৩২৭১

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত

৩২৭১-[৩৪] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন লোকের সালাত গৃহীত হয় না এবং তাদের নেক আ’মাল ঊর্ধ্বাকাশে পৌঁছায় না। (প্রথমত) পলাতক ক্রীতদাস- যতক্ষণ পর্যন্ত না সে মালিকের কাছে ফিরে আসে। (দ্বিতীয়ত) সে স্ত্রী- যার প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার স্বামী মনোতুষ্ট হয়। (তৃতীয়ত) মদ্যাসক্ত ব্যক্তি- যতক্ষণ পর্যন্ত না তার হুঁশ ফিরে আসে। (বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান)[1]

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثَلَاثَةٌ لَا تُقْبَلُ لَهُمْ صَلَاةٌ وَلَا تَصْعَدُ لَهُمْ حَسَنَةٌ الْعَبْدُ الْآبِقُ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى مَوَالِيهِ فَيَضَعَ يَدَهُ فِي أَيْدِيهِمْ وَالْمَرْأَةُ السَّاخِطُ عَلَيْهَا زَوْجُهَا وَالسَّكْرَانُ حَتَّى يصحو» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان

وعن جابر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ثلاثة لا تقبل لهم صلاة ولا تصعد لهم حسنة العبد الابق حتى يرجع الى مواليه فيضع يده في ايديهم والمراة الساخط عليها زوجها والسكران حتى يصحو» . رواه البيهقي في شعب الايمان

ব্যাখ্যা : তিন ব্যক্তি বলতে তিন শ্রেণীর মানুষ বা তিন প্রকৃতি ও বর্ণের মানুষ, এতে নারী পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই। তাদের সালাত কবুল করা হবে না। এর অর্থ পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ করা হবে না।

لَا تَصْعَدُ এটি فعل الْمُضَارَعَةِ এর চিহ্ন ي বর্ণে যবর এবং পেশ উভয় যোগে পাঠ করা যায় এতে কর্ম ও কর্তৃবাচ্য হিসেবে অর্থের পার্থক্য বুঝে নিতে হবে।

«لَا تَصْعَدُ لَهُمْ حَسَنَةٌ» তাদের নেক ‘আমল উপরে উঠবে না’ বা তাদের নেকী উপরে উঠানো হবে না, উপরের অর্থ হলো আল্লাহর নিকটে উঠানো। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘তাঁরই দিকে উত্থিত হয় পবিত্র কথাগুলো আর সৎকাজ সেগুলোকে উচ্চে তুলে ধরে।’’ (সূরা আল ফা-ত্বির ৩৫ : ১০)

অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, অর্থাৎ তাদের নেক ‘আমল আসমানে উঠানো হবে না। তিন ব্যক্তি বা তিন শ্রেণীর মধ্যে একজন হলো গোলাম বা দাস যে তার মুনীব বা মালিক থেকে পালিয়ে যায়। দাস প্রথা বর্তমানে নেই, সুতরাং এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বর্জন করা হলো।

দ্বিতীয় ব্যক্তি হলো ঐ মহিলা যার স্বামী তার ওপর অসন্তুষ্ট। এ মহিলার স্বামী সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তার কোনো ‘ইবাদাত আল্লাহর কাছে পৌঁছবে না, অর্থাৎ আল্লাহ তা গ্রহণ করবেন না। তৃতীয় হলো নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি, নেশার ঘোর থেকে ফিরে তাওবাহ্ না করা পর্যন্ত আল্লাহর দরবারে তার নেক ‘আমল কবুল হবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)