২৮৯২

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করা

(بَابُ الْاِحْتِكَارِ) এটা হলো জনগণকে ধোঁকা দেয়ার ইচ্ছায় অথবা অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণের আশায় জনগণের প্রয়োজনের সময় খাদ্য গুদামজাত করা।


২৮৯২-[১] মা’মার হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক খাদ্য-সামগ্রী গুদামজাত করে, সে অপরাধী; সে গুনাহগার সাব্যস্ত হবে। (মুসলিম)[1]

’উমার (রাঃ)-এর হাদীস ’’বানী নাযীর-এর যুদ্ধলব্ধ ধন-সম্পদ’’ অধ্যায়ে অতি শীঘ্রই উল্লেখ করব ইনশা-আল্লা-হু তা’আলা।

بَابُ الْاِحْتِكَارِ

عَن معمر قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ احْتَكَرَ فَهُوَ خَاطِئٌ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ «كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ» فِي بَابِ الْفَيْءِ إِنْ شَاءَ الله تَعَالَى

عن معمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من احتكر فهو خاطى» . رواه مسلم وسنذكر حديث عمر رضي الله عنه «كانت اموال بني النضير» في باب الفيء ان شاء الله تعالى

ব্যাখ্যা: সহীহ মুসলিম-এর অপর বর্ণনায় রয়েছে, (لا يحتكر الا خاطئ) নাফরমানী ছাড়া কেউ ইহতিকার বা খাদ্য গুদামজাত করবে না। ভাষাবিদগণ বলেন, خَاطِئٌ হলো (العاصى الآثم) বা পাপিষ্ঠ নাফরমানী। আলোচ্য হাদীস ইহতিকার হারামের ব্যাপারে সুস্পষ্ট। আমাদের সাথীবর্গ বলেন যে, সময়ের ক্ষেত্রে যে ইহতিকার করা হয়, উক্ত ইহতিকার বা খাদ্য গুদামজাতকরণ করা হারাম। আর ইহতিকার হলো, বাজার দর মন্দা থাকা অবস্থার ব্যবসার জন্য খাদ্য ক্রয় করা, সে সময়ে বিক্রি না করে যখন মূল্য বৃদ্ধি পাবে তখন বিক্রি করা। ‘উলামাগণ বলেন, খাদ্য গুদামজাত করা হারাম হওয়ার মাঝে হিকমাত হলো, সাধারণ জনগণের ক্ষতি প্রতিহত করা। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’মার (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)