৩৮৩৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৮৩৯-[৫২] উম্মু হারাম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নৌযানে সফরকালীন মাথার চক্করের ফলে বমি (ইত্যাদি সমস্যা) হলে একজন শাহীদের ন্যায় সাওয়াবের অধিকারী হবে, আর সমুদ্রে ডুবে মৃত্যুবরণ করলে দু’জন শাহীদের সমপরিমাণ সাওয়াব অর্জিত হবে। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَن أم حرَام عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمَائِدُ فِي الْبَحْرِ الَّذِي يُصِيبُهُ الْقَيْءُ لَهُ أَجْرُ شَهِيدٍ وَالْغَرِيقُ لَهُ أَجْرُ شَهِيدَيْنِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ام حرام عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «الماىد في البحر الذي يصيبه القيء له اجر شهيد والغريق له اجر شهيدين» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: হাদীসের বাণী (الْمَائِدُ فِى الْبَحْرِ الَّذِىْ يُصِيبُهُ الْقَيْءُ) অর্থাৎ- যখন সমুদ্রের বাতাসে তার মাথা এপাশে ওপাশে নড়াচড়া করে ও নূয়ে পড়ে আর ঢেউয়ের তালে নৌযান এদিকে ওদিকে নড়াচড়া করে।

মুযহির বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি সমুদ্রে আরোহণ করে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে সে একজন শাহীদের সমান প্রতিদান পাবে। কারণ তার সমুদ্রে সফরটা ছিল আল্লাহর আনুগত্যের ভিত্তিতে। যেমন ব্যক্তি সমুদ্র পথে সফর করে থাকে যুদ্ধের জন্য, হজে/হজ্জের জন্য, ‘ইলম অর্জনের জন্য এবং ব্যবসার জন্য- যদি তার আর কোনো রাস্তা না থাকে। কিন্তু যদি সে শুধু তার মাল বৃদ্ধির জন্য সফর করে তাহলে এ মর্যাদা পাবে না। তাছাড়া খাবারের জন্যও যদি সফর করে তবুও শাহীদের মর্যাদা পাবে’’।

আলোচ্য ব্যক্তি শাহীদের মর্যাদা লাভের কারণ দু’টি, একটি হলো তার আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের কারণে, আর অপরটি হলো ডুবে মারা যাওয়ার কারণে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)