৩৪৭০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৪৭০-[২৫] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মসজিদে দণ্ডবিধি কার্যকরী করা যাবে না। আর পিতা যদি সন্তানকে হত্যা করে ফেলে, তার কোনো কিসাস নেই। (তিরমিযী ও দারিমী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُقَامُ الْحُدُودُ فِي الْمَسَاجِدِ وَلَا يُقَادُ بِالْوَلَدِ الْوَالِدُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ والدارمي

وعن ابن عباس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا تقام الحدود في المساجد ولا يقاد بالولد الوالد» . رواه الترمذي والدارمي

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের আলোকে বুঝা যাচ্ছে যে, মসজিদের ভিতরে শারী‘আতের বিধান (হাদ্দে শার‘ঈ) প্রয়োগ করা যাবে না। কেননা মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে ফরয সালাত আদায় করার জন্য। ফরযের সাথে নফল আদায় ও জ্ঞান শিক্ষার জন্য। (ইবনুল হুমাম)

‘আল্লামা মুযহির (রহঃ) বলেনঃ অত্র হাদীসে মসজিদে পবিত্রতা রক্ষা করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ হাদীসের আলোকে একটি মাস্আলায় হানাফী ও শাফি‘ঈরা পরস্পর বিরোধিতা করেছেন, অর্থাৎ- যদি এমন কোনো ব্যক্তি হারামের মধ্যে অবস্থান করে যার কিসাস বৈধ তথা তাকে হত্যা করা জরুরী তবে ক্ষেত্রে কি হুকুম প্রযোজ্য হবে?

এ ক্ষেত্রে ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেনঃ তার জন্য সব কিছু সংকীর্ণ করে দিতে হবে যাতে সে হারাম থেকে বের হয় এবং বের হওয়ার পর তাকে হত্যা করতে হবে। আর ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) বলেনঃ তাকে হারামের মধ্যেই হত্যা করা যাবে।

এ হাদীসের অপর অংশে বলা হচ্ছে- সন্তানকে হত্যা করার দায়ে পিতা হতে কিসাস (তথা খুনের বদলে খুন) নেয়া যাবে না। অর্থাৎ সন্তান হত্যার দায়ে পিতার কাছ থেকে দিয়াত তথা রক্তমূল্য আদায় করতে হবে। ইবনুল হুমাম ইখতিলাফুল আয়িম্মাহ্ (ইমামদের মতভেদ) গ্রন্থে বলেনঃ এ ব্যাপারে সকল ‘উলামায়ে কিরাম একমত পোষণ করেছেন যে, যখন কোনো সন্তান পিতা-মাতার থেকে কাউকে হত্যা করে তবে সন্তানকে হত্যা করতে হবে। কিন্তু পিতা যদি সন্তানকে হত্যা করে তবে ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেনঃ এ ক্ষেত্রে পিতাকে হত্যা করা যাবে না। ইমাম আহমাদ এবং ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-ও এ মত পোষণ করেন। কিন্তু ইমাম মালিক (রহঃ) বলেনঃ পিতা যদি সন্তানকে যাবাহ করে হত্যা করে তবে পিতা হতে কিসাস নেয়া হবে। আর যদি তরবারি বা অন্য কিছু দ্বারা মারধর করে এবং এতে সন্তান মারা যায় তবে কিসাস নেয়া যাবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪০১)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৬: কিসাস (প্রতিশোধ) (كتاب القصاص)