৪০১৩

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা

৪০১৩-[২৯] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর ও ’উমার (রাঃ) গনীমাতে খিয়ানাতকারীর সমস্ত মাল জ্বালিয়ে দেন এবং তাকে প্রহার করেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ حَرَّقُوا مَتَاعَ الْغَالِّ وضربوه. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم وابا بكر وعمر حرقوا متاع الغال وضربوه. رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: কারো মালের মধ্যে খিয়ানাতের মাল পাওয়া গেলে ইমাম সমীচীন মনে করলে তার খিয়ানাতের মাল জ্বালিয়ে দিতে পারেন। অবশ্যই এটা বিশেষ অবস্থায়।

কতিপয় আহলে ‘ইলম তথা বিদ্বান যেমন হাসান বাসরী (রহঃ) এ মত পোষণ করেছেন যে, তার সম্পদ জ্বালিয়ে দেয়া হবে। তবে যদি ঐ খিয়ানাতের সম্পদের মধ্যে জীব-জন্তু অথবা কুরআনের নুসখা থাকে তাহলে তা জ্বালানো যাবে না। আহমাদ, ইসহক প্রমুখ ইমাম ও ফাকীহ বলেন, কোনো সম্পদই পোড়ানো যাবে না; কেননা এগুলো গনীমাতের মাল, যাতে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈনিকদের অংশ রয়েছে। তাদের অংশ তাদের হাতে ফেরত দেয়া উচিত। সে যদি ওটা নষ্ট করে তবে জরিমানা দিতে হবে। তবে ইমাম মালিক, শাফি‘ঈ এবং আবূ হানীফাহ্-এর সাথীদের মত হলো এ হাদীস ধমকি ও শাসনমূলক, ওয়াজিব হিসেবে নয়।

ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস ছাড়া এতদসম্পর্কীয় অন্য হাদীস এসেছে, যেখানে জ্বালিয়ে দেয়ার নির্দেশ নেই। শারহেস্ সুন্নাহ্ গ্রন্থে রয়েছে, মাতানের দিক থেকে অর্থাৎ মূল বক্তব্যে হাদীসটি গরীব।

হাফিয শামসুদ্দীন ইবনুল কইয়িম (রহঃ) বলেন, এ হাদীসের ইল্লাত বা ত্রুটি হলো এটি যুহায়র ইবনু মুহাম্মাদ ‘আমর ইবনু শু‘আয়ব থেকে বর্ণনা করেছেন; এ যুহায়র হলো য‘ঈফ। ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ) বলেন, যুহায়র মাজহূল বা অপরিচিত ব্যক্তি। সুতরাং হাদীসটি সানাদের দিক থেকেও য‘ঈফ। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭১২)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)