১৫২

পরিচ্ছেদঃ ১. নামাযের প্রতি আহবান

রেওয়ায়ত ৭. সাহল ইবন সা’আদ সায়েদী (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেনঃ দুইটি মুহূর্ত এইরূপ আছে সেই সময় অসমানের দরওয়াজা খোলা হয় এবং সেই মুহূর্তদ্বয়ে প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কুচিৎ ফেরত দেওয়া হয়; নামাযের আযানের মুহুর্ত এবং আল্লাহর পথে জিহাদের কাতার ঠিক করার মুহুর্ত।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলিয়াছেনঃ মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইলঃ জুম’আর দিন সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া যায় কি? তিনি উত্তর দিলেনঃ না, যায় না। সূর্য পশ্চিম দিকে ঝুঁকিবার পরই আযানের সময় হয়।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বর্ণনা করিয়াছেন- মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল আযান ও ইকামত-এর (বাক্যগুলি) দুই দুইবার বলা সম্পর্কে এবং ইকামতের সময় মানুষের কোন সময় দাঁড়াইতে হইবে সেই সম্পর্কে। তিনি উত্তর দিলেনঃ আযান ও ইকামতের বিষয় আমি লোকজনকে যে পর্যায়ে পাইয়াছি উহার চাইতে অধিক কিছু আমার নিকট পৌছে নাই। ইকামত অবশ্য দুই দুইবার বলিতে নাই। আমাদের শহরের (মদীনা) বিজ্ঞ আলিমগণ এই মতই পোষণ করিতেন। ইকামতের সময় দাঁড়াইবার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন সীমা আমি জ্ঞাত নই। তবে আমার মতে উহা অনেকটা লোকের শক্তি-সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে। কারণ সব লোক এক রকমের নয়; তাহাদের মধ্যে সবল ও দুর্বল সকল প্রকারের লোকই থাকে।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইলঃ যাহারা প্রবাসী নহে বরং মুকীম (স্বদেশে বা বিদেশে শরীয়তসম্মত স্থায়ী বসবাসকারী) তাহারা ফরয নামায জামাত সহকারে আযান ছাড়া শুধু ইকামত বলিয়া পড়িতে চাহিলে-এই বিষয়ে আপনার মত কি? তিনি বলিলেনঃ কেবল ইকামত বলিলেও চলিবে। কেননা আযান ওয়াজিব হয় সেই সব মসজিদের জন্য যেসব মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং লোকজনকে নামাযের জন্য আহবান করা হয়।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মুয়াযযিন কর্তৃক ইমামকে সালাম দেওয়া, নামাযের জন্য তাহাকে আহবান করা এবং সর্বপ্রথম কোন আমীরের প্রতি এইরূপ করা হইয়াছিল- এই বিষয়ে মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইলে তিনি বলিলেনঃ এইরূপ সালাম দেওয়ার রীতি প্রথম যুগে ছিল বলিয়া আমি অবগত নই।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মুয়াযযিন আযান দিয়া অপেক্ষা করিল, কিন্তু নামায পড়িতে কেউ আসিল না। অতএব, সে ইকামত বলিয়া একা একাই নামায পড়িল। নামায সমাপ্ত হইলে কিছু লোক আসিল। এক্ষণে সে কি পুনরায় আগন্তুকদের সঙ্গে নামায পড়িবে? মালিক (রহঃ)-এর নিকট এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হইলে তিনি বলিলেনঃ না, পরে যাহারা আসিবে তাহারা পৃথক পৃথকভাবে নামায পড়িবে।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রহঃ) জিজ্ঞাসিত হইলেনঃ মুয়াৰ্যযিন আযান দিবার পর নফল নামায শুরু করিল। লোকজন আসিয়া অন্যের দ্বারা ইকামত বলাইয়া জামাতসহকারে নামায পড়িতে ইচ্ছা করিল, এইরূপ করা চলে কি? তিনি উত্তর দিলেন, যায়, ইহা বৈধ। ইকামত বলার ব্যাপারে মুয়াযযিন এবং অন্য ব্যক্তি এক সমান।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ফজরের আযান প্রায়ই সুবহে-সাদিক-এর আগে দেওয়া হইত। কিন্তু অন্যসব নামাযের আযান আমাদের মতে সময় হওয়ার পর ছাড়া দেওয়া হইত না।

بَاب مَا جَاءَ فِي النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ قَالَ سَاعَتَانِ يُفْتَحُ لَهُمَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَقَلَّ دَاعٍ تُرَدُّ عَلَيْهِ دَعْوَتُهُ حَضْرَةُ النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ وَالصَّفُّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
وَسُئِلَ مَالِك عَنْ النِّدَاءِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ هَلْ يَكُونُ قَبْلَ أَنْ يَحِلَّ الْوَقْتُ فَقَالَ لَا يَكُونُ إِلَّا بَعْدَ أَنْ تَزُولَ الشَّمْسُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ تَثْنِيَةِ الْأَذَانِ وَالْإِقَامَةِ وَمَتَى يَجِبُ الْقِيَامُ عَلَى النَّاسِ حِينَ تُقَامُ الصَّلَاةُ فَقَالَ لَمْ يَبْلُغْنِي فِي النِّدَاءِ وَالْإِقَامَةِ إِلَّا مَا أَدْرَكْتُ النَّاسَ عَلَيْهِ فَأَمَّا الْإِقَامَةُ فَإِنَّهَا لَا تُثَنَّى وَذَلِكَ الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ أَهْلُ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَأَمَّا قِيَامُ النَّاسِ حِينَ تُقَامُ الصَّلَاةُ فَإِنِّي لَمْ أَسْمَعْ فِي ذَلِكَ بِحَدٍّ يُقَامُ لَهُ إِلَّا أَنِّي أَرَى ذَلِكَ [ ص: 68 ] عَلَى قَدْرِ طَاقَةِ النَّاسِ فَإِنَّ مِنْهُمْ الثَّقِيلَ وَالْخَفِيفَ وَلَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَكُونُوا كَرَجُلٍ وَاحِدٍ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ قَوْمٍ حُضُورٍ أَرَادُوا أَنْ يَجْمَعُوا الْمَكْتُوبَةَ فَأَرَادُوا أَنْ يُقِيمُوا وَلَا يُؤَذِّنُوا قَالَ مَالِك ذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُمْ وَإِنَّمَا يَجِبُ النِّدَاءُ فِي مَسَاجِدِ الْجَمَاعَاتِ الَّتِي تُجْمَعُ فِيهَا الصَّلَاةُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ تَسْلِيمِ الْمُؤَذِّنِ عَلَى الْإِمَامِ وَدُعَائِهِ إِيَّاهُ لِلصَّلَاةِ وَمَنْ أَوَّلُ مَنْ سُلِّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ التَّسْلِيمَ كَانَ فِي الزَّمَانِ الْأَوَّلِ قَالَ يَحْيَى وَسُئِلَ مَالِك عَنْ مُؤَذِّنٍ أَذَّنَ لِقَوْمٍ ثُمَّ انْتَظَرَ هَلْ يَأْتِيهِ أَحَدٌ فَلَمْ يَأْتِهِ أَحَدٌ فَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَصَلَّى وَحْدَهُ ثُمَّ جَاءَ النَّاسُ بَعْدَ أَنْ فَرَغَ أَيُعِيدُ الصَّلَاةَ مَعَهُمْ قَالَ لَا يُعِيدُ الصَّلَاةَ وَمَنْ جَاءَ بَعْدَ انْصِرَافِهِ فَلْيُصَلِّ لِنَفْسِهِ وَحْدَهُ قَالَ يَحْيَى وَسُئِلَ مَالِك عَنْ مُؤَذِّنٍ أَذَّنَ لِقَوْمٍ ثُمَّ تَنَفَّلَ فَأَرَادُوا أَنْ يُصَلُّوا بِإِقَامَةِ غَيْرِهِ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِقَامَتُهُ وَإِقَامَةُ غَيْرِهِ سَوَاءٌ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك لَمْ تَزَلْ الصُّبْحُ يُنَادَى لَهَا قَبْلَ الْفَجْرِ فَأَمَّا غَيْرُهَا مِنْ الصَّلَوَاتِ فَإِنَّا لَمْ نَرَهَا يُنَادَى لَهَا إِلَّا بَعْدَ أَنْ يَحِلَّ وَقْتُهَا

وحدثني عن مالك عن ابي حازم بن دينار عن سهل بن سعد الساعدي انه قال ساعتان يفتح لهما ابواب السماء وقل داع ترد عليه دعوته حضرة النداء للصلاة والصف في سبيل الله وسىل مالك عن النداء يوم الجمعة هل يكون قبل ان يحل الوقت فقال لا يكون الا بعد ان تزول الشمس وسىل مالك عن تثنية الاذان والاقامة ومتى يجب القيام على الناس حين تقام الصلاة فقال لم يبلغني في النداء والاقامة الا ما ادركت الناس عليه فاما الاقامة فانها لا تثنى وذلك الذي لم يزل عليه اهل العلم ببلدنا واما قيام الناس حين تقام الصلاة فاني لم اسمع في ذلك بحد يقام له الا اني ارى ذلك [ ص: 68 ] على قدر طاقة الناس فان منهم الثقيل والخفيف ولا يستطيعون ان يكونوا كرجل واحد وسىل مالك عن قوم حضور ارادوا ان يجمعوا المكتوبة فارادوا ان يقيموا ولا يوذنوا قال مالك ذلك مجزى عنهم وانما يجب النداء في مساجد الجماعات التي تجمع فيها الصلاة وسىل مالك عن تسليم الموذن على الامام ودعاىه اياه للصلاة ومن اول من سلم عليه فقال لم يبلغني ان التسليم كان في الزمان الاول قال يحيى وسىل مالك عن موذن اذن لقوم ثم انتظر هل ياتيه احد فلم ياته احد فاقام الصلاة وصلى وحده ثم جاء الناس بعد ان فرغ ايعيد الصلاة معهم قال لا يعيد الصلاة ومن جاء بعد انصرافه فليصل لنفسه وحده قال يحيى وسىل مالك عن موذن اذن لقوم ثم تنفل فارادوا ان يصلوا باقامة غيره فقال لا باس بذلك اقامته واقامة غيره سواء قال يحيى قال مالك لم تزل الصبح ينادى لها قبل الفجر فاما غيرها من الصلوات فانا لم نرها ينادى لها الا بعد ان يحل وقتها


Yahya related to me from Malik from Abu Hazim ibn Dinar that Sahl ibn Sad as-Saidi said, "There are two times when the gates of heaven are opened, and few who make supplication have it returned to them unanswered. They are at the timeof the adhan, and in a rank of people fighting in the way of Allah."

Malik was asked whether the adhan on the day of jumua was called before the time had come for the prayer and he said, "It is not called until after the sun has passed the meridian."

Malik was asked about doubling the adhan and the iqama, and at what point people had to stand when the iqama for the prayer was called. He said, "I have heard nothing about the adhan and iqama except what I have seen people do. As for the iqama, it is not doubled. That is what the people of knowledge in our region continue to do. As for people standing up when the iqama for the prayer is called, I have not heard of any definite point at which it is begun, and I consider it rather to be according to people's (individual) capacity, for some people are heavy and some are light, and they are not able to be as one man ."

Malik was asked about a gathering of people who wished to do the prescribed prayer calling the iqama and not the adhan, and he said, "lt is enough for them. The adhan is only obligatory in mosques where the prayer is said in congregation."

Malik was asked about the muadhdhin saying "Peace be upon you" to the imam and calling him to the prayer, and he was asked who was the first person to whom such a greeting was made. He replied, "I have not heard that this greeting occurred in the first community."

Yahya said that Malik was asked whether a muadhdhin who called the people to prayer and then waited to see if anyone would come and no one did, so he said the iqama and did the prayer by himself and then people came after he had finished, should repeat the prayer with them. Malik said, "He does not repeat the prayer, and whoever comes after he has finished should do the prayer by himself."

Yahya said that Malik was asked about a muadhdhin who called the adhan for a group of people, did voluntary prayers, and then the group of people wanted to do the prayer with some one else saying the iqama. He said, "There is no harm in that. His iqama or somebody else's are the same."

Yahya said that Malik said, "The subh prayer is still called before dawn. As for the other prayers, we believe that they should only be called after the time has started."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৩. নামায (كتاب الصلاة)