৩১৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম

৩১৬৯-[১০] ’উকবা ইবনুল হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আবূ ইহাব ইবনু ’আযীয -এর কন্যাকে বিয়ে করেন। অতঃপর জনৈকা মহিলা এসে বলল, আমি ’উকবা এবং তার স্ত্রীকে দুধপান করিয়েছি (তাদের বিবাহ কি বৈধ?)। ’উকবা উক্ত মহিলাটিকে বললেন, আপনি যে আমাকে দুধ পান করিয়েছেন (আমি জানি না) এবং তা কক্ষনো আমাকে বলেননি। অতঃপর তিনি (’উকবা ইবনুল হারিস) তার স্ত্রীর পরিবারের নিকট লোক পাঠিয়ে জানতে চাইলেন, উত্তরে তারা বলল যে, ঐ মহিলাটি যে আমাদের কন্যাকে দুধ পান করিয়েছে, তা আমরাও জানি না। অতঃপর ’উকবা মদীনায় এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে জানতে চাইলেন। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কিভাবে দাম্পত্য জীবন যাপন করবে, যেহেতু একটি কথা (দুধপানের ব্যাপারে) উঠেছে? এটা শুনে ’উকবা তার স্ত্রীকে ত্যাগ করলেন (তালাক দিলেন) এবং ঐ স্ত্রী অন্যত্র অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলো। (বুখারী)[1]

بَابُ الْمُحَرَّمَاتِ

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ: أَنَّهُ تَزَوَّجَ ابْنَةً لِأَبِي إِهَابِ بْنِ عَزِيزٍ فَأَتَتِ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ: قَدْ أَرْضَعْتُ عُقْبَةَ وَالَّتِي تَزَوَّجَ بِهَا فَقَالَ لَهَا عُقْبَةُ: مَا أَعْلَمُ أَنَّكِ قَدْ أَرْضَعْتِنِي وَلَا أَخْبَرْتِنِي فَأَرْسَلَ إِلَى آلِ أَبِي إِهَابٍ فَسَأَلَهُمْ فَقَالُوا: مَا عَلِمْنَا أَرْضَعْتَ صَاحِبَتُنَا فَرَكِبَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ فَسَأَلَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَيْفَ وَقَدْ قِيلَ؟» فَفَارَقَهَا عُقْبَةُ وَنَكَحَتْ زوجا غَيره. رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن عقبة بن الحارث: انه تزوج ابنة لابي اهاب بن عزيز فاتت امراة فقالت: قد ارضعت عقبة والتي تزوج بها فقال لها عقبة: ما اعلم انك قد ارضعتني ولا اخبرتني فارسل الى ال ابي اهاب فسالهم فقالوا: ما علمنا ارضعت صاحبتنا فركب الى النبي صلى الله عليه وسلم بالمدينة فساله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «كيف وقد قيل؟» ففارقها عقبة ونكحت زوجا غيره. رواه البخاري

ব্যাখ্যা: এখানে উদ্দেশ্য হলো, আগন্তুক মহিলা দুধ পান করানোর বিষয়টি নিশ্চিত করছে আর ‘উকবা তা অস্বীকার করছেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত মহিলার কথার উপর ভিত্তি করে তাকে (‘উকবা ) তার স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার নির্দেশ দিলেন। তিনি যা বললেন তা আবশ্যকীয় হতে পারে অথবা তাকওয়ার ভিত্তিতে তা (এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রী আলাদা করে দেয়া) বৈধ হতে পারে। সঠিক বিষয় আল্লাহই ভালো জানেন। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৪০)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)