লোক পাঠাইলেন। আমি উহা ফেরত দিব কি? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহর কসম। মহিলা বলিলেনঃ সেই গহনাটি যে বেশ কিছুদিন আমার কাছে ছিল। তিনি বলিলেনঃ এইজন্য আরও বেশি উচিত যে, তুমি উহা তাহাদের নিকট ফেরত দাও, তাহারা এতকাল পর্যন্ত তোমাকে ধার দিয়াছেন। তখন উক্ত মহিলা বলিলেনঃ ওহে! আপনার প্রতি আল্লাহ দয়া করুন, আপনি আফসোস করিতেছেন এমন বস্তুর উপর যাহা আল্লাহ আপনাকে ধার দিয়াছেন, অতঃপর তিনি উহা গ্রহণ করিয়াছেন আপনার নিকট হইতে। অথচ তিনি উহার হকদার বেশি আপনি অপেক্ষা। তবে ভাবিয়া দেখুন আপনি কোন হালতে আছেন। আল্লাহ এই মহিলার উপদেশ দ্বারা তাহাকে উপকৃত করিলেন।

بَاب جَامِعِ الْحِسْبَةِ فِي الْمُصِيبَةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ هَلَكَتْ امْرَأَةٌ لِي فَأَتَانِي مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ يُعَزِّينِي بِهَا فَقَالَ إِنَّهُ كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ رَجُلٌ فَقِيهٌ عَالِمٌ عَابِدٌ مُجْتَهِدٌ وَكَانَتْ لَهُ امْرَأَةٌ وَكَانَ بِهَا مُعْجَبًا وَلَهَا مُحِبًّا فَمَاتَتْ فَوَجَدَ عَلَيْهَا وَجْدًا شَدِيدًا وَلَقِيَ عَلَيْهَا أَسَفًا حَتَّى خَلَا فِي بَيْتٍ وَغَلَّقَ عَلَى نَفْسِهِ وَاحْتَجَبَ مِنْ النَّاسِ فَلَمْ يَكُنْ يَدْخُلُ عَلَيْهِ أَحَدٌ وَإِنَّ امْرَأَةً سَمِعَتْ بِهِ فَجَاءَتْهُ فَقَالَتْ إِنَّ لِي إِلَيْهِ حَاجَةً أَسْتَفْتِيهِ فِيهَا لَيْسَ يُجْزِينِي فِيهَا إِلَّا مُشَافَهَتُهُ فَذَهَبَ النَّاسُ وَلَزِمَتْ بَابَهُ وَقَالَتْ مَا لِي مِنْهُ بُدٌّ فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ إِنَّ هَاهُنَا امْرَأَةً أَرَادَتْ أَنْ تَسْتَفْتِيَكَ وَقَالَتْ إِنْ أَرَدْتُ إِلَّا مُشَافَهَتَهُ وَقَدْ ذَهَبَ النَّاسُ وَهِيَ لَا تُفَارِقُ الْبَابَ فَقَالَ ائْذَنُوا لَهَا فَدَخَلَتْ عَلَيْهِ فَقَالَتْ إِنِّي جِئْتُكَ أَسْتَفْتِيكَ فِي أَمْرٍ قَالَ وَمَا هُوَ قَالَتْ إِنِّي اسْتَعَرْتُ مِنْ جَارَةٍ لِي حَلْيًا فَكُنْتُ أَلْبَسُهُ وَأُعِيرُهُ زَمَانًا ثُمَّ إِنَّهُمْ أَرْسَلُوا إِلَيَّ فِيهِ أَفَأُؤَدِّيهِ إِلَيْهِمْ فَقَالَ نَعَمْ وَاللَّهِ فَقَالَتْ إِنَّهُ قَدْ مَكَثَ عِنْدِي زَمَانًا فَقَالَ ذَلِكِ أَحَقُّ لِرَدِّكِ إِيَّاهُ إِلَيْهِمْ حِينَ أَعَارُوكِيهِ زَمَانًا فَقَالَتْ أَيْ يَرْحَمُكَ اللَّهُ أَفَتَأْسَفُ عَلَى مَا أَعَارَكَ اللَّهُ ثُمَّ أَخَذَهُ مِنْكَ وَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْكَ فَأَبْصَرَ مَا كَانَ فِيهِ وَنَفَعَهُ اللَّهُ بِقَوْلِهَا

وحدثني عن مالك عن يحيى بن سعيد عن القاسم بن محمد انه قال هلكت امراة لي فاتاني محمد بن كعب القرظي يعزيني بها فقال انه كان في بني اسراىيل رجل فقيه عالم عابد مجتهد وكانت له امراة وكان بها معجبا ولها محبا فماتت فوجد عليها وجدا شديدا ولقي عليها اسفا حتى خلا في بيت وغلق على نفسه واحتجب من الناس فلم يكن يدخل عليه احد وان امراة سمعت به فجاءته فقالت ان لي اليه حاجة استفتيه فيها ليس يجزيني فيها الا مشافهته فذهب الناس ولزمت بابه وقالت ما لي منه بد فقال له قاىل ان هاهنا امراة ارادت ان تستفتيك وقالت ان اردت الا مشافهته وقد ذهب الناس وهي لا تفارق الباب فقال اىذنوا لها فدخلت عليه فقالت اني جىتك استفتيك في امر قال وما هو قالت اني استعرت من جارة لي حليا فكنت البسه واعيره زمانا ثم انهم ارسلوا الي فيه افاوديه اليهم فقال نعم والله فقالت انه قد مكث عندي زمانا فقال ذلك احق لردك اياه اليهم حين اعاروكيه زمانا فقالت اي يرحمك الله افتاسف على ما اعارك الله ثم اخذه منك وهو احق به منك فابصر ما كان فيه ونفعه الله بقولها


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that al-Qasim ibn Muhammad said, "One of my wives died and Muhammad ibn Kab al Quradhi came to console me about her. He told me of one among the Bani Israil who was a diligent, worshipping, knowing and understanding man who had a wife that he admired and loved, and she died. He grieved over her intensely and lamented her until he withdrew into a house and locked himself in, hidden from everyone, and no-one visited him. A woman heard about him and went to him, saying, 'I need him to give me an opinion. Nothing will satisfy me except what he says about it.' Everyone went away, but she stuck to his door and said, 'I must see him.' Someone said to him, 'There is a woman who wishes to ask your opinion about something,' and she insisted, 'I will only talk to him about it.' When everyone had gone away, and she still had not left his door, he said, 'Let her in.' So she went in and saw him and said, 'I have come to ask your opinion about something.' He said, 'What is it?' She said, 'I borrowed a piece of jewellery from a neighbour of mine, and I have worn it and used it for a long time. Then they sent to me for it. Should I let them have it back?' He said, 'Yes, by Allah.' She said, 'I have had it for a long time.' He said, 'It is more correct for you to return it to them, since they have lent it to you for such a long time.' She said, 'Yes. May Allah have mercy on you. Do you then grieve over what Allah has lent you and then taken from you, when He has a greater right to it than you?' Then he saw the situation he was in, and Allah helped him by her words."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৬. জানাইয (كتاب الجنائز)