৮০৮

পরিচ্ছেদঃ রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

(৮০৮) আবু দারদা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ ভালোবাসেন, তাদের প্রতি (সন্তুষ্ট হয়ে) হাসেন এবং তাদের কারণে খুশী হন; (প্রথম) সেই ব্যক্তি যার নিকট স্বদলের পরাজয় প্রকাশ পেলে নিজের জান দিয়ে আল্লাহ আযযা অজাল্লার ওয়াস্তে যুদ্ধ করে। এতে সে হয় শহীদ হয়ে যায় নতুবা আল্লাহ তাকে সাহায্য (বিজয়ী) করেন ও তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হন। তখন আল্লাহ বলেন, আমার এই বান্দাকে তোমরা লক্ষ্য কর, আমার জন্য নিজের প্রাণ দিয়ে কেমন ধৈর্য ধরেছে?

(দ্বিতীয়) সেই ব্যক্তি যার আছে সুন্দরী স্ত্রী এবং নরম ও সুন্দর বিছানা। কিন্তু সে (এ সব ত্যাগ করে) রাত্রে উঠে নামায পড়ে। এর জন্য আল্লাহ বলেন, সে নিজের প্রবৃত্তিকে দমন করে আমাকে স্মরণ করছে, অথচ ইচ্ছা করলে সে নিদ্রা উপভোগ করতে পারত।

আর (তৃতীয়) সেই ব্যক্তি যে সফরে থাকে। তার সঙ্গে থাকে কাফেলা। কিছু রাত্রি জাগরণ করে সকলে ঘুমে ঢলে পড়ে। কিন্তু সে শেষরাত্রে উঠে কষ্ট ও আরামের সময় নামায পড়ে।

عَنْ أَبيْ الدَّرْدَاءِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثَةٌ يُحِبُّهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَضْحَكُ إِلَيْهِمْ وَيَسْتَبْشِرُ بِهِمْ الَّذِي إِذَا انْكَشَفَتْ فِئَةٌ قَاتَلَ وَرَاءَهَا بِنَفْسِهِ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِمَّا أَنْ يُقْتَلَ وَإِمَّا أَنْ يَنْصُرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَيَكْفِيهِ فَيَقُولُ: انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي كَيْفَ صَبَّرَ لِي نَفْسَهُ وَالَّذِي لَهُ امْرَأَةٌ حَسْنَاءُ وَفِرَاشٌ لَيِّنٌ حَسَنٌ فَيَقُومُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَذَرُ شَهْوَتَهُ فَيَذْكُرُنِي وَلَوْ شَاءَ لَرَقَدَ وَالَّذِي كان فِي سَفَرٍ وَكَانَ مَعَهُ رَكْبٌ فَسَهَرُوا ا ثُمَّ هَجَعُوا فَقَامَ فِي السَّحَرِ فِي ضَرَّاءٍ وَسَرَّاءٍ

عن ابي الدرداء عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ثلاثة يحبهم الله عز وجل يضحك اليهم ويستبشر بهم الذي اذا انكشفت فىة قاتل وراءها بنفسه لله عز وجل فاما ان يقتل واما ان ينصره الله عز وجل ويكفيه فيقول: انظروا الى عبدي كيف صبر لي نفسه والذي له امراة حسناء وفراش لين حسن فيقوم من الليل فيذر شهوته فيذكرني ولو شاء لرقد والذي كان في سفر وكان معه ركب فسهروا ا ثم هجعوا فقام في السحر في ضراء وسراء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)