পরিচ্ছেদঃ ৩. সালাতের শর্তসমূহ - সালাত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য পবিত্ৰতা শর্ত
২০৬। ’আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির বমি, নাকের রক্ত বা মযি বের হবে সে যেন সালাত ছেড়ে দিয়ে উযূ করে, আর (এর মাঝে) কোন কথা না বলে সালাতের বাকী অংশ আদায় করে নেয়। ইবনু মাজাহ বর্ণনা করেছেন এবং আহমাদ একে যইফ বলেছেন।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ - رضي الله عنها - قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ أَصَابَهُ قَيْءٌ, أَوْ رُعَافٌ, أَوْ مَذْيٌ, فَلْيَنْصَرِفْ, فَلْيَتَوَضَّأْ, ثُمَّ لِيَبْنِ عَلَى صَلَاتِهِ, وَهُوَ فِي ذَلِكَ لَا يَتَكَلَّمُ». رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ, وَضَعَّفَهُ أَحْمَدُ
وعن عاىشة - رضي الله عنها - قالت: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «من اصابه قيء, او رعاف, او مذي, فلينصرف, فليتوضا, ثم ليبن على صلاته, وهو في ذلك لا يتكلم». رواه ابن ماجه, وضعفه احمد
[1] যঈফ। ইবনু মাজাহ (১২২১) ইবনু হাজার আসকালানী তাঁর আদি দিরায়াহ (১/৩১) গ্রন্থে বলেন, এর সনদে ইসমাঈল বিন আইয়াশ রয়েছে, তিনি যখন শামবাসী ব্যতীত অন্যদের থেকে হাদীস বর্ণনা করবেন তখন তা দুর্বল হিসেবে বিবেচিত হবে। ইমাম দারাকুতনী বলেন, ইবনু জুরাইয কর্তৃক তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল হিসেবে সকল মুহাদ্দিসের নিকট স্বীকৃত। ইমাম শাওকানী তাঁর নাইলুল আওত্বার (১/২৩৬) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটিকে বির্তক থাকার কারণে যথাযথ বলে বিবেচিত নয়। মুহাদ্দিস আযীমাবাদী তাঁর গায়াতুল মাকসূদ (২/২১৩) বলেন, কেউ এটিকে সহীহ বলেননি। আর তিনি তাঁর আওনুল মা’বুদ (১/১৮০) গ্রন্থে বলেন, আহমাদ ও অন্যান্যরা একে দুর্বল বলেছেন, দুর্বল হওয়ার কারণ হল এটিকে মারফু’ বলাটা ভুল সঠিক হল এটি মুরসাল সূত্রে বর্ণিত। আবদুর রহমান মুবারকপুরী তাঁর তুহফাতুল আহওয়ায়ী (১/২১৩) গ্রন্থে বলেন, এটি দুর্বল, আর সঠিক হচ্ছে এটি মুরসাল। শাইখ আলবানী তাঁর যঈফ ইবনু মাজাহ (২২৫), যঈফুল জামে’ (৫৪২৬) গ্রন্থে, ইবনু উসাইমীন তাঁর বুলুগুল মারামের শরাহ (১/২৬১) গ্রন্থে হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)