পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৪৫৯-[১৪] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহূদী একটি মেয়ের মাথা দু’টি পাথরের মাঝে রেখে ছেঁচে দিল। অতঃপর মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করা হলো, কে তোমার সাথে এরূপ করেছে? অমুক, না অমুক? পরিশেষে এক ইয়াহূদীর নাম উল্লেখ করা হলে মেয়েটি মাথা নাড়িরে ইশারায় সম্মতি জানাল। অতঃপর সেই ইয়াহূদীকে উপস্থিত করা হলে সে তার দোষ স্বীকার করল। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাথাটিও পাথর দ্বারা ছেঁচে দেয়ার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তার মাথাটিও অনুরূপভাবে ছেঁচে দেয়া হলো। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ أَنَسٍ: أَنَّ يَهُودِيًّا رَضَّ رَأْسَ جَارِيَةٍ بَيْنَ حَجَرَيْنِ فَقِيلَ لَهَا: مَنْ فَعَلَ بِكِ هَذَا؟ أَفُلَانٌ؟ حَتَّى سُمِّيَ الْيَهُودِيُّ فَأَوْمَأَتْ بِرَأْسِهَا فَجِيءَ بِالْيَهُودِيِّ فَاعْتَرَفَ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُضَّ رَأْسُهُ بِالْحِجَارَةِ
ব্যাখ্যা: ক্বিসাসের বিধান হলো যে, হত্যাকারী বা আহতকারী যেভাবে নিহত ব্যক্তিকে বা আহত ব্যক্তিকে আঘাত করেছে তাকে সেভাবে আঘাত করতে হবে। আলোচ্য হাদীসে সেদিকে ইঙ্গিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসে বর্ণিত বিষয়টির ফায়সালা দিলেন। অর্থাৎ কেউ যদি কারো নাক কেটে ফেলে তবে কিসাস স্বরূপ কর্তনকারীর নাক কেটে ফেলতে হবে। হাদীসে দেখা যাচ্ছে যে, এক বালিকাকে এক ইয়াহূদী পাথর দ্বারা আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দিল আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও একই পদ্ধতিতেই ইয়াহূদীর মাথা ফাটানোর নির্দেশ দিলেন। এতে বুঝা যায়, ক্বিসাসের ক্ষেত্রে অপরাধীকে সেভাবে শাস্তি দিতে হবে যেভাবে সে নিহত ব্যক্তি বা আহত ব্যক্তিকে আঘাত করেছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
এ হাদীসে দিয়াত তথা ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে দৃকপাত হয়েছে। শারী‘আতের বিধান হলো যদি কেউ কাউকে হত্যা করে তবে হত্যাকারীকেও হত্যা করতে হবে। কেউ যদি কাউকে আঘাত করে তবে তাকেও অনুরূপ আঘাত করতে হবে। কেউ যদি কারো অঙ্গ কেটে ফেলে তবে তারও অনুরূপ অঙ্গ কেটে ফেলতে হবে। কিন্তু যদি নিহত ব্যক্তির পক্ষ থেকে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়াত তথা রক্তপণ/ক্ষতিপূরণ দাবী করে তাও জায়িয, আর উত্তম হলো হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির পরিবারের কাছে তাদের দাবী কৃত ক্ষতিপূরণ সন্তুষ্টির সাথে পরিশোধ করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)