২৭৮৬

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা

২৭৮৬-[২৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা আবূ বকর (রাঃ)-এর একটি ক্রীতদাস ছিল। দাসটি তাঁর জন্য রুযী-রোজগার করতো এবং তিনি তা খেতেন। একবার সেই ক্রীতদাসটি কোনো খাবার নিয়ে এলে আবূ বকর(রাঃ) তা খেলেন। ক্রীতদাসটি তাঁকে বললেন, আপনি কি জানেন- এটা কিভাবে উপার্জিত হয়েছে? আবূ বকর(রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এ মাল কিভাবে উপার্জিত? তখন ক্রীতদাসটি বললো, জাহিলী যুগে একবার আমি এক ব্যক্তির কাছে গণকের কাজ করেছিলাম, অথচ আমি গণনার কাজও ভালো করে জানতাম না। আমি গণনার ভান করে তাকে ধোঁকা দিয়েছিলাম। ঐ ব্যক্তির সাথে আজ আমার দেখা হলে সে আমাকে আগের ঐ গণনার বিনিময়ে বস্তুটি দান করেছে, আপনি তাই খেয়েছেন। তিনি বলেন, (এ কথা শুনামাত্র) আবূ বকর(রাঃ) গলার ভিতরে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে পেটের সব জিনিস বমি করে ফেলে দিলেন। (বুখারী)[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ لِأَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ غُلَامٌ يُخْرِّجُ لَهُ الْخَرَاجَ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَأْكُلُ مِنْ خَرَاجِهِ فَجَاءَ يَوْمًا بشيءٍ فأكلَ مِنْهُ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ لَهُ الْغُلَامُ: تَدْرِي مَا هَذَا؟ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: كُنْتُ تَكَهَّنْتُ لِإِنْسَانٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَمَا أُحسِنُ الكهَانةَ إِلاَّ أَنِّي خدَعتُه فلَقيَني فَأَعْطَانِي بِذَلِكَ فَهَذَا الَّذِي أَكَلْتَ مِنْهُ قَالَتْ: فَأَدْخَلَ أَبُو بَكْرٍ يَدَهُ فَقَاءَ كُلَّ شَيْءٍ فِي بَطْنه. رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن عاىشة قالت: كان لابي بكر رضي الله عنه غلام يخرج له الخراج فكان ابو بكر ياكل من خراجه فجاء يوما بشيء فاكل منه ابو بكر فقال له الغلام: تدري ما هذا؟ فقال ابو بكر: وما هو؟ قال: كنت تكهنت لانسان في الجاهلية وما احسن الكهانة الا اني خدعته فلقيني فاعطاني بذلك فهذا الذي اكلت منه قالت: فادخل ابو بكر يده فقاء كل شيء في بطنه. رواه البخاري

ব্যাখ্যা: (كُنْتُ تَكَهَّنْتُ لِإِنْسَانٍ فِى الْجَاهِلِيَّةِ) ‘‘জাহিলী যুগে আমি একব্যক্তির ভাগ্য গণনা করেছিলাম।’’ ইসলামী শারী‘আতে ভাগ্য গণনা করা হারাম আর এ দ্বারা উপার্জন করাও হারাম। ইতোপূর্বে ২৭৬৪ নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, গণকের উপার্জন হারাম।

(وَمَا أُحسِنُ الْكَهَانةَ إِلاَّ أَنِّىْ خَدَعْتُه) ‘‘আমি ভালোভাবে ভাগ্য গণনা করতে পারতাম না তবে আমি তাকে ধোঁকা দিয়েছিলাম।’’ মূলত ভাগ্য গণনার বিষয়টিই ধোঁকা। কেননা কার ভাগ্যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই জানেন। অন্য কারো পক্ষে তা জানা সম্ভব নয়। কাজেই কেউ কারো ভাগ্য গণনা করতে পারে, এটি একটি মিথ্যা ও ধোঁকা। আর এ গোলাম নিজেই বলেছে যে, আসলে আমি ভাগ্য গণনা করতে জানতাম না, বরং আমি তাকে ধোঁকা দিয়েছিলাম। অর্থাৎ আমি মিথ্যা বলেছিলাম।

(فَقَاءَ كُلَّ شَىْءٍ فِىْ بَطْنِه) ‘‘অতঃপর তিনি পেটে যা ছিল সব কিছু বমি করে ফেলে দিলেন’’। কারণ আবূ বাকর জানতেন যে, গণকের উপার্জন হারাম। আর হারাম উপার্জন খাওয়া অবৈধ। তাই তিনি যা খেয়েছিলেন তা বমি করে ফেলে দিলেন যাতে পেটের মধ্যে কোনো হারাম খাদ্য না থাকে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)