পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৪০৯-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির কসমের মধ্যে ’লাত’ ও ’উযযা’ (প্রতীমা)-এর নাম বলে ফেলে, সে যেন তাৎক্ষণিকভাবে ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো ইলাহ নেই) বলে। আর কেউ যদি তার সঙ্গী-সাথীকে এ বলে আহবান করে যে, ’আসো, আমরা জুয়া খেলি’, সে যেন অবশ্যই সাদাকা করে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ حَلَفَ فَقَالَ فِي حَلِفِهِ: بِاللَّاتِ وَالْعُزَّى فَلْيَقُلْ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَمَنْ قَالَ لِصَاحِبِهِ: تَعَالَ أقامرك فليتصدق
ব্যাখ্যা: অন্য সানাদে এসছে,
مِنْ طَرِيقِ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنَّا حَدِيثَ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ فَحَلَفْتُ بِاللَّاتِ وَالْعُزّٰى فَقَالَ لِي أَصْحَابِي بِئْسَ مَا قُلْتَ فَذَكَرْتُ ذٰلِكَ لِلنَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ قُلْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَه لَا شَرِيكَ لَه
মুস্‘আব বিন সা‘ঈদ, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ আমরা নতুন মুসলিম ছিলাম আমি কসম খেতাম ‘লাত’ ও ‘উয্যা’-এর নামে তখন আমার সাথী বললেন কতই না খারাপ তুমি যা বললে। অতঃপর বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তুলে ধরলাম, তিনি বললেনঃ তুমি বল, আল্লাহর ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই, তিনি একক এবং তার কোনো শরীক নেই।
খত্ত্বাবী বলেনঃ কসম শুধুমাত্র মহান মা‘বূদের নামেই হবে আর যে লাতের নামে কসম খেল সে কাফির সদৃশ হলো আর যে অজ্ঞতা ও ভুলবশতঃ করল সে যেন বলে لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ। তাহলে আল্লাহ তা হতে মিটিয়ে দিবেন এবং তার হৃদয়কে প্রবৃত্তি হতে আল্লাহর স্মরণে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন এবং তার জিহ্বা ব্যবহৃত হবে সত্যের পক্ষে আর তার হতে অনর্থক বিষয়াদি সরিয়ে দিবেন।
সাদাকা করা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, জিহবা দিয়ে যা বলা হয়েছিল (আমি জুয়া খেলব) সাদাকা তার জরিমানা স্বরূপ। মুসলিম-এর বর্ণনায় এসেছে, (فَلْيَتَصَدَّقْ بِشَيْءٍ) সে যেন কিছু দান করে। কিছু হানাফী বলে তার ওপর ওয়াজিব হবে শপথের জরিমানা।
জুমহূরের নিকট হাদীসটি সুস্পষ্ট দলীল যে পাপের দৃঢ়সংকল্প যখন অন্তরে স্থায়ী হয় তখন তা পাপ হিসেবে লেখা হবে, তবে যে অন্তরে স্থায়ী হয় না তা পাপ হিসেবে ধর্তব্য হবে না। তবে আমি ভাষ্যকার (ইবনু হাজার) বলি, আমি জানি না এ বক্তব্য কোথা হতে নেয়া হলো।
হাদীসের সুস্পষ্ট ভাষ্য হলো, (تَعَالَ أُقَامِرُكَ) আসো আমি তোমার সাথে জুয়া খেলব সে তাকে ডেকেছে পাপের দিকে আর সর্বসম্মত জুয়া হারাম। সুতরাং সে কার্যের দিকে আহবান করা হারাম। এখানে শুধুমাত্র দৃঢ়সংকল্প নয়। সামনে এ বিষয়ে আলোচনা আসবে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬১০৭)
শারহুস্ সুন্নাহ্ কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, যে গায়রুল্লাহর নামে বা ইসলামের পরিপন্থী কিছুর নামে শপথ করলে তাকে কোনো প্রকারের কাফফারা আদায় করতে হবে না। অবশ্য শক্ত গুনাহগার হবে, কাজেই তার জন্য তাওবাহ্ করাটা অপরিহার্য। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন ধরনের ব্যক্তিকে তার দীন ও ঈমান সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন তার মালের উপর কিছুই ওয়াজিব করেননি। (মিরকাতুল মাফাতীহ)