পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মোহর
৩২০৬-[৫] ’আমির ইবনু রবী’আহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বানী ফাযারহ্ গোত্রের জনৈকা রমণীর (মোহর বাবদ) এক জোড়া জুতার বিনিময়ে বিবাহ হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এক জোড়া জুতার বিনিময়ে তোমাকে অর্পণ করতে রাজি হয়েছ? সে বলল, জি, হ্যাঁ। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার বিবাহের সম্মতি দিলেন। (তিরমিযী)[1]
وَعَنْ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ: أَنَّ امْرَأَةً مَنْ بَنِي فَزَارَةَ تَزَوَّجَتْ عَلَى نَعْلَيْنِ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَرَضِيتِ مِنْ نَفْسِكِ وَمَالِكِ بِنَعْلَيْنِ؟» قَالَتْ: نَعَمْ. فَأَجَازَهُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: মোহরের সর্বনিম্ন পরিমাণ পূর্বেও হাদীসে বিস্তারিত আলোচনা হয়ে গেছে, সুতরাং সে বিষয়ে আলোচনা নিষ্প্রয়োজন।
হানাফী মাযহাবের ‘উলামায়ে কিরাম বলেন, দশ দিরহামের কম মোহর বৈধ হওয়া সংক্রান্ত যত হাদীস রয়েছে সবগুলো দুর্বল, কেবল লোহার আংটি সংক্রান্ত হাদীসটি ছাড়া। ঐ হাদীসের সম্পর্কে তাদের তা‘বীল ও ব্যাখ্যা পূর্বের হাদীসে অতিবাহিত হয়েছে।
অনুরূপভাবে ফাযারহ্ গোত্রের এক মহিলা দু’টো জুতার বিনিময়ে বিবাহে রাযী হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দেন, ফলে তাদের বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যায়।
অবশ্য মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেনঃ বিবাহ শুদ্ধ হয় বটে তবে স্ত্রীর জন্য মোহরে মিসাল ধার্য হবে এবং স্বামীর নিকট তা দাবী করবে। পক্ষান্তরে আরেকদল মুহাদ্দিসের বক্তব্য হলোঃ মূলে একটি হলেও বিশুদ্ধ হাদীস থাকায় য‘ঈফ হাদীসগুলো তার সহায়ক হয় ও শক্তি যোগায়।
মোহরে মিসাল হলো নারীর সৌন্দর্যে কমারিত্বে, অর্থ-সম্পদে সমসাময়িক নিজ বংশের অন্যান্য নারীর সমপরিমাণ মোহর হওয়া। নিজ বংশের অন্যান্য নারী হলো আপন বোন, বৈমাতৃয় বোন, বৈপিতৃয় বোন, ফুপু, চাচাত বোন ইত্যাদি। আর ঐ নারীর ‘ইদ্দত হবে মৃত্যুর ‘ইদ্দত, অর্থাৎ চারমাস দশদিন এবং সে স্বামীর যথাযথ মীরাস লাভ করবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৩য় খন্ড, হাঃ ১১১৩; মিরকাতুল মাফাতীহ)