৩৭৪৪

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা

৩৭৪৪-[১৪] আর রযীন-এর এক বর্ণনাতে নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত, ইবনু ’উমার (রাঃ) ’উসমান (রাঃ)-কে বললেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আমি পরস্পর দু’ ব্যক্তির মধ্যেও বিচার-ফায়সালা করব না। তখন ’উসমান(রাঃ) বললেনঃ আপনার পিতা তো বিচারকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। তখন ইবনু ’উমার(রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, তবে আমার পিতা যদি কোনো সমস্যায় পড়তেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞেস করে নিতেন। আর যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো বিষয়ে সমস্যা অনুভব করতেন, তখন জিবরীল (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করতেন। তাই এখন আমি এমন কাউকে পাব না যার স্মরণাপন্ন হব।

আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, সে মহান সত্তার আশ্রিত হলো। আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে আশ্রয় চায়, তোমরা তাকে আশ্রয় দাও। সুতরাং আমাকে বিচারক নিযুক্ত করা থেকে আমি আল্লাহর ওয়াস্তে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। অতঃপর ’উসমান ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে অব্যাহতি দিয়ে বললেনঃ আপনি এ কথাগুলো কারো নিকট বহিঃপ্রকাশ করবেন না (কেননা, বিচারকের দায়িত্ব নিতে সবাই অনীহা প্রকাশ করবে)।[1]

وَفِي رِوَايَةِ رَزِينٍ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ قَالَ لِعُثْمَانَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَا أَقْضِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ: قَالَ: فَإِنَّ أَبَاكَ كَانَ يَقْضِي فَقَالَ: إِنَّ أَبِي لَوْ أُشْكِلَ عَلَيْهِ شَيْءٌ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَوْ أُشْكِلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْءٌ سَأَلَ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَإِنِّي لَا أَجِدُ مَنْ أَسْأَلُهُ وَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ عَاذَ بِاللَّهِ فَقَدْ عَاذَ بِعَظِيمٍ» . وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «مَنْ عَاذَ بِاللَّهِ فَأَعِيذُوهُ» . وَإِنِّي أَعُوذُ باللَّهِ أنْ تجعلَني قاضِياً فأعْفاهُ وَقَالَ: لَا تُخبرْ أحدا

وفي رواية رزين عن نافع ان ابن عمر قال لعثمان: يا امير المومنين لا اقضي بين رجلين: قال: فان اباك كان يقضي فقال: ان ابي لو اشكل عليه شيء سال رسول الله صلى الله عليه وسلم ولو اشكل على رسول الله صلى الله عليه وسلم شيء سال جبريل عليه السلام واني لا اجد من اساله وسمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «من عاذ بالله فقد عاذ بعظيم» . وسمعته يقول: «من عاذ بالله فاعيذوه» . واني اعوذ بالله ان تجعلني قاضيا فاعفاه وقال: لا تخبر احدا

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসের মূল বিষয়বস্তু হলো বিচারকাজ করতে বা বিচারক হওয়ার আশা না করা। ‘উসমান ইবনু ‘উমার -কে বিচারক হওয়ার আমন্ত্রণ জানালে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং বিচারক হওয়া থেকে পরিত্রাণ চান। ‘উসমান তাকে পুনরায় বললেন, বিচারক হলে অসুবিধা কি আপনার আববা ‘উমার তো বিচারক ছিলেন? এর উত্তরে ইবনু ‘উমার বলেন, আমার পিতা কোনো বিষয়ে না বুঝলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতেন আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম না বুঝলে জিবরীলের মারফতে আল্লাহর নিকট থেকে জেনে নিতেন। কিন্তু আমার বিষয়টিতো এমন নয়। এ কথা বলে তিনি বিচারকাজ গ্রহণ করা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। হাদীসের বাহ্যিক অর্থ থেকে বুঝা যায়, ‘উমার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবিত থাকাকালীনই বিচারক ছিলেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)