৯২

পরিচ্ছেদঃ ১৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওফাত সম্পর্কে

৯২. খালিদ ইবনু মা’দান রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু আল আহতাম সাধারণ লোকদের সঙ্গে উমার ইবনু আব্দুল আযীয রাহিমাহুল্লাহ’র নিকট প্রবেশ করলেন। তিনি আকস্মিকভাবে উমার-এর সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা আরম্ভ করে দিলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও তা’রীফ করার পর বললেন: আম্মা বা’দ (অতঃপর), আল্লাহ মাখলুক সৃষ্টি করলেন। কিন্তু, তিনি মাখলুকের ইবাদতের মুখাপেক্ষী নন এবং এদের নাফরমানীর কারণে (তাঁর কোন ক্ষতির হওয়ার) আশংকা তাঁর মোটেই নেই। সে সময় (জাহিলী ‍যুগে) অবস্থা ও চিন্তাধারার দিক থেকে মানুষ ছিল বিভিন্ন ধরণের। এই অবস্থানে তাদের মধ্যে আরবরা ছিল বেশি খারাপ। তারা কেউ ছিল পাথরপূজারী, কেউ আরোহী এবং কেউ পশমের ঘরে (তাঁবুতে) বসবাসকারী। পৃথিবীর উত্তম বস্তুসমূহ, সুখ-শান্তি ও আরাম-আয়েশ তাদের উপর দিয়ে অতিক্রান্ত হচ্ছিল (এতে তাদের কোন আকর্ষণ ছিল না)। তারা আল্লাহর নিকট জামা’আতবদ্ধ জীবন চাইত না। তারা আল্লাহর কোন কিতাবও পড়ত না। তাদের মৃতব্যক্তি ছিল জাহান্নামী এবং জীবিতগণ ছিল অন্ধ, অপবিত্র। অসংখ্য (মন্দ) কাজের প্রতি তারা ছিল আগ্রহী, সেই সাথে উদাসীনতার বিষয়ও ছিল অসংখ্য। আল্লাহ যখন তাদেরকে তাঁর রহমতে সিক্ত করতে চাইলেন তখন তাঁর পক্ষ থেকে তাদের নিকট একজন রাসূল পাঠালেন- তোমাদের ক্ষতি যার নিকট অত্যন্ত পীড়াদায়ক। তিনি মু’মিনদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ও করুণাসিক্ত। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলাইহিস সাল্লাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। (আল্লাহ তা’আলা তার উপরে তাঁর রহমত, শান্তি ও বরকত নাযিল করুন।) সেটিও তাদেরকে তাঁর দেহ ক্ষতবিক্ষত করা থেকে এবং তাঁকে বিভিন্ন লকব বা মন্দ উপাধি প্রদান থেকে বিরত রাখতে পারে নি। যদিও তাঁর সাথে তখনও আল্লাহর মুখপাত্র হিসেবে কিতাব ছিল। কেবল তাঁর নির্দেশ অনুসারেই তিনি উঠে দাঁড়ান এবং তাঁর অনুমতিতেই তিনি আগে বাড়ান।

যখন তাকে কঠোর হবার নির্দেশ দেয়া হলো এবং জিহাদের অনুমতি দেয়া হল, তখন আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর শক্তি প্রকাশিত হতে লাগল। আল্লাহ তাঁর ’হুজ্জাত’ তথা দলীল-প্রমাণকে আরও সুসংহত করলেন। তাঁর কালিমাকে বলিষ্ঠ করলেন। তাঁর দাওয়াতকে ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত করলেন। আর এভাবে মুত্তাকী ও পাক-পবিত্র অবস্থায় তিনি দুনিয়া ছেড়ে গেলেন। তাঁর পরে আবু বকর উঠে দাঁড়ালেন (ক্ষমতা বা দায়িত্ব লাভ করলেন), তিনি তাঁর সুন্নাত অনুযায়ী তাঁর পন্থা অনুসরণ করলেন। কিছু বেদুইন তখন (যাকাত দিতে অস্বীকার করার মাধ্যমে) মুরতাদ বা দীনত্যাগী হয়ে গেল। ফলে যারা এরূপ করল, তাদের থেকে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা গ্রহণ করেছেন, তিনি তা ব্যতীত অন্য কিছু (তথা কম-বেশি)  গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন।  ফলে তরবারী খাপমুক্ত হয়ে পড়ল এবং তা থেকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বিচ্ছুরিত হতে লাগল। হকপন্থীগণ বাতিলপন্থীদের উপর চড়াও হল। তাদের অঙ্গকর্তন এবং মাটিকে তাদের রক্ত পান করানো অব্যাহত রইলো, যতক্ষণ তারা আগের অবস্থানে (দীন ইসলামে) ফিরে না আসল; যা অস্বীকার করেছিল তা স্বীকার না করল। আল্লাহর সম্পদ থেকে আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একটি বাচ্চা উট নিয়েছিলেন যা দিয়ে পানি বহন করানো হত এবং একটি হাবশী দাসী যে তাঁর এক ছেলেকে দুধ পান করাতো। মৃত্যুর সময় এগুলো তাঁর গলগ্রহে পরিণত হল। ফলে তিনি তা পরবর্তী খলিফার নিকট পৌঁছে দিয়ে তিনি মুত্তাকী ও পাক-পবিত্র অবস্থায় তাঁর সাথী (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পন্থার উপর দুনিয়া পরিত্যাগ করলেন।

অতঃপর উমার ইবনুল খাত্ত্বাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়ালেন এবং শহরের পর শহর প্রতিষ্ঠিত করলেন, কাঠিন্য ও কোমলতার মিশ্রণ ঘটালেন এবং জামার হাতা গুটিয়ে নিলেন এবং পরনের কাপড় পায়ের নলার উপর উঠিয়ে নিলেন (কোমর বেঁধে লাগলেন)। কাজের জন্য লোকজন এবং যুদ্ধের জন্য অস্ত্র-শস্ত্র প্রস্তুত করলেন। এরপর যখন মুগীরা ইবনু শু’বার কৃতদাস তাঁকে আহত করল, তখন তিনি ইবনু আব্বাসকে নির্দেশ দিলেন, লোকদেরকে যেন জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে কি-না। যখন তাঁকে বলা হল, সে মুগীরা ইবনু শু’বার কৃতদাস, তখন তিনি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ’আলহামদুলিল্লাহ’ বলে উঠলেন যে, গণিমাতের হকদার (কোন মুসলিম) তাঁকে আহত করেনি। যদি এমন হত, তবে হয়তো সে তাঁর বিপক্ষে যুক্তি দিতে পারত যে, যেহেতু তিনি তাঁর (গণিমাতের) মাল (ঠিকমত বণ্টন না করে) আত্মসাত করাকে হালাল করে নিয়েছিলেন, তাই তাঁকে হত্যা করাও তার জন্য হালাল ছিল।

আল্লাহর সম্পদ (বায়তুল মা’ল) থেকে তিনি আশি হাজারের কিছু বেশী অর্থ গ্রহণ করেছিলেন। সেজন্য তিনি নেতৃত্বের অবসান ঘটালেন এবং তা তাঁর ছেলেদের জামানতে রাখতে তিনি অপছন্দ করলেন। সেই অর্থ তিনি পরবর্তী খলিফার নিকট পৌঁছে দিয়েছেন এবং এভাবেই তিনি তাঁর পূর্ববর্তী দু’সাথীর মত মুত্ত্বাকী ও পাক-পবিত্র অবস্থায় দুনিয়া ত্যাগ করলেন।

অতঃপর তোমাকে, হে উমার, ‍দুনিয়ার (দুনিয়াদার) ছেলে, দুনিয়া তোমাকে  এর রাজ্যের শাসক বানিয়েছে। তোমাকে সে একটু একটু করে দুধ পান করিয়েছে এবং এর মধ্যে প্রত্যাশিত (সম্মানীয়) স্থান অন্বেষণের জন্য (তোমার মধ্যে) আকাঙ্ক্ষা জন্মিয়েছে। তারপর যখন তুমি এর শাসক হলে, তখন তুমি তাকে সেইখানে নিক্ষেপ করলে, যেখানে আল্লাহ তা’আলা একে নিক্ষেপ করেছেন। অর্থাৎ তুমি দুনিয়াকে বর্জন করেছো এবং একে দূরে সরিয়ে দিয়েছ এবং একে ঘৃণা করেছ, কেবল পথ চলার জন্য যে পাথেয়/সম্বলটুকু প্রয়োজন তা ব্যতীত (আর কিছুই তুমি গ্রহণ করছ না)। তাই সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তোমার মাধ্যমে আমাদের দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ-আপদ দূর করে দিয়েছেন। অতএব তুমি (তোমার কর্তব্য) সম্পাদন করে যাও এবং অন্য কোন দিকে ভ্রক্ষেপ করো না।’ হকের (সত্যের) চেয়ে সম্মানীয় আর কিছুই নেই এবং বাতিলের চেয়ে অসম্মানীয় আর কিছুই নেই।

আমার এ কথা আমি বলে গেলাম এবং আমার জন্য ও সমস্ত মু’মিন পুরুষ ও নারীর জন্য আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

আইয়্যূব বলেন: উমার ইবনু আব্দুল আযীয কোন কিছু ঘটলে বলতেন: ’আমাকে ইবনুল আহতাম বলতেন: তুমি (তোমার কর্তব্য) সম্পাদন করে যাও এবং অন্য কোন দিকে ভ্রক্ষেপ করো না।’[1]

باب في وفاة النبي صلى الله عليه وسلم

أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرٍ الْمِصْرِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ أَبِي أَيُّوبَ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيِّ، عَنْ مَعْرُوفِ بْنِ خَرَّبُوذَ الْمَكِّيِّ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ: دَخَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَهْتَمِ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ مَعَ الْعَامَّةِ فَلَمْ يَفْجَأْ عُمَرَ إِلَّا وَهُوَ بَيْنَ يَدَيْهِ يَتَكَلَّمُ، " فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ غَنِيًّا عَنْ طَاعَتِهِمْ، آمِنًا لِمَعْصِيَتِهِمْ، وَالنَّاسُ يَوْمَئِذٍ فِي الْمَنَازِلِ وَالرَّأْيِ مُخْتَلِفُونَ، فَالْعَرَبُ بِشَرِّ تِلْكَ الْمَنَازِلِ: أَهْلُ الْحَجَرِ وَأَهْلُ الْوَبَرِ، وَأَهْلُ الدَّبَرِ، تَجْتَازَ دُونَهُمْ طَيِّبَاتُ الدُّنْيَا وَرَخَاءُ عَيْشِهَا، لَا يَسْأَلُونَ اللَّهَ جَمَاعَةً، وَلَا يَتْلُونَ لَهُ كِتَابًا، مَيِّتُهُمْ فِي النَّارِ، وَحَيُّهُمْ أَعْمَى نَجِسٌ مَعَ مَا لَا يُحْصَى مِنَ الْمَرْغُوبِ عَنْهُ، وَالْمَزْهُودِ فِيهِ. فَلَمَّا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَنْشُرَ عَلَيْهِمْ رَحْمَتَهُ، بَعَثَ إِلَيْهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ، وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ فَلَمْ يَمْنَعْهُمْ ذَلِكَ أَنْ جَرَحُوهُ فِي جِسْمِهِ وَلَقَّبُوهُ فِي اسْمِهِ، وَمَعَهُ كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ نَاطِقٌ، لَا يُقَوَّمُ إِلَّا بِأَمْرِهِ، وَلَا يُرْحَلُ إِلَّا بِإِذْنِهِ، فَلَمَّا أُمِرَ بِالْعَزْمَةِ، وَحُمِلَ عَلَى الْجِهَادِ، انْبَسَطَ لِأَمْرِ اللَّهِ لَوْثُهُ، فَأَفْلَجَ اللَّهُ حُجَّتَهُ، وَأَجَازَ كَلِمَتَهُ، وَأَظْهَرَ دَعْوَتَهُ، وَفَارَقَ الدُّنْيَا تَقِيًّا نَقِيًّا، ثُمَّ قَامَ بَعْدَهُ أَبُو بَكْرٍ فَسَلَكَ سُنَّتَهُ، وَأَخَذَ سَبِيلَهُ، وَارْتَدَّتْ الْعَرَبُ - أَوْ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ مِنْهُمْ - فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَ مِنْهُمْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا الَّذِي كَانَ قَابِلًا، انْتَزَعَ السُّيُوفَ مِنْ أَغْمَادِهَا، وَأَوْقَدَ النِّيرَانَ فِي شُعُلِهَا، ثُمَّ نُكِبَ بِأَهْلِ الْحَقِّ أَهْلُ الْبَاطِلِ، فَلَمْ يَبْرَحْ يُقَطِّعُ أَوْصَالَهُمْ، وَيَسْقِي الْأَرْضَ دِمَاءَهُمْ، حَتَّى أَدْخَلَهُمْ فِي الَّذِي خَرَجُوا مِنْهُ، وَقَرَّرَهُمْ بِالَّذِي نَفَرُوا عَنْهُ، وَقَدْ كَانَ أَصَابَ مِنْ مَالِ اللَّهِ بَكْرًا [ص: 226] يَرْتَوِي عَلَيْهِ، وَحَبَشِيَّةً أَرْضَعَتْ وَلَدًا لَهُ، فَرَأَى ذَلِكَ عِنْدَ مَوْتِهِ غُصَّةً فِي حَلْقِهِ فَأَدَّى ذَلِكَ إِلَى الْخَلِيفَةِ مِنْ بَعْدِهِ وَفَارَقَ الدُّنْيَا تَقِيًّا نَقِيًّا عَلَى مِنْهَاجِ صَاحِبِهِ. ثُمَّ قَامَ بَعْدَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَمَصَّرَ الْأَمْصَارَ، وَخَلَطَ الشِّدَّةَ بِاللِّينِ، وَحَسَرَ عَنْ ذِرَاعَيْهِ، وَشَمَّرَ عَنْ سَاقَيْهِ وعدَّ لِلْأُمُورِ أَقْرَانَهَا، وَلِلْحَرْبِ آلَتَهَا، فَلَمَّا أَصَابَهُ فَتَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَمَرَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَسْأَلُ النَّاسَ: هَلْ يُثْبِتُونَ قَاتِلَهُ. فَلَمَّا قِيلَ: فَتَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، اسْتَهَلَّ يَحْمَدُ رَبَّهُ أَنْ لَا يَكُونَ أَصَابَهُ ذُو حَقٍّ فِي الْفَيْءِ فَيَحْتَجَّ عَلَيْهِ بِأَنَّهُ إِنَّمَا اسْتَحَلَّ دَمَهُ بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ حَقِّهِ، وَقَدْ كَانَ أَصَابَ مِنْ مَالِ اللَّهِ بِضْعَةً وَثَمَانِينَ أَلْفًا، فَكَسَرَ لَهَا رِبَاعَهُ وَكَرِهَ بِهَا كَفَالَةَ أَوْلَادِهِ، فَأَدَّاهَا إِلَى الْخَلِيفَةِ مِنْ بَعْدِهِ، وَفَارَقَ الدُّنْيَا تَقِيًّا نَقِيًّا عَلَى مِنْهَاجِ صَاحِبَيْهِ. ثُمَّ إِنَّكَ يَا عُمَرُ بُنَيُّ الدُّنْيَا وَلَّدَتْكَ مُلُوكُهَا، وَأَلْقَمَتْكَ ثَدْيَيْهَا، وَنَبَتَّ فِيهَا تَلْتَمِسُهَا مَظَانَّهَا، فَلَمَّا وُلِّيتَهَا أَلْقَيْتَهَا حَيْثُ أَلْقَاهَا اللَّهُ، هَجَرْتَهَا وَجَفَوْتَهَا، وَقَذِرْتَهَا إِلَّا مَا تَزَوَّدْتَ مِنْهَا، فَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَلَا بِكَ حَوْبَتَنَا، وَكَشَفَ بِكَ كُرْبَتَنَا، فَامْضِ وَلَا تَلْتَفِتْ، فَإِنَّهُ لَا يَعِزُّ عَلَى الْحَقِّ شَيْءٌ، وَلَا يَذِلُّ عَلَى الْبَاطِلِ شَيْءٌ. أَقُولُ قَوْلِي هذا وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ لِي وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ " [ص: 227] قَالَ أَبُو أَيُّوبَ: فَكَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَقُولُ فِي الشَّيْءِ قَالَ لِيَ ابْنُ الْأَهْتَمِ: امْضِ وَلَا تَلْتَفِتْ

إسناده فيه مجهولان. وهو موقوف على ابن الأهتم

اخبرني ابو بكر المصري، عن سليمان ابي ايوب الخزاعي، عن يحيى بن سعيد الاموي، عن معروف بن خربوذ المكي، عن خالد بن معدان قال: دخل عبد الله بن الاهتم على عمر بن عبد العزيز مع العامة فلم يفجا عمر الا وهو بين يديه يتكلم، " فحمد الله واثنى عليه، ثم قال: اما بعد، فان الله خلق الخلق غنيا عن طاعتهم، امنا لمعصيتهم، والناس يومىذ في المنازل والراي مختلفون، فالعرب بشر تلك المنازل: اهل الحجر واهل الوبر، واهل الدبر، تجتاز دونهم طيبات الدنيا ورخاء عيشها، لا يسالون الله جماعة، ولا يتلون له كتابا، ميتهم في النار، وحيهم اعمى نجس مع ما لا يحصى من المرغوب عنه، والمزهود فيه. فلما اراد الله ان ينشر عليهم رحمته، بعث اليهم رسولا من انفسهم عزيز عليه ما عنتم حريص عليكم بالمومنين رءوف رحيم، صلى الله عليه، وعليه السلام ورحمة الله وبركاته فلم يمنعهم ذلك ان جرحوه في جسمه ولقبوه في اسمه، ومعه كتاب من الله ناطق، لا يقوم الا بامره، ولا يرحل الا باذنه، فلما امر بالعزمة، وحمل على الجهاد، انبسط لامر الله لوثه، فافلج الله حجته، واجاز كلمته، واظهر دعوته، وفارق الدنيا تقيا نقيا، ثم قام بعده ابو بكر فسلك سنته، واخذ سبيله، وارتدت العرب - او من فعل ذلك منهم - فابى ان يقبل منهم بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم الا الذي كان قابلا، انتزع السيوف من اغمادها، واوقد النيران في شعلها، ثم نكب باهل الحق اهل الباطل، فلم يبرح يقطع اوصالهم، ويسقي الارض دماءهم، حتى ادخلهم في الذي خرجوا منه، وقررهم بالذي نفروا عنه، وقد كان اصاب من مال الله بكرا [ص: 226] يرتوي عليه، وحبشية ارضعت ولدا له، فراى ذلك عند موته غصة في حلقه فادى ذلك الى الخليفة من بعده وفارق الدنيا تقيا نقيا على منهاج صاحبه. ثم قام بعده عمر بن الخطاب فمصر الامصار، وخلط الشدة باللين، وحسر عن ذراعيه، وشمر عن ساقيه وعد للامور اقرانها، وللحرب التها، فلما اصابه فتى المغيرة بن شعبة، امر ابن عباس يسال الناس: هل يثبتون قاتله. فلما قيل: فتى المغيرة بن شعبة، استهل يحمد ربه ان لا يكون اصابه ذو حق في الفيء فيحتج عليه بانه انما استحل دمه بما استحل من حقه، وقد كان اصاب من مال الله بضعة وثمانين الفا، فكسر لها رباعه وكره بها كفالة اولاده، فاداها الى الخليفة من بعده، وفارق الدنيا تقيا نقيا على منهاج صاحبيه. ثم انك يا عمر بني الدنيا ولدتك ملوكها، والقمتك ثدييها، ونبت فيها تلتمسها مظانها، فلما وليتها القيتها حيث القاها الله، هجرتها وجفوتها، وقذرتها الا ما تزودت منها، فالحمد لله الذي جلا بك حوبتنا، وكشف بك كربتنا، فامض ولا تلتفت، فانه لا يعز على الحق شيء، ولا يذل على الباطل شيء. اقول قولي هذا واستغفر الله لي وللمومنين والمومنات " [ص: 227] قال ابو ايوب: فكان عمر بن عبد العزيز يقول في الشيء قال لي ابن الاهتم: امض ولا تلتفت اسناده فيه مجهولان. وهو موقوف على ابن الاهتم

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)