পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৪৫২-[৭] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোনো মু’আহিদ (মুসলিমদের প্রতিশ্রুতিতে আশ্রিত)-কে হত্যা করবে, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। যদিও তার সুঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দূর হতে পাওয়া যায়। (বুখারী)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَتَلَ مُعَاهِدًا لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ وَإِنَّ رِيحَهَا تُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أربعينَ خَرِيفًا» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: এ হাদীসের আলোকে বুঝা যায় যে, মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসকারী যিম্মি বা কাফির নিরাপত্তার শর্তে যখন বসবাস করে তখন তার জান-মাল মুসলিমের ন্যায় সংরক্ষিত, তাদেরকে হত্যা করাও জঘন্যতম অপরাধ। ‘আল্লামা কাযী ‘ইয়ায (রহঃ) (مُعَاهِدًا) এর ব্যাখ্যায় বলেন- জিয্ইয়াহ্ (কর) দেয়ার শর্তে মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসকারী ভিন্ন ধর্মের লোকেদের (مُعَاهِدًا) বলা হয়। অথবা মুসলিম কর্তৃক নিরাপত্তার চুক্তিতে অবস্থানকারী। মুসলিমের নিরাপত্তায় থাকা অবস্থায় কোনো কাফিরকে হত্যা করা যাবে না। মুসলিম রাষ্ট্রে মুসলিমের নিরাপত্তায় থাকা কোনো কাফিরকে যদি কেউ হত্যা করে তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না। এর দ্বারা এ উদ্দেশ্য নয় যে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। কেননা শারী‘আতের বিধান মতে কবীরা গুনাহের শাস্তির পর প্রত্যেক মুসলিম জান্নাতে প্রবেশ করবে একমাত্র কাফির চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে অবস্থান করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)