পরিচ্ছেদঃ ২. আযান (সালাতের জন্য আহ্বান) - আযানের জন্য উযূ করা শরীয়তসম্মত
১৯৮। তিরমিযীতে সংকলিত আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তাতে আছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- উযূ আছে এরূপ ব্যক্তি ব্যতীত যেন আযান না দেয়।[1] এটাকেও তিনি যঈফ (দুর্বল) বলেছেন।[2]
وَلَهُ: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: لَا يُؤَذِّنُ إِلَّا مُتَوَضِّئٌ». وَضَعَّفَهُ أَيْضًا
فَالْحَدِيثُ ضَعِيفٌ مَرْفُوعًا وَمَوْقُوفًا
-
ضعيف. رواه الترمذي (200) وضعَّفه بالانقطاع بين الزهري وبين أبي هريرة. قلت: ورواه أيضا (201) موقوفا على أبي هريرة - ولا يصح أيضا - بلفظ: لا ينادي بالصلاة إلا متوضئ
وله عن ابي هريرة رضي الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لا يوذن الا متوضى وضعفه ايضافالحديث ضعيف مرفوعا وموقوفاضعيف رواه الترمذي 200 وضعفه بالانقطاع بين الزهري وبين ابي هريرة قلت ورواه ايضا 201 موقوفا على ابي هريرة ولا يصح ايضا بلفظ لا ينادي بالصلاة الا متوضى
[1] যঈফ। তিরমিযী ২০০ । যুহরী ও আবু হুরাইরা মধ্যে বিচ্ছিন্নতা থাকার কারণে তিরমিযী হাদীসটিকে যঈফ মন্তব্য করেছেন। মুহাক্কিক সুমাইর আয-যুহাইরি বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেন: তিরমিযী (২০১) নং এ আবু হুরাইরা হতে মওকুফ সূত্রে আরেকটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এটিও সহীহ নয়। হাদীসের শব্দ হচ্ছে: ---- ওযূকারী ব্যক্তিই কেবল আযান দিবে।
[2] এর সনদে রয়েছে যুহরী যিনি আবু হুরায়রা থেকে শুনেননি। এর মধ্যে রয়েছে মুআবিয়া বিন ইয়াযিদ আস সাকাফী দুর্বল রাবী। (বাইহাকী কুবরা ১/৩৯৭), ইবনু কাসীরও অনুরূপ বলেছেন। (আল-আহকামুল কাবীর ১/১২৯), ইবনু সুয়ুতী তার জামেউস সগীরে এ হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বাইহাকী তাঁর সুনান আল কুবরা (১/৩৯৭) গ্রন্থে, ইমাম ইবনু কাসীর তার আল আহকামুল কবীর (১/১২৯) গ্রন্থে বলেন, এর সনদে মুআবিয়া বিন ইয়াহইয়া আস সিদকী নামক দুর্বল রাবী বিদ্যমান। ইমাম সনআনী তাঁর সুবুলুস সালাম (১/২০৫) গ্রন্থে বলেন, যুহরী আবু হুরাইরাহ থেকে হাদীসটি শুনেনি। আর যুহরী থেকে যে বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন তিনি দুর্বল। আবদুর রহমান মুবারকপুরী তাঁর তুহফাতুল আহওয়াযী (১/৪৪৫) গ্রন্থে, আহমাদ শাকের তাঁর শরহে সুনান আত তিরমিযী (১৪/৩৮৯) গ্রন্থে, বিন বায তাঁর মাজমূ ফাতাওয়া (৬/৩৪৫, ১০/৩৩৯) গ্রন্থে, শাইখ আলবানী তাঁর যঈফুল জামে (৬৩১৭), যঈফ তিরমিযী (২০০), ইরওয়াউল গালীল (২২২) গ্রন্থে, ইবনু উসাইমীন তাঁর শরহে বুলুগুল মারাম (১/৪৮২) গ্রন্থে সকলেই হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন।
[2] এর সনদে রয়েছে যুহরী যিনি আবু হুরায়রা থেকে শুনেননি। এর মধ্যে রয়েছে মুআবিয়া বিন ইয়াযিদ আস সাকাফী দুর্বল রাবী। (বাইহাকী কুবরা ১/৩৯৭), ইবনু কাসীরও অনুরূপ বলেছেন। (আল-আহকামুল কাবীর ১/১২৯), ইবনু সুয়ুতী তার জামেউস সগীরে এ হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বাইহাকী তাঁর সুনান আল কুবরা (১/৩৯৭) গ্রন্থে, ইমাম ইবনু কাসীর তার আল আহকামুল কবীর (১/১২৯) গ্রন্থে বলেন, এর সনদে মুআবিয়া বিন ইয়াহইয়া আস সিদকী নামক দুর্বল রাবী বিদ্যমান। ইমাম সনআনী তাঁর সুবুলুস সালাম (১/২০৫) গ্রন্থে বলেন, যুহরী আবু হুরাইরাহ থেকে হাদীসটি শুনেনি। আর যুহরী থেকে যে বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন তিনি দুর্বল। আবদুর রহমান মুবারকপুরী তাঁর তুহফাতুল আহওয়াযী (১/৪৪৫) গ্রন্থে, আহমাদ শাকের তাঁর শরহে সুনান আত তিরমিযী (১৪/৩৮৯) গ্রন্থে, বিন বায তাঁর মাজমূ ফাতাওয়া (৬/৩৪৫, ১০/৩৩৯) গ্রন্থে, শাইখ আলবানী তাঁর যঈফুল জামে (৬৩১৭), যঈফ তিরমিযী (২০০), ইরওয়াউল গালীল (২২২) গ্রন্থে, ইবনু উসাইমীন তাঁর শরহে বুলুগুল মারাম (১/৪৮২) গ্রন্থে সকলেই হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)