৩৮৪৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৮৪৮-[৬১] ’উকবা ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যদি কোনো লোককে কোনো দায়িত্বে নিযুক্ত করি আর সে উক্ত দায়িত্ব পালনে গাফলতি (অবহেলা) করে, তবে কি তোমরা তাকে পদচ্যুত করে তার স্থলে এমন কোনো লোককে নিযুক্ত করতে সক্ষম, যে আমার নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করবে। (আবূ দাঊদ)[1]

আর ফাযালাহ্-এর হাদীস ’সে ব্যক্তিই প্রকৃত মুজাহিদ যে তার নাফসের সাথে জিহাদ করে’ কিতাবুল ঈমানের মধ্যে বর্ণিত আছে।

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَن عقبَة بن مَالك عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أعجزتم إِذا بعثت رجلا فَم يَمْضِ لِأَمْرِي أَنْ تَجْعَلُوا مَكَانَهُ مَنْ يَمْضِي لِأَمْرِي؟» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
وَذَكَرَ حَدِيثَ فَضَالَةَ: «وَالْمُجَاهِدُ مَنْ جَاهَدَ نَفْسَهُ» . فِي «كِتَابِ الْإِيمَانِ»

وعن عقبة بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «اعجزتم اذا بعثت رجلا فم يمض لامري ان تجعلوا مكانه من يمضي لامري؟» . رواه ابو داود وذكر حديث فضالة: «والمجاهد من جاهد نفسه» . في «كتاب الايمان»

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে এ কথা বলেন যে, যদি আমার প্রেরিত আমীর তোমাদের কাছে গিয়ে নিজ দায়িত্ব তথা আমার দেয়া ফায়সালা বাস্তবায়ন না করে তাহলে তোমরা তাকে অপসারণ করো এবং তার জায়গায় এমন কাউকে আমীর হিসেবে নিযুক্ত কর, যে এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবে।

(أَنْ تَجْعَلُوْا مَكَانَه مَنْ يَمْضِىْ لِأَمْرِىْ؟) এর ব্যাখ্যায় ‘আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন, ‘‘আমি যদি কোনো আমীর নিযুক্ত করে তোমাদের নিকট প্রেরণ করি, আর সে যদি তোমাদের নিকট গিয়ে নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে, তাহলে তোমরা তাকে অপসারণ করে তার জায়গায় অন্যকে নিযুক্ত কর। অথবা, আমি যদি কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য তোমাদের নিকট কাউকে প্রেরণ করি, আর সে যদি ঐ সিদ্ধান্তের অবাধ্য হয়, তাহলে তোমরা তাকে অপসারণ কর।

ইবনুল মালিক বলেনঃ এর অর্থ হলো, ‘‘তোমরা তাকে অপসারণ করে তার স্থলে এমন কাউকে নিযুক্ত কর, যে আমার আদেশের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করবে’’। সুতরাং যদি কোনো আমীর তার প্রজাদের ওপর জুলুম-অত্যাচার করে এবং তাদের অধিকার সংরক্ষণ না করে, তাহলে উক্ত আমীরকে তারা অপসারণ করবে এবং তার স্থলে অন্যকে বসাবে।

কারো মতে, যদি তাকে অপসারণ করতে গেলে ফিতনা বা রক্তপাতের আশংকা থাকে এবং যদি ঐ নেতা শুধুমাত্র সম্পদের ক্ষেত্রে যালিম হয়, তাহলে তাকে অপসারণ করা বৈধ হবে না। আর যদি সে অত্যাচারী নেতা অধিকহারে রক্তপাত ঘটায় এবং তাকে হত্যা করলে রক্তপাত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাকে এবং তার সহযোগীদেরকে জাতীয় স্বার্থে হত্যা করাও বৈধ। আর যদি উক্ত নেতাকে অপসারণ করলে রক্তপাত বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে তাকে হত্যা না করে অপসারণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে তাকে হত্যা করা বৈধ হবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)