৪০০৫

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা

৪০০৫-[২১] আবুল লাহম-এর আযাদকৃত গোলাম ’উমায়র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার মুনীবের সাথে খায়বার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমার মালিকগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আমার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করে অনুমতি নিয়েছেন এবং আমি যে গোলাম এটাও তাঁকে জানিয়েছেন। অতঃপর আমাকে মুজাহিদদের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিলেন। পরে আমাকে আমার তরবারি ঝুলিয়ে দেয়া হলো। কিন্তু আমার (শারীরিক গঠন খাটো হওয়ার কারণে) তরবারি হিঁচড়ে টেনে চলতাম। তিনি আমাকে ঘরের (তৈজসপত্র জাতীয়) কিছু মাল দেয়ার হুকুম করলেন। বর্ণনাকারী (’উমায়র ) বলেন, আমি ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে কিছু চিকিৎসা করতাম এবং তা দ্বারা পাগল-মাতালের ঝাড়-ফুঁক করতাম। সুতরাং আমি ঝাড়-ফুঁকের সেই মন্ত্রগুলো (দু’আগুলো) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পড়ে শুনালে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার কিছু বাদ দেয়ার আর কিয়দংশ পাঠের অনুমতি দিয়েছেন। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ; অবশ্য আবূ দাঊদে [বর্ণনা শেষ হয়েছে الْمَتَاعِ] শব্দের নিকট] সেখানে ’মন্ত্রের’ কথাটি উল্লেখ নেই। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عُمَيْرٍ مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ قَالَ: شَهِدْتُ خَيْبَر مَعَ ساداتي فَكَلَّمُوا فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَلَّمُوهُ أَنِّي مَمْلُوكٌ فَأَمَرَنِي فَقُلِّدْتُ سَيْفًا فَإِذَا أَنَا أَجُرُّهُ فَأَمَرَ لِي بِشَيْءٍ مِنْ خُرْثِيِّ الْمَتَاعِ وَعَرَضْتُ عَلَيْهِ رُقْيَةً كَنْتُ أَرْقِي بِهَا الْمَجَانِينَ فَأَمَرَنِي بِطَرْحِ بَعْضِهَا وَحَبْسِ بَعْضِهَا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ إِلَّا أَنَّ رِوَايَتَهُ انتهتْ عِنْد قَوْله: الْمَتَاع

وعن عمير مولى ابي اللحم قال: شهدت خيبر مع ساداتي فكلموا في رسول الله صلى الله عليه وسلم وكلموه اني مملوك فامرني فقلدت سيفا فاذا انا اجره فامر لي بشيء من خرثي المتاع وعرضت عليه رقية كنت ارقي بها المجانين فامرني بطرح بعضها وحبس بعضها. رواه الترمذي وابو داود الا ان روايته انتهت عند قوله: المتاع

ব্যাখ্যা: কৃতদাস বা গোলাম যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলে তার জন্য গনীমাতের নির্ধারিত হিস্যা বা অংশ নেই, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কিছু দিতেন। আবূ লাহম-এর গোলাম ‘উমায়র-কেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের যুদ্ধলব্ধ মাল থেকে কিছু দিয়েছেন।

কুরআন-হাদীসের বাক্য দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা বৈধ। কুরআন ও সহীহ হাদীসের বাইরে বিকৃত অর্থ অথবা দুর্বোধ্য বাক্য দ্বারা ঝাড় ফুঁক করা বৈধ নয়।

‘উমায়র কিছু বাক্য দ্বারা জিনে ধরা পাগলকে ঝাড়-ফুঁক করে চিকিৎসা করতেন। ঐ বাক্যগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পেশ করলে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপত্তিকর শব্দ বা বাক্যাংশ বাদ দিতে বলেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭২৭; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫৫৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)