২৯৪৬

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ

২৯৪৬-[৯] আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়। (বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান, দারাকুত্বনী- মুজ্তাবা)[1]

وَعَن أبي حرَّة الرقاشِي عَن عَمه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «أَلا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان وَالدَّارَقُطْنِيّ فِي الْمُجْتَبى

وعن ابي حرة الرقاشي عن عمه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الا تظلموا الا لا يحل مال امرى الا بطيب نفس منه رواه البيهقي في شعب الايمان والدارقطني في المجتبى

ব্যাখ্যা: (لا تَظْلِمُوا) ‘‘তোমরা জুলুম করবে না’’ অর্থাৎ- তোমাদের কতক কতকের প্রতি যেন অবিচার না করে। এভাবে বলা হয়েছে- তবে সর্বাধিক প্রকাশমান অর্থ হলো ‘‘তোমরা তোমাদের নিজেদের প্রতি অবিচার করো না।’’ এ বাক্যাংশটুকু নিজের ওপর জুলুম করা এবং অন্যের ওপর জুলুম করা উভয়কে অন্তর্ভুক্ত করছে। হাদীসে বারংবার সতর্ক করা হয়েছে তার কারণ এই যে, হাদীসে উভয় বাক্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হুকুম রাখে, এমতাবস্থায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। আর দ্বিতীয় বাক্যটি যার সাথে বান্দার অধিকার সম্পর্ক রাখে, এদিকে ইশারা করাই সর্বাধিক উপযুক্ত।

(لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ) বাক্যাংশটিতে ব্যক্তি বলতে মুসলিম এবং যিম্মী ব্যক্তি উদ্দেশ্য। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)