২৯২০

পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান

২৯২০-[২২] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি জানাযা উপস্থিত করা হলো তার সালাত আদায়ের জন্য। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের সাথী মৃত ব্যক্তির ওপর কোনো ঋণ আছে কি? লোকেরা বলল, জি হ্যাঁ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, ঋণ পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা রেখে গেছে কি? লোকেরা বলল, জি না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমরা তোমাদের সাথীর জানাযার সালাত আদায় করে নাও। তখন ’আলী ইবনু আবূ ত্বালিব(রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! তার ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমি নিলাম। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার জানাযার সালাত আদায় করলেন।

অপর এক বর্ণনায় আরো আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আলী -কে বললেন, আল্লাহ তা’আলা তোমাকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দান করুন, যেভাবে তুমি তোমার মুসলিম ভাইকে মুক্ত করেছো। যে কোনো মুসলিম তার ভাইকে ঋণ হতে মুক্ত করবে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা’আলা তাকে মুক্তি দান করবেন। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: أَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجِنَازَةٍ لِيُصَلِّيَ عَلَيْهَا فَقَالَ: «هَلْ عَلَى صَاحِبِكُمْ دَيْنٌ؟» قَالُوا: نَعَمْ قَالَ: «هَلْ تَرَكَ لَهُ مِنْ وَفَاءٍ؟» قَالُوا: لَا قَالَ: «صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ» قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: عَلَيَّ دَيْنُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى عَلَيْهِ. وَفِي رِوَايَةٍ مَعْنَاهُ وَقَالَ: «فَكَّ اللَّهُ رِهَانَكَ مِنَ النَّارِ كَمَا فَكَكْتَ رِهَانَ أَخِيكَ الْمُسْلِمِ لَيْسَ مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يَقْضِي عَنْ أَخِيهِ دَيْنَهُ إِلَّا فَكَّ اللَّهُ رِهَانَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السُّنَّةِ

وعن ابي سعيد الخدري قال اتى النبي صلى الله عليه وسلم بجنازة ليصلي عليها فقال هل على صاحبكم دين قالوا نعم قال هل ترك له من وفاء قالوا لا قال صلوا على صاحبكم قال علي بن ابي طالب علي دينه يا رسول الله فتقدم فصلى عليه وفي رواية معناه وقال فك الله رهانك من النار كما فككت رهان اخيك المسلم ليس من عبد مسلم يقضي عن اخيه دينه الا فك الله رهانه يوم القيامة رواه في شرح السنة

ব্যাখ্যা: নিশ্চয় ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের আত্মাগুলো ঋণের জন্য দায়ী থাকবে, যেমনটা দুনিয়াতে ছিল। আর মানুষেরা কিয়ামতের দিন তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী থাকবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘প্রত্যেক আত্মা তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী’’- (সূরা আল মুদ্দাসসির ৭৪ : ৩৮)। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)