পরিচ্ছেদঃ ৩৪. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও বা কিছুর উদ্দেশ্যে ইলম অন্বেষণকারীর নিন্দা
৩৯৩. দাউদ ইবনু সাবূর হতে বর্ণিত, তিনি শাহর ইবনু হাওশাবকে বলতে শুনেছেন, লুকমান হাকীম তাঁর পূত্র কে বলেছিলেন: হে আমার পূত্র! তুমি এ উদ্দেশ্যে ইলম শিক্ষা করবে না যে, তা দ্বারা আলিমদের সাথে প্রতিযোগিতা (গর্ব) করবে, কিংবা তা দ্বারা জাহিলদের (মুর্খদের) সাথে তর্ক-বিতর্ক করবে, কিংবা সমাবেশে লোকদেরকে তা প্রদর্শন করবে। আর ইলম থেকে উদাসীন হয়ে এবং মুর্খতার আশায় তুমি ইলমকে পরিত্যাগ করো না।
আর যখন তুমি লোকদেরকে আল্লাহর যিকির করতে[1] দেখ, তখন তাদের সাথে বসে যাও। ফলে তুমি যদি একজন আলিম হও, তবে তোমার ইলম তোমার উপকারে আসবে। আর যদি জাহিল হও, তবে তারা তোমাকে ইলম শিক্ষা দেবে। আশা করা যায় আল্লাহ তাদের উপর রহমত বর্ষণ করবেন; ফলে তাদের সাথে তুমিও সেই রহমত প্রাপ্ত হবে।
আর যখন লোকদেরকে দেখবে, তারা আল্লাহর যিকির করছে না, তখন তুমি তাদের সাথে বসবে না। কেননা, তুমি যদি একজন আলিম হও, তবে তোমার ইলম তখন তোমার কোনো উপকারে আসবে না। আর তুমি যদি একজন জাহিল (মুর্খ্য) হও, তাহলে তারা তোমার বিভ্রান্তি- কিংবা অজ্ঞতা আরও বৃদ্ধি করবে। এবং হতে পারে আল্লাহ তাদের উপর ক্রোধ নাযিল করবেন এবং তাদের সাথে সেই ক্রোধ তোমার উপরও আপতিত হবে।[2]
بَابُ: التَّوْبيخِ لِمَنْ يَطْلُبُ الْعِلْمَ لِغَيْرِ اللَّهَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ شَابُورَ، سَمِعَ شَهْرَ بْنَ حَوْشَبٍ، يَقُولُ: قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِهِ: «يَا بُنَيَّ لَا تَعَلَّمِ الْعِلْمَ لِتُبَاهِيَ بِهِ الْعُلَمَاءَ، وتُمَارِيَ بِهِ السُّفَهَاءَ، وَتُرَائِيَ بِهِ فِي الْمَجَالِسِ، وَلَا تَتْرُكِ الْعِلْمَ زَهَادَةً فِيهِ، وَرَغْبَةً فِي الْجَهَالَةِ، وَإِذَا رَأَيْتَ قَوْمًا لا يَذْكُرُونَ اللَّهَ، فَاجْلِسْ مَعَهُمْ، إِنْ تَكُ عَالِمًا، يَنْفَعْكَ عِلْمُكَ، وَإِنْ تَكُ جَاهِلًا، عَلَّمُوكَ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَطَّلِعَ عَلَيْهِمْ بِرَحْمَتِهِ، فَيُصِيبَكَ بِهَا مَعَهُمْ، وَإِذَا رَأَيْتَ قَوْمًا لَا يَذْكُرُونَ اللَّهَ فَلَا تَجْلِسْ مَعَهُمْ، إِنْ تَكُ عَالِمًا لَمْ يَنْفَعْكَ عِلْمُكَ، وَإِنْ تَكُ جَاهِلًا، زَادُوكَ غَيًّا - أَوْ عِيًّا - وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَطَّلِعَ عَلَيْهِمْ بِسَخَطٍ فَيُصِيبَكَ بِهِ مَعَهُمْ
إسناده صحيح إلى شهر بن حوشب ولكنه معضل
[2] তাহক্বীক্ব: শাহর ইবনু হাওশাব পর্যন্ত এর সনদ সহীহ। কিন্তু এটি মু’দ্বাল।
তাখরীজ: ইবনুল মুবারক, আয যুহদ নং ৯৫২; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৬/৬২-৬৩; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৬৭৯, ইবনু মানসুর ইবনু উয়াইনাহ হতে এ সনদে বর্ণনা করেছেন। পূর্বের ৩৮৯ নং আছারটি দেখুন।