৩৫৬৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৬৭-[১৩] ইয়াযীদ ইবনু নু’আয়ম (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মা’ইয নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে যিনায় লিপ্ত হওয়ার কথা চারবার স্বীকারোক্তি প্রদান করলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে ’রজমের’ নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হায্যাল-কে বললেন, তুমি যদি মা’ইয (রাঃ)-কে তোমার কাপড় দ্বারা আড়াল করতে (অপরাধ প্রকাশ না করতে), তবে তা তোমার জন্য উত্তম হতো। ইবনুল মুনকাদির বলেন, হাযযাল-ই মা’ইয (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে এতদসম্পর্কে জানাতে বলেছিলেন। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ يَزِيدَ بْنِ نُعَيْمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ مَاعِزًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَقَرَّ عِنْدَهُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ فَأَمَرَ بِرَجْمِهِ وَقَالَ لِهَزَّالٍ: «لَوْ سَتَرْتَهُ بِثَوْبِكَ كَانَ خَيْرًا لَكَ» قَالَ ابْنُ الْمُنْكَدِرِ: إِنَّ هَزَّالًا أَمَرَ مَاعِزًا أَنْ يَأْتِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فيخبره. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن يزيد بن نعيم عن ابيه ان ماعزا اتى النبي صلى الله عليه وسلم فاقر عنده اربع مرات فامر برجمه وقال لهزال: «لو سترته بثوبك كان خيرا لك» قال ابن المنكدر: ان هزالا امر ماعزا ان ياتي النبي صلى الله عليه وسلم فيخبره. رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: (إِنَّ هَزَّالًا أَمَرَ مَاعِزًا أَنْ يَّأْتِىَ النَّبِىَّ ﷺ فَيُخْبِرَه) এই হায্যাল মা‘ইয -কে আদেশ করেছিল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে এসে উক্ত ঘটনাটি বর্ণনা করার জন্য। আর এটা এজন্য যে, মা‘ইয যে মেয়েটির সাথে যিনা করেছিল তার নাম ফাত্বিমাহ্ আর সে মুক্ত দাস ছিল। অতঃপর হাযযাল-এর বিষয়টি জানলে মা‘ইয-কে পরামর্শ দিলো রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসার। মূলত সে চেয়েছে তার অপমান ও লাঞ্ছনা কিসাস স্বরূপ তার আযাদকৃত দাসীর সাথে এ আচরণের জন্য। কারো মতে এবং এটা অধিক গ্রহণযোগ্য এটা তার জন্য উপদেশ ছিল হায্যাল-এর পক্ষ থেকে যা তৃতীয় অনুচ্ছেদে আসবে দ্বিতীয় হাদীসে।

ইবনু হুমাম বলেনঃ বুখারী বর্ণনা করেছেন আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে মারফূ‘ সূত্রে।

مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللّٰهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الْاٰخِرَةِ، وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللّٰهُ فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاللّٰهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا دَامَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ

যে ব্যক্তি কোনো মুসলিম ভাই-এর দুনিয়ার কোনো দুঃখ কষ্ট লাঘবে করে, আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে আখিরাতে দুঃখ কষ্ট লাঘব করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিম ভাই-এর দোষ-ত্রুটি গোপন করবে তার দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আল্লাহ সর্বদাই ঐ বান্দার সহযোগিতায় থাকেন যে বান্দা অপর ভাই এর সহযোগিতায় থাকেন।

আর আবূ দাঊদ ও নাসায়ীতে ‘উকবা বিন ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

أَنَّ النَّبِيُّ ﷺ مَنْ رَأَى أَيَّ عَوْرَةٍ فَسَتَرَهَا كَانَ كَمَا أَحْيَا مَوْءُودَةً

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোনো গোপন দোষ ত্রুটি দেখলো আর তা গোপন করলো, সে যেন প্রোথিত সন্তানকে জীবন দান করলো।

তবে গোপন করার বিষয়টি তখন প্রযোজ্য হবে যখন যিনাটা গোপন হবে আর সে এ ব্যাপারে সীমালঙ্ঘনকারিণী যদি প্রকাশ্যভাবে করে এবং প্রচারণা চালায় তাহলে সমাজ থেকে পাপাচারের কর্মকা- উপড়ে ফেলার জন্য হাদ্দ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন, এক্ষেত্রে গোপন না করে সাক্ষ্য প্রদান করাই ওয়াজিব। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود)